ETV Bharat / bharat

কোরোনা নিরাময়ের জাল ওষুধ, কিটে ছেয়ে গিয়েছে বাজার - coronavirus condition overview

খনও পর্যন্ত বাজারে যেহেতু COVID-19 সংক্রমণ রুখতে সক্ষম কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ আসেনি, তাই FDA নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছে, তারা যেন এই সব নকল পণ্য এবং দাবিদাওয়া থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন । COVID-19–এর অ্যান্টিডোট তৈরি করার জন্য আমরা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করে চলেছি।

image
কোরোনা নিরাময়ের জাল ওষুধ
author img

By

Published : Mar 27, 2020, 10:21 PM IST

অ্যামেরিকায় যত দ্রুত গতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, ততটাই সমান তালে বাড়ছে করোনার জাল পরীক্ষা কিট এবং ওষুধের সংখ্যা । জনতার মধ্যে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কেরই সুবিধা নিচ্ছে কিছু সংস্থা । আবার এমনও কিছু সংস্থা আছে, যারা ক্রমাগত কোরোনা ভাইরস টেস্টিং কিটের বিজ্ঞাপন পাঠাচ্ছে লোকজনকে । এইরকমই কিছু সংস্থা দাবি করছে যে তারা ভাইরাস নিরাময়ের উপায় আবিষ্কার করে ফেলেছে । প্রচুর মানুষ ইতিমধ্যেই এমন কিট এবং ওষুধ কিনেও ফেলেছেন । বাকি আরও অনেকে এই কিট এবং ওষুধ কেনার জন্য অর্ডার দিয়ে দিয়েছেন । আর এরপরই জাল টেস্টিং কিট ও ওষুধের রমরমা বন্ধ করতে এগিয়ে এসেছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন । তারা স্পষ্টভাবে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে যে এই ধরনের কোনও কিট বা ওষুধ তারা অনুমোদন করেন না ।

এখনও পর্যন্ত বাজারে যেহেতু COVID-19 সংক্রমণ রুখতে সক্ষম কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ আসেনি, তাই FDA নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছে, তারা যেন এই সব নকল পণ্য এবং দাবিদাওয়া থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন । COVID-19–এর অ্যান্টিডোট তৈরি করার জন্য আমরা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করে চলেছি। কিন্তু তার মধ্যেই কিছু সংস্থা অননুমোদিত পণ্য বাজারে এনে এই জরুরি অবস্থার সুযোগ তুলতে চাইছে । তাই নাগরিকদের উচিত, সতর্ক থাকা এবং এই ধরনের ওষুধ না ব্যবহার করা । USFDA-র তরফে নাগরিকদের কাছে এই আবেদনই করা হয়েছিল । সংস্থা আরও জানিয়েছিল যে, এই ধরনের জাল পণ্যে অনলাইন বাজার ছেয়ে গিয়েছে । কোরোনার হোম টেস্টিং কিট বাড়িতে থাকাটা নিঃসন্দেহে উপকারী, কিন্তু FDA এটা নিশ্চিত করেছে যে, এই ধরনের কোনও কিট এখনও পর্যন্ত তৈরিই হয়নি । সংস্থার তরফে এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে , যে সব ভণ্ড বিক্রেতারা এই কিট ও ওষুধ বাজারে আনছেন, তাদের উপর নজর রাখতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে তারা । এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে । কিছু কিছু মার্কিন ফার্মা বায়োটেক সংস্থা কোরোনা প্রতিরোধে উপযোগী ওষুধ এবং টীকা আবিষ্কারের সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। USFDA জানিয়েছে, এই সব ওষুধের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা এখনও বাকি।

তবে কেবলমাত্র অ্যামেরিকাতেই এই প্রবণতা সীমাবদ্ধ নেই । ভারতেও উদ্বিগ্ন নাগরিকরা ওষুধের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি–ম্যালেরিয়ার ওষুধ কিনতে । এই কারণেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ওষুধের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অ্যাজিথ্রোমাইসিন এবং অ্যামোক্সিলিন ক্যাপসুল বাজারে অমিল । তেমনভাবেই ম্যালেরিয়া এবং মরশুমী অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়ত ক্লোরোকুইন এবং লিভোসেট্রিজিন ট্যাবলেটেরও আকাল দেখা দিচ্ছে । অন্যদিকে, শরীরে রোগ প্রতিরোধক শক্তি বাড়ানোর দাবি করা ওষুধ বাজারে ছেয়ে গিয়েছে । হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকানের বাইরেও লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে । কিছু কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেলে নাকি কোরোনা ভাইরাস নির্মূল হয়ে যায় । আর তাই উদ্বেগের বশে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকান থেকে বেশি বেশি করে ওষুধ কিনতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে । চিকিৎসাবিশারদরা অবশ্যই সকলকে সতর্ক করছেন, ওষুধপত্র নিয়ে এভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ঠিক নয় । তাঁরা নাগরিকদের কাছে আবেদন করছেন যে, নিজে থেকে ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন । যেহেতু COVID-19 সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে কোনও অনুমোদিত ওষুধ নেই, তাই মানুষের উচিত গুজবে কান না দেওয়া এবং কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যবিদের পরামর্শ নেওয়া।

অ্যামেরিকায় যত দ্রুত গতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, ততটাই সমান তালে বাড়ছে করোনার জাল পরীক্ষা কিট এবং ওষুধের সংখ্যা । জনতার মধ্যে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কেরই সুবিধা নিচ্ছে কিছু সংস্থা । আবার এমনও কিছু সংস্থা আছে, যারা ক্রমাগত কোরোনা ভাইরস টেস্টিং কিটের বিজ্ঞাপন পাঠাচ্ছে লোকজনকে । এইরকমই কিছু সংস্থা দাবি করছে যে তারা ভাইরাস নিরাময়ের উপায় আবিষ্কার করে ফেলেছে । প্রচুর মানুষ ইতিমধ্যেই এমন কিট এবং ওষুধ কিনেও ফেলেছেন । বাকি আরও অনেকে এই কিট এবং ওষুধ কেনার জন্য অর্ডার দিয়ে দিয়েছেন । আর এরপরই জাল টেস্টিং কিট ও ওষুধের রমরমা বন্ধ করতে এগিয়ে এসেছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন । তারা স্পষ্টভাবে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে যে এই ধরনের কোনও কিট বা ওষুধ তারা অনুমোদন করেন না ।

এখনও পর্যন্ত বাজারে যেহেতু COVID-19 সংক্রমণ রুখতে সক্ষম কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ আসেনি, তাই FDA নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছে, তারা যেন এই সব নকল পণ্য এবং দাবিদাওয়া থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন । COVID-19–এর অ্যান্টিডোট তৈরি করার জন্য আমরা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করে চলেছি। কিন্তু তার মধ্যেই কিছু সংস্থা অননুমোদিত পণ্য বাজারে এনে এই জরুরি অবস্থার সুযোগ তুলতে চাইছে । তাই নাগরিকদের উচিত, সতর্ক থাকা এবং এই ধরনের ওষুধ না ব্যবহার করা । USFDA-র তরফে নাগরিকদের কাছে এই আবেদনই করা হয়েছিল । সংস্থা আরও জানিয়েছিল যে, এই ধরনের জাল পণ্যে অনলাইন বাজার ছেয়ে গিয়েছে । কোরোনার হোম টেস্টিং কিট বাড়িতে থাকাটা নিঃসন্দেহে উপকারী, কিন্তু FDA এটা নিশ্চিত করেছে যে, এই ধরনের কোনও কিট এখনও পর্যন্ত তৈরিই হয়নি । সংস্থার তরফে এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে , যে সব ভণ্ড বিক্রেতারা এই কিট ও ওষুধ বাজারে আনছেন, তাদের উপর নজর রাখতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে তারা । এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে । কিছু কিছু মার্কিন ফার্মা বায়োটেক সংস্থা কোরোনা প্রতিরোধে উপযোগী ওষুধ এবং টীকা আবিষ্কারের সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। USFDA জানিয়েছে, এই সব ওষুধের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা এখনও বাকি।

তবে কেবলমাত্র অ্যামেরিকাতেই এই প্রবণতা সীমাবদ্ধ নেই । ভারতেও উদ্বিগ্ন নাগরিকরা ওষুধের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি–ম্যালেরিয়ার ওষুধ কিনতে । এই কারণেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ওষুধের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অ্যাজিথ্রোমাইসিন এবং অ্যামোক্সিলিন ক্যাপসুল বাজারে অমিল । তেমনভাবেই ম্যালেরিয়া এবং মরশুমী অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়ত ক্লোরোকুইন এবং লিভোসেট্রিজিন ট্যাবলেটেরও আকাল দেখা দিচ্ছে । অন্যদিকে, শরীরে রোগ প্রতিরোধক শক্তি বাড়ানোর দাবি করা ওষুধ বাজারে ছেয়ে গিয়েছে । হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকানের বাইরেও লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে । কিছু কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেলে নাকি কোরোনা ভাইরাস নির্মূল হয়ে যায় । আর তাই উদ্বেগের বশে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকান থেকে বেশি বেশি করে ওষুধ কিনতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে । চিকিৎসাবিশারদরা অবশ্যই সকলকে সতর্ক করছেন, ওষুধপত্র নিয়ে এভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ঠিক নয় । তাঁরা নাগরিকদের কাছে আবেদন করছেন যে, নিজে থেকে ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন । যেহেতু COVID-19 সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে কোনও অনুমোদিত ওষুধ নেই, তাই মানুষের উচিত গুজবে কান না দেওয়া এবং কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যবিদের পরামর্শ নেওয়া।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.