দিল্লি, 11 অক্টোবর : বিশেষ কিছু দ্রুতগতির ট্রেন থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্লিপার কামরা । তার বদলে আনা হচ্ছে বাতানকুল কামরা । ভবিষ্যতে 130 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বা তার বেশি গতির ট্রেনে থাকবে কেবল বাতানকুল কামরা । ভারতীয় রেলের তরফে আজ এ-কথা জানানো হয়েছে ।
রেলমন্ত্রকের মুখপাত্র ডি জে নারাইন জানিয়েছেন, এই ধরনের ট্রেনগুলির টিকিটের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই থাকবে । পাশাপাশি, তিনি এও পরিষ্কার করে দেন যে, সমস্ত নন-AC কামরাকে বাতানকুল কামরায় পরিণত করা হবে, এমন নয় ।
বর্তমানে বেশিরভাগ রুটগুলিতে মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি 110 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বা তার থেকে কম । রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তর মতো কিছু প্রিমিয়াম ট্রেন 120 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেগে চলে । এই ধরনের ট্রেনের রেকগুলি 130 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতিতে যেতে সক্ষম ।
রেলমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, "ভারতীয় রেল পরিষেবার নেটওয়ার্ককে উন্নত করতে ও হাইস্পিড পোটেনশিয়াল নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে । ট্রেনের গতি 130 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেশি হয়ে গেলে, সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিগতভাবে বাতানকুল কামরা থাকা আবশ্যক ।"
আরও পড়ুন : বেসরকারি সংস্থাগুলিই নির্ধারণ করবে ট্রেনের যাত্রীভাড়া, ঘোষণা রেলের
গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল ও ডায়াগোনালগুলিতে রেলপথগুলি 130 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে 160 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতির ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে । যেসব ট্রেন 130 - 160 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেগে যাবে, সেই ট্রেনগুলির নন-AC কামরা সরিয়ে দিয়ে বাতানকুল কামরা লাগানো হবে ।
বাকি যেসব ট্রেনে নন AC কামরা থাকবে সেগুলি আগের মতো অর্থাৎ, 110 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগেই যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছেন ডি জে নারাইন ।