ETV Bharat / bharat

লাগানো হয় আগুন, দিল্লি কাণ্ডে দুষ্কৃতী ঘাঁটি তৈরি হয়েছিল স্কুলে - পুলিশ

দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় দুষ্কৃতীদের আশ্রয়স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বিভিন্ন স্কুলগুলিকে ৷ দিল্লির শিববিহারের দুটি স্কুল ও ব্রিজপুরির একটি স্কুলে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় ও আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ ওই স্কুলগুলিতে লুকিয়ে থেকেই স্থানীয় অঞ্চলে হামলা চালায় তারা, অভিযোগ এমনই ৷

Mobs used school as base for attack
শিক্ষাকেন্দ্রই আক্রমণকারীদের আখড়া
author img

By

Published : Feb 28, 2020, 9:13 PM IST

দিল্লি, 28 ফেব্রুয়ারি: শিক্ষাকেন্দ্রই আক্রমণকারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ৷ এমনই পরিস্থিতি হয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ৷ সোমবার শিববিহার অঞ্চলের একটি স্কুলে প্রথমে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী ৷ সেই স্কুলকে পরে 24 ঘণ্টার জন্য আক্রমণের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে দিল্লি সন্ত্রাসে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা ৷

সোমবার DRP কনভেন্ট স্কুলে পরীক্ষা চলছিল ৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা সুরক্ষিতভাবেই বাড়ি পৌছায় ৷ দুষ্কৃতীরা পাশের রাজধানী স্কুলের ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে প্রবেশ করে DRP কনভেন্ট স্কুলে ৷ প্রায় 1300 ছাত্র-ছাত্রী পড়ে ওই স্কুলে ৷ সেখানে ঢুকেই তারা ব্ল্যাকবোর্ড ভাঙচুর করে, স্কুলের যাবতীয় চেয়ার, টেবিল ও লাইব্রেরিতে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ 24 ঘণ্টা ধরে ওই বাড়ির ভিতর থেকেই স্থানীয় অঞ্চলে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷

ওই স্কুলের এক কর্মী যিনি বিগত 25 বছর ধরে কাজ করছেন, তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে টানা 24 ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলে ৷ দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা আসেনি ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে তিনদিন পর ৷ হামলার আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের কোনও ক্ষতি হয়নি ৷’’

DRP কনভেন্ট স্কুলে হামলার আগে দুষ্কৃতীরা লাগোয়া রাজধানী স্কুলেও হামলা চালায় ৷ রাজধানী স্কুলের দুই কর্মী মনোজ (নিরাপত্তারক্ষী) ও রাজকুমার (চালক) তাঁদের পরিবার সহ 60 ঘণ্টা ওই স্কুলে আটকে ছিলেন ৷ নিরাপত্তারক্ষী মনোজ বলেন, ‘‘ওরা আমাদের আটকে রেখেছিল, মারধর করছিল ৷ বাচ্চাদেরও মারতে গিয়েছিল তারা ৷ সমস্ত খাবার খেয়ে নিয়েছিল ৷ আমাদের জন্য কোনও খাবারও ছিল না ৷’’

স্কুলের মালিক ফয়জ়ল ফারুক বলেন,‘‘সোমবার স্কুলে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ স্কুলের সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ আমরা বারবার পুলিশকে ফোন করলেও তারা আসেনি ৷’’

বিগত পাঁচদিনে অন্তত তিনটি স্কুল ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা ৷ সোমবার রাজধানী ও DRP কনভেন্ট স্কুলে এবং মঙ্গলবার ব্রিজপুরির একটি স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ ঘটনার 4 ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর আগুন নেভাতে আসে দমকল ৷ তবে কোনও পড়ুয়া এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়নি, কারণ পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা বাড়ি চলে গিয়েছিল ৷

দিল্লি, 28 ফেব্রুয়ারি: শিক্ষাকেন্দ্রই আক্রমণকারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ৷ এমনই পরিস্থিতি হয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ৷ সোমবার শিববিহার অঞ্চলের একটি স্কুলে প্রথমে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী ৷ সেই স্কুলকে পরে 24 ঘণ্টার জন্য আক্রমণের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে দিল্লি সন্ত্রাসে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা ৷

সোমবার DRP কনভেন্ট স্কুলে পরীক্ষা চলছিল ৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা সুরক্ষিতভাবেই বাড়ি পৌছায় ৷ দুষ্কৃতীরা পাশের রাজধানী স্কুলের ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে প্রবেশ করে DRP কনভেন্ট স্কুলে ৷ প্রায় 1300 ছাত্র-ছাত্রী পড়ে ওই স্কুলে ৷ সেখানে ঢুকেই তারা ব্ল্যাকবোর্ড ভাঙচুর করে, স্কুলের যাবতীয় চেয়ার, টেবিল ও লাইব্রেরিতে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ 24 ঘণ্টা ধরে ওই বাড়ির ভিতর থেকেই স্থানীয় অঞ্চলে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷

ওই স্কুলের এক কর্মী যিনি বিগত 25 বছর ধরে কাজ করছেন, তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে টানা 24 ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলে ৷ দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা আসেনি ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে তিনদিন পর ৷ হামলার আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের কোনও ক্ষতি হয়নি ৷’’

DRP কনভেন্ট স্কুলে হামলার আগে দুষ্কৃতীরা লাগোয়া রাজধানী স্কুলেও হামলা চালায় ৷ রাজধানী স্কুলের দুই কর্মী মনোজ (নিরাপত্তারক্ষী) ও রাজকুমার (চালক) তাঁদের পরিবার সহ 60 ঘণ্টা ওই স্কুলে আটকে ছিলেন ৷ নিরাপত্তারক্ষী মনোজ বলেন, ‘‘ওরা আমাদের আটকে রেখেছিল, মারধর করছিল ৷ বাচ্চাদেরও মারতে গিয়েছিল তারা ৷ সমস্ত খাবার খেয়ে নিয়েছিল ৷ আমাদের জন্য কোনও খাবারও ছিল না ৷’’

স্কুলের মালিক ফয়জ়ল ফারুক বলেন,‘‘সোমবার স্কুলে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ স্কুলের সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ আমরা বারবার পুলিশকে ফোন করলেও তারা আসেনি ৷’’

বিগত পাঁচদিনে অন্তত তিনটি স্কুল ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা ৷ সোমবার রাজধানী ও DRP কনভেন্ট স্কুলে এবং মঙ্গলবার ব্রিজপুরির একটি স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ ঘটনার 4 ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর আগুন নেভাতে আসে দমকল ৷ তবে কোনও পড়ুয়া এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়নি, কারণ পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা বাড়ি চলে গিয়েছিল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.