গড়িয়াবান্দ, 26 জুলাই : হঠাৎই ছেলের মৃত্যু । পচাগলা দেহ মিলেছে পুকুর থেকে । ছেলের কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা বার বার জানতে চেয়েছেন বৃদ্ধ বাবা । যার জন্য দেহ পৌঁছেছে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের মর্গে । কিন্তু রিপোর্ট আসেনি হাতে । যা পেতে গরিব ওই ব্যক্তিকে দিতে হল ঘুষ । চার হাজার টাকা ঘুঁষের বদলে মিলেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট । মিলেছে দেহও । ছত্তিশগড়ের গড়িয়াবান্দ জেলার ঘটনা ।
বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন গড়িয়াবান্দের চালানপাদার গ্রামের বাসিন্দা প্রমোদ পতি । শুক্রবার গ্রামেরই একটি পুকুর থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় । তারপরই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ চলে যায় । কিন্তু, দু'দিন কেটে গেলেও মেলেনি তাঁর প্রাথমিক রিপোর্ট । কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, এক সাফাইকর্মী ঘুষ চায় । সে জানায়, ঘুষ দিলে প্রমোদের রিপোর্ট চিকিৎসকের কাছ থেকে লিখিয়ে এনে দেবে । প্রমোদের বাবার অভিযোগ, তিনি ওই সাফাইকর্মীর কাছে জানান, তিনি খুবই গরিব, এই টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় । একথা শুনে রেগে যায় ওই সাফাইকর্মী এবং জানিয়ে দেয় রিপোর্ট পাওয়া যাবে না ।
সদ্য ছেলে হারা বাবা তখন শোকে কাতর । তিনি শুধুই জানতে চান, ছেলের মৃত্যু কীভাবে হল ? তিনি বাধ্য হয়েই টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করেন । টাকা জোগাড় না হওয়ায়, তাঁর ছোটো ছেলে বাইক বিক্রি করে দেন । এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত চার হাজার টাকা দিয়ে ছেলের দেহ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জোগাড় করেন ।
আরও পড়ুন : কোরোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরলেন 101 বছর বয়সি মানগাম্মা
বিষয়টি প্রশাসনের নজরেই আসতেই তারা পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে । যে টাকা নিয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে ।