ETV Bharat / bharat

নতুন মানচিত্রে সিলমোহর নেপাল পার্লামেন্টের

কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরা নিজেদের এলাকা বলে দাবি করছে নেপাল । সেই সংক্রান্ত নতুন মানচিত্রও প্রকাশ করেছে । সেই নিয়েই আজ বিশেষ অধিবেশন হয় নেপালের পার্লামেন্টে ।

ভারত নেপাল সম্পর্ক
ভারত নেপাল সম্পর্ক
author img

By

Published : Jun 13, 2020, 10:22 PM IST

কাঠমান্ডু ও দিল্লি, 13 জুন : ভারত-নেপাল সম্পর্ক আগামী দিনে কোন পথে এগোবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ । কিছুদিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরা এলাকাকে নিজেদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নেপাল । এবার সেই মানচিত্রে সিলমোহর দিল নেপালের পার্লামেন্টে । আজকের বিশেষ অধিবেশনে দেশের মানচিত্র পরিবর্তন সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংশোধনী বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে মত নেওয়া হয় ।

নেপালের পার্লামেন্টের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা PTI-কে আজ সকালে জানিয়েছিলেন, " পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে সাংবিধানিক সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা হবে । আলোচনা শেষে বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে মত নেওয়া হবে । " তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পার্লামেন্টে আজই বিল নিয়ে ভোটাভুটির পর্ব মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে ।

গতমাসে নেপালের তরফে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে নেপাল । এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত সরকার । দিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, "নেপালের এই মানচিত্রের কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই এবং একতরফাভাবে এই মানচিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।" এদিকে নেপালের বর্তমান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস জানিয়েছিল, তাঁরা সংশোধনী বিলের পক্ষেই মত জানাবে ।

গতমাসে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল তাতে, কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরাসহ কালি নদীর পূর্বপাড়ের বেশ কিছু এলাকা নেপালের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এই এলাকাগুলি কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । 1962 সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে এই এলাকাগুলির কূটনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে ।

আজ সকালে সেনাপ্রধান এম এম নারওয়ানে সংবাদসংস্থা ANI-কে জানিয়েছেন, "নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো । আমাদের মধ্যে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে । দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সুসম্পর্ক রয়েছে । ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ভালো এবং আগামী দিনেও তেমনই থাকবে ।"

এদিকে নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সদস্য সংখ্যা 275 । কোনও বিল পাস করাতে দুই তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন । কোনও বিল নিম্নকক্ষে পাস হয়ে গেলে তা পাঠানো হয় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে । সেখানেও একই পদ্ধতিতে বিলটি পাস হয় । বিলের কোনও জায়গায় পরিবর্তন করতে হলে বা বিলে সম্মতি না থাকলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যদের 72 ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে হয় । ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিলটি পাস হয়ে গেলে সবশেষে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয় বিলটি । প্রেসিডেন্টের সম্মতিক্রমে বিলটি সংবিধানে স্থান পায় ।

কাঠমান্ডু ও দিল্লি, 13 জুন : ভারত-নেপাল সম্পর্ক আগামী দিনে কোন পথে এগোবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ । কিছুদিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরা এলাকাকে নিজেদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নেপাল । এবার সেই মানচিত্রে সিলমোহর দিল নেপালের পার্লামেন্টে । আজকের বিশেষ অধিবেশনে দেশের মানচিত্র পরিবর্তন সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংশোধনী বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে মত নেওয়া হয় ।

নেপালের পার্লামেন্টের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা PTI-কে আজ সকালে জানিয়েছিলেন, " পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে সাংবিধানিক সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা হবে । আলোচনা শেষে বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে মত নেওয়া হবে । " তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পার্লামেন্টে আজই বিল নিয়ে ভোটাভুটির পর্ব মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে ।

গতমাসে নেপালের তরফে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে নেপাল । এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত সরকার । দিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, "নেপালের এই মানচিত্রের কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই এবং একতরফাভাবে এই মানচিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।" এদিকে নেপালের বর্তমান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস জানিয়েছিল, তাঁরা সংশোধনী বিলের পক্ষেই মত জানাবে ।

গতমাসে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল তাতে, কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরাসহ কালি নদীর পূর্বপাড়ের বেশ কিছু এলাকা নেপালের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এই এলাকাগুলি কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । 1962 সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে এই এলাকাগুলির কূটনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে ।

আজ সকালে সেনাপ্রধান এম এম নারওয়ানে সংবাদসংস্থা ANI-কে জানিয়েছেন, "নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো । আমাদের মধ্যে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে । দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সুসম্পর্ক রয়েছে । ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ভালো এবং আগামী দিনেও তেমনই থাকবে ।"

এদিকে নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সদস্য সংখ্যা 275 । কোনও বিল পাস করাতে দুই তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন । কোনও বিল নিম্নকক্ষে পাস হয়ে গেলে তা পাঠানো হয় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে । সেখানেও একই পদ্ধতিতে বিলটি পাস হয় । বিলের কোনও জায়গায় পরিবর্তন করতে হলে বা বিলে সম্মতি না থাকলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যদের 72 ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে হয় । ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিলটি পাস হয়ে গেলে সবশেষে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয় বিলটি । প্রেসিডেন্টের সম্মতিক্রমে বিলটি সংবিধানে স্থান পায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.