দিল্লি, 27 মে : আজ দিল্লিতে ভারতীয় সেনা কমান্ডারদের বৈঠক হল । সেখানে সিকিম, লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর । পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার অনেক আগেই এই বৈঠক ঠিক করা হয়েছিল ।
এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন সেনাপ্রধান জেনেরাল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা লাদাখে চিনের আগ্রাসন-সহ সমস্ত সুরক্ষা ইশু আলোচনার জন্য এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন বলে সেনাবাহিনীর এক প্রবীণ অফিসার জানান ।
সেনা কমান্ডারদের এই বৈঠক শীর্ষ স্তরের দ্বিবার্ষিক অনুষ্ঠান, যা 2020 সালের এপ্রিলে হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু, কোরোনার জেরে এই বৈঠক স্থগিত হয়েছিল । নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধারণাগত স্তরের আলোচনার সুবিধার্থে এরপর এই বৈঠক দু'টি পর্যায়ে আয়োজন করা হবে । বৈঠকের প্রথম পর্বটি বুধবার, 22 মে শুরু হয়েছিল এবং এটি 29 মে পর্যন্ত চলবে । দ্বিতীয় পর্ব 2020 সালের জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে ।
দক্ষিণ ব্লকে শুরু হওয়া প্রথম পর্ব চলাকালীন রসদ ও মানবসম্পদ সম্পর্কিত স্টাডি-সহ পরিচালনা ও প্রশাসনিক বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে । এর মধ্যে চিনের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লাদাখের কাছে সীমান্ত রেখার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন । পরিস্থিতি বুঝতে ও সেনাবাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করতে ডিফেন্স স্টাফ জেনেরাল প্রধান বিপিন রাওয়াত ও তিনজন সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ।
রাজনাথ সিংকে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ভারতের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল । বৈঠকে এটি পরিষ্কার করা হয়েছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিস্থিতি বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবে । সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সড়ক নির্মাণ অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে ও চিনের সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে ভারতও সামঞ্জস্য বজায় রাখবে ।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতির স্বাভাবিক করার জন্য একাধিকবার সভা করেছে । তবে, এই বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি । রবিবার শেষ বৈঠক হয় । কিন্তু সূত্রের খবর, অনেক বিষয় সমাধান করা হয়নি । সামরিক কমান্ডারদের নিয়ে এই বিষয়ে পাঁচ দফা বৈঠক হলেও কোনও অগ্রগতি হয়নি ।