ETV Bharat / bharat

আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়াকে ভারত হালকাভাবে নিচ্ছে না, তারই প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফর - মোদির লাদাখ সফর

প্রতিবেদনটি লিখেছেন লেফটেন্যান্ট জেনেরাল ডি এস হুডা ৷ 2016 সালে পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিকাল স্ট্রাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি ৷ এর আগে LAC ইশুতে চিনের সঙ্গে আলোচনায় অংশও নিয়েছেন ৷

China
Leh
author img

By

Published : Jul 6, 2020, 10:01 AM IST

নিজের বিভিন্ন কাজ দিয়ে দেশকে চমকে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির । তেমনই একটা দিন ছিল 3 জুলাই ৷ যখন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী লেহ-তে পৌঁছে আহত সেনাদের সঙ্গে কথা বলছেন ৷ এবং তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতে বক্তৃতা রাখছেন । পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং দুই দেশের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ।

সংঘর্ষের এলাকার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর থেকেই বোঝা যায় যে, সরকার এই বিষয়টাকে ঠিক কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে । দেশের একটা মহলের ধারণা ছিল যে, সরকার বিষয়টিকে একেবারেই সে ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না ৷ কারণ সরকার আশা করছে এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের সেনা পর্যায়ের কথাবার্তাতেই মিটে যাবে । সরকারের সেই ধারণা ছিন্নভিন্ন হয় 15 জুন গলওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা যে, চিনের এখনকার কাজকর্ম তাদের এত বছরের কাজকর্মের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । এত বছরের বিভিন্ন সমস্যা দুই দেশের সেনাস্তরের কথাবার্তায় সমাধান হলেও বর্তমানের সমস্যাগুলি এত সহজে মেটার নয় । গত প্রায় দুই মাস ধরে চিনের বিদেশমন্ত্রী ক্রমাগত বলে চলেছেন এই অঞ্চলের শান্তি ও উত্তেজনা প্রশমনের কথা । কিন্তু কথায় এ কথা বললেও কাজে একেবারেই বিপরীত ছিল চিন । তারা গলওয়ান উপত্যকায় নিজেদের অনৈতিক দাবি জানায় এবং ভারতীয় সীমানার মধ্যে ঢুকে সেনা তৎপরতা বাড়াতে থাকে ।

সেনা পর্যায়ে দুই দেশের আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়াকে ভারত যে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না, তারই প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর এই লাদাখ সফর । প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানতেন যে, তাঁর এই সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে চিন । বাস্তব ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী সফরের পর চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “এই পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষেরই এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে ।” এই সফরের ফলে কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারত কঠিন পদক্ষেপ করতেও তৈরি ।

সে দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল যথেষ্ট কড়া ও চাঁছাছোলা । চিনের এই আগ্রাসী আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, “ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে, সম্প্রসারণবাদীরা হয় হেরে গিয়েছে, না হয় পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।” ভারত যে দুর্বল ভাবে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবে না, তার বড় প্রমাণ ছিল এই বক্তৃতা ।

দেশের আমজনতার কথাও মাথায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর । চিনের সেনারা ভারতের সীমান্তে ঢোকেইনি, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের যথেষ্ট সমালোচনা হয় । এরপর দেশের নাগরিকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার খুব প্রয়োজন ছিল যে, ভারত যেকোনও রকম চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে তৈরি । সরকারের কড়া মনোভাবের আরও উদাহরণ মেলে যখন দেশের বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রজেক্ট, বিদ্যুৎক্ষেত্র এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে চিনা বিনিয়োগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়।

ভারতের মনোভাব যথেষ্ট ভালোভাবে চিনকে বুঝিয়ে দেওয়া গিয়েছে । কিন্তু সামনের রাস্তাটা যথেষ্টই বন্ধুর । দুর্ভাগ্যবশত বেশ কিছু দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্রেফ দুর্দান্ত কিছু হেডলাইন তৈরির জন্য এমন খবর পরিবেশন করছে , যেন মনে হচ্ছে চিনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আমরা একটা দু্র্দান্ত যুদ্ধে জয়লাভ করেছি । এ সবের ফলে আমাদের মধ্যে একটা আত্মতুষ্টির ভাব তৈরি হচ্ছে ।

কঠিন বাস্তবটা হল এই যে, চিনের সেনারা এখনও ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে । দেশ যে এর সমুচিত জবাব দেবে, তা অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন । আমরা সিঁড়ির মাত্র একটি ধাপ উঠেছি এবং এর পরের প্রতিটি ধাপ যথেষ্টই বিপদসঙ্কুল । সংঘর্ষ কখনও এক তরফা হতে পারে না এবং সব সময়ই বিরোধী পক্ষের হাতে কিছু অস্ত্র থাকে । তাই চিনের যে কোনও রকম পদক্ষেপের জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। এই পদক্ষেপ যে কোনও দিক থেকে আসতে পারে । এমনকী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিয়ন্ত্রিত সেনা হামলা হতে পারে ।

শক্তিশালী এবং আগ্রাসী এক প্রতিবেশীকে ঠেকিয়ে রাখতে এবং দীর্ঘকালীন এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকারকে যথেষ্ট সাবধানী পদক্ষেপ করতে হবে । ভবিষ্যতের কর্মপদ্ধতি এবং নীতির ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা হতে হবে একেবারে পরিষ্কার ।

ভারতকে যখন সম্ভাব্য সব পরিস্থির দিকে নজর রাখতে হবে, পাশাপাশি চিনের নেতৃত্বকেও তাদের এই আচরণের সম্ভাব্য ফলাফল বুঝতে হবে । স্রেফ একটি ল়ড়াই জিতলেই যুদ্ধে জেতা হয়ে গেল— এই ধরনের মূর্খের ভাবনা থেকে সরে আসাই ভালো । ক্যাথেল জে নোলান তাঁর বিখ্যাত বই ‘দা অ্যালিউর অফ ব্যাটেল’-এ লিখেছেন, “যুদ্ধে একটা দিনের জয়টাই সব নয় । জিততে হবে সেই বছর, সেই দশকও । সেই যুদ্ধ যেন রাজনৈতিক ভাবেও জেতা হয় । আর সেটা না হলে কিছু সময়ের বিরতির পর ফের যুদ্ধ চলতে থাকবে ।”

প্যাংগংয়ের উত্তর প্রান্তে ফিঙ্গার দখল করে চিনা সেনারা হয়ত ভাবছে যে যুদ্ধ জয় হয়ে গিয়েছে । কিন্তু আমরা আজ এমন এক যুগে দাঁড়িয়ে রয়েছি, যেখানে এই দুই দেশের বিবাদ এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে । এই বিবাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অজানা । কিন্তু এখনই যুদ্ধ জয় হয়ে গিয়েছে, এই বোধ দুই দেশের ক্ষেত্রেই মূর্খামি হবে ।

নিজের বিভিন্ন কাজ দিয়ে দেশকে চমকে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির । তেমনই একটা দিন ছিল 3 জুলাই ৷ যখন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী লেহ-তে পৌঁছে আহত সেনাদের সঙ্গে কথা বলছেন ৷ এবং তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতে বক্তৃতা রাখছেন । পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং দুই দেশের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ।

সংঘর্ষের এলাকার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর থেকেই বোঝা যায় যে, সরকার এই বিষয়টাকে ঠিক কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে । দেশের একটা মহলের ধারণা ছিল যে, সরকার বিষয়টিকে একেবারেই সে ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না ৷ কারণ সরকার আশা করছে এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের সেনা পর্যায়ের কথাবার্তাতেই মিটে যাবে । সরকারের সেই ধারণা ছিন্নভিন্ন হয় 15 জুন গলওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা যে, চিনের এখনকার কাজকর্ম তাদের এত বছরের কাজকর্মের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । এত বছরের বিভিন্ন সমস্যা দুই দেশের সেনাস্তরের কথাবার্তায় সমাধান হলেও বর্তমানের সমস্যাগুলি এত সহজে মেটার নয় । গত প্রায় দুই মাস ধরে চিনের বিদেশমন্ত্রী ক্রমাগত বলে চলেছেন এই অঞ্চলের শান্তি ও উত্তেজনা প্রশমনের কথা । কিন্তু কথায় এ কথা বললেও কাজে একেবারেই বিপরীত ছিল চিন । তারা গলওয়ান উপত্যকায় নিজেদের অনৈতিক দাবি জানায় এবং ভারতীয় সীমানার মধ্যে ঢুকে সেনা তৎপরতা বাড়াতে থাকে ।

সেনা পর্যায়ে দুই দেশের আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়াকে ভারত যে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না, তারই প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর এই লাদাখ সফর । প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানতেন যে, তাঁর এই সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে চিন । বাস্তব ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী সফরের পর চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “এই পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষেরই এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে ।” এই সফরের ফলে কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারত কঠিন পদক্ষেপ করতেও তৈরি ।

সে দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল যথেষ্ট কড়া ও চাঁছাছোলা । চিনের এই আগ্রাসী আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, “ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে, সম্প্রসারণবাদীরা হয় হেরে গিয়েছে, না হয় পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।” ভারত যে দুর্বল ভাবে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবে না, তার বড় প্রমাণ ছিল এই বক্তৃতা ।

দেশের আমজনতার কথাও মাথায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর । চিনের সেনারা ভারতের সীমান্তে ঢোকেইনি, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের যথেষ্ট সমালোচনা হয় । এরপর দেশের নাগরিকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার খুব প্রয়োজন ছিল যে, ভারত যেকোনও রকম চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে তৈরি । সরকারের কড়া মনোভাবের আরও উদাহরণ মেলে যখন দেশের বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রজেক্ট, বিদ্যুৎক্ষেত্র এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে চিনা বিনিয়োগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়।

ভারতের মনোভাব যথেষ্ট ভালোভাবে চিনকে বুঝিয়ে দেওয়া গিয়েছে । কিন্তু সামনের রাস্তাটা যথেষ্টই বন্ধুর । দুর্ভাগ্যবশত বেশ কিছু দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্রেফ দুর্দান্ত কিছু হেডলাইন তৈরির জন্য এমন খবর পরিবেশন করছে , যেন মনে হচ্ছে চিনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আমরা একটা দু্র্দান্ত যুদ্ধে জয়লাভ করেছি । এ সবের ফলে আমাদের মধ্যে একটা আত্মতুষ্টির ভাব তৈরি হচ্ছে ।

কঠিন বাস্তবটা হল এই যে, চিনের সেনারা এখনও ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে । দেশ যে এর সমুচিত জবাব দেবে, তা অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন । আমরা সিঁড়ির মাত্র একটি ধাপ উঠেছি এবং এর পরের প্রতিটি ধাপ যথেষ্টই বিপদসঙ্কুল । সংঘর্ষ কখনও এক তরফা হতে পারে না এবং সব সময়ই বিরোধী পক্ষের হাতে কিছু অস্ত্র থাকে । তাই চিনের যে কোনও রকম পদক্ষেপের জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। এই পদক্ষেপ যে কোনও দিক থেকে আসতে পারে । এমনকী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিয়ন্ত্রিত সেনা হামলা হতে পারে ।

শক্তিশালী এবং আগ্রাসী এক প্রতিবেশীকে ঠেকিয়ে রাখতে এবং দীর্ঘকালীন এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকারকে যথেষ্ট সাবধানী পদক্ষেপ করতে হবে । ভবিষ্যতের কর্মপদ্ধতি এবং নীতির ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা হতে হবে একেবারে পরিষ্কার ।

ভারতকে যখন সম্ভাব্য সব পরিস্থির দিকে নজর রাখতে হবে, পাশাপাশি চিনের নেতৃত্বকেও তাদের এই আচরণের সম্ভাব্য ফলাফল বুঝতে হবে । স্রেফ একটি ল়ড়াই জিতলেই যুদ্ধে জেতা হয়ে গেল— এই ধরনের মূর্খের ভাবনা থেকে সরে আসাই ভালো । ক্যাথেল জে নোলান তাঁর বিখ্যাত বই ‘দা অ্যালিউর অফ ব্যাটেল’-এ লিখেছেন, “যুদ্ধে একটা দিনের জয়টাই সব নয় । জিততে হবে সেই বছর, সেই দশকও । সেই যুদ্ধ যেন রাজনৈতিক ভাবেও জেতা হয় । আর সেটা না হলে কিছু সময়ের বিরতির পর ফের যুদ্ধ চলতে থাকবে ।”

প্যাংগংয়ের উত্তর প্রান্তে ফিঙ্গার দখল করে চিনা সেনারা হয়ত ভাবছে যে যুদ্ধ জয় হয়ে গিয়েছে । কিন্তু আমরা আজ এমন এক যুগে দাঁড়িয়ে রয়েছি, যেখানে এই দুই দেশের বিবাদ এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে । এই বিবাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অজানা । কিন্তু এখনই যুদ্ধ জয় হয়ে গিয়েছে, এই বোধ দুই দেশের ক্ষেত্রেই মূর্খামি হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.