হায়দরাবাদ , 29 জুন : "আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না।" মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে বাবাকে এই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন হায়দরাবাদের 34 বছরের এক যুবক । বারবার অনুরোধ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে অক্সিজেন দেয়নি বলেও ভিডিয়োতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু তা সঠিক সময়ে পরিবারের কাছে পৌঁছানোর আগে সব শেষ । শুক্রবার রাতে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় । তাঁর এই বার্তা রবিবার সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ।
জানা গেছে , মৃত্যুর ঠিক এক ঘণ্টা আগে ভিডিয়োটি রেকর্ড করা হয়েছিল । সেখানে তাঁর শেষ বার্তা ছিল , "আমি বারবার অনুরোধ করলেও শেষ তিন ঘণ্টা ধরে আমাকে কেউ অক্সিজেন দেয়নি । বাবা , আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না । মনে হচ্ছে যেন আমার হৃদপিণ্ডটা বন্ধ হয়ে যাবে । "
ছেলের এই ভিডিয়োটি দেখার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন তাঁর বাবা । তিনি বলেন , "আমার ছেলে বারবার সাহায্য চাইলেও কেউ তাঁকে সাহায্য করেনি । ওঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরে বাড়ি ফিরে ভিডিয়োটি দেখলাম । আমার দুই নাতি-নাতনি । তারা এখনও জানে না যে তাঁর বাবা আর কোনওদিন ফিরে আসবে না । আমার ছেলের সঙ্গে যা হয়েছে আর কারওর সঙ্গে যেন এমন না হয় । "
পরিবারের তরফ থেকে জানা গেছে , অনেকদিন থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন ওই যুবক । 10টি বেসরকারি হাসপাতাল তাঁকে ভরতি নিতে চায়নি । ফিরিয়ে দেয় । অবশেষে বুধবার হায়দরাবাদের এই সরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয় । এরপর তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । কিন্তু রিপোর্ট আসার আগে তাঁর মৃত্যু হয় । রিপোর্ট আসার পর জানা যায় তিনি কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন ।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর মৃত্যুতে সকলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তারা জানাচ্ছে , যথেষ্ট অক্সিজেন ছিল । কিন্তু রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় তিনি অক্সিজেনের অভাব বোধ করছিলেন । ডাক্তারদের এতে কোনও দোষ নেই ।