ETV Bharat / bharat

রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি না করার চাপ দেওয়া হয়েছে কুলভূষণকে : বিদেশমন্ত্রক - বিদেশমন্ত্রক

"কুলভূষণ যাতে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি না করেন, সে জন্য নিশ্চয়ই তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে ৷ " এমনই মনে করছে বিদেশমন্ত্রক ৷

Kulbhushan Jadhav
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jul 9, 2020, 12:35 AM IST

দিল্লি, 9 জুলাই : "মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি করেননি কুলভূষণ যাদব ৷ তিনি সাজা মুকুবের আবেদন করতে চাইছেন ৷" ইসলামাবাদের এই দাবিই পুরোপুরি উড়িয়ে দিল দিল্লি ৷ বিদেশমন্ত্রকের তরফে আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যেভাবে কুলভূষণ যাদবের মামলার রায় এসেছে তা একপ্রকার প্রহসন ৷

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্টে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার পর থেকেই দিল্লির তরফ থেকে জোরদার বিরোধিতা করা শুরু হয় ৷ আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত মামলায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় ৷ আন্তর্জাতিক আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার সময়ে ভারতেরও প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে ৷ এরপর কেটে গেছে প্রায় এক বছর ৷ এই অবস্থায় ইসলামাবাদের থেকে এমন দাবি নিছক একটা পরিহাস বলেই মনে করছে দিল্লি ৷ বিদেশমন্ত্রকের আজকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বিগত চার বছর ধরে যে নাটক চলে আসছে, তাই চালিয়ে যেতে চাইছে পাকিস্তান ৷ "

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "কুলভূষণকে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা প্রহসন ৷ তাঁকে পাকিস্তানের সেনা হেপাজতে রাখা হয়েছে ৷ তিনি যাতে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি না করেন, সে জন্য নিশ্চয়ই তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে ৷"

এদিকে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনেরাল আহমেদ ইরফান জানিয়েছেন, "17 জুন কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি করার জন্য বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি ফের প্রাণভিক্ষার আবেদনই করতে চাইছেন ৷ তাঁকে দ্বিতীয় এক আইনজীবীও দেওয়া হচ্ছে ৷ "

কুলভূষণ যাদব একজন প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক ৷ 2016 সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হন তিনি ৷ এর এক বছর পর পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্টে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ৷ এরপর 2017 সালে কুলভূষণের মামলা নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ৷ গত বছরের জুলাইতে আন্তর্জাতিক আদালতের থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের রায় অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে ৷ ততদিন পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখতে হবে ৷ পাশাপাশি মামলায় ভারতীয় আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব না থাকতে দেওয়া নিয়েও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল আন্তর্জাতিক আদালত ৷ ভারতের তরফে বারবার বলা হচ্ছিল, ভারতীয় আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব না থাকাটা ভিয়েনা সম্মেলনের চুক্তিবিরুদ্ধ ৷ আন্তর্জাতিক আদালত কার্যত দিল্লির এই দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছিল ৷

কুলভূষণ যে ভারতের গুপ্তচর নয়, সেকথা বারবার বলে এসেছে দিল্লি ৷ কুলভূষণ নৌসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা চালাতেন ৷ সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে বারবার জানানো হয়েছে দিল্লি থেকে ৷ কিন্তু পাকিস্তান বলছে, তাঁকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷

দিল্লি, 9 জুলাই : "মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি করেননি কুলভূষণ যাদব ৷ তিনি সাজা মুকুবের আবেদন করতে চাইছেন ৷" ইসলামাবাদের এই দাবিই পুরোপুরি উড়িয়ে দিল দিল্লি ৷ বিদেশমন্ত্রকের তরফে আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যেভাবে কুলভূষণ যাদবের মামলার রায় এসেছে তা একপ্রকার প্রহসন ৷

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্টে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার পর থেকেই দিল্লির তরফ থেকে জোরদার বিরোধিতা করা শুরু হয় ৷ আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত মামলায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় ৷ আন্তর্জাতিক আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার সময়ে ভারতেরও প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে ৷ এরপর কেটে গেছে প্রায় এক বছর ৷ এই অবস্থায় ইসলামাবাদের থেকে এমন দাবি নিছক একটা পরিহাস বলেই মনে করছে দিল্লি ৷ বিদেশমন্ত্রকের আজকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বিগত চার বছর ধরে যে নাটক চলে আসছে, তাই চালিয়ে যেতে চাইছে পাকিস্তান ৷ "

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "কুলভূষণকে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা প্রহসন ৷ তাঁকে পাকিস্তানের সেনা হেপাজতে রাখা হয়েছে ৷ তিনি যাতে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি না করেন, সে জন্য নিশ্চয়ই তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে ৷"

এদিকে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনেরাল আহমেদ ইরফান জানিয়েছেন, "17 জুন কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি করার জন্য বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি ফের প্রাণভিক্ষার আবেদনই করতে চাইছেন ৷ তাঁকে দ্বিতীয় এক আইনজীবীও দেওয়া হচ্ছে ৷ "

কুলভূষণ যাদব একজন প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক ৷ 2016 সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হন তিনি ৷ এর এক বছর পর পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্টে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ৷ এরপর 2017 সালে কুলভূষণের মামলা নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ৷ গত বছরের জুলাইতে আন্তর্জাতিক আদালতের থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের রায় অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে ৷ ততদিন পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখতে হবে ৷ পাশাপাশি মামলায় ভারতীয় আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব না থাকতে দেওয়া নিয়েও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল আন্তর্জাতিক আদালত ৷ ভারতের তরফে বারবার বলা হচ্ছিল, ভারতীয় আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব না থাকাটা ভিয়েনা সম্মেলনের চুক্তিবিরুদ্ধ ৷ আন্তর্জাতিক আদালত কার্যত দিল্লির এই দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছিল ৷

কুলভূষণ যে ভারতের গুপ্তচর নয়, সেকথা বারবার বলে এসেছে দিল্লি ৷ কুলভূষণ নৌসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা চালাতেন ৷ সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে বারবার জানানো হয়েছে দিল্লি থেকে ৷ কিন্তু পাকিস্তান বলছে, তাঁকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.