জব্বলপুর, 24 জুলাই : ফ্রি-তে খাবার খেতে যাত্রী নিজেই রেলের দেওয়া খাবারে ফেলতেন টিকটিকি ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রেল আধিকারিকরা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । অভিযুক্ত সেই বৃদ্ধ জানান, তাঁর মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নেই ৷ ভুল করেছেন বলেও স্বীকার করেন ৷ অনুরোধ করেন, তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ দাবি করেন, তাঁর বাবাও রেলে একজন সিনিয়র DCM ছিলেন ৷ পাশাপাশি জানান, তিনি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ।
রেলের খাবারে পোকামাকড় জাতীয় কিছু পড়লে টাকা মকুব করে দেওয়া হয় । আর সেই সুযোগটাই নিতেন সুরেন্দ্র পাল । খাবারে টিকটিকি পড়ে গেছে বলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে টাকা মকুব করিয়েছিলেন বহুবার । কিছুদিন আগে জব্বলপুর এবং গুন্টকাল স্টেশনে একই ঘটনা ঘটায় সন্দেহ হয় রেলের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজারের । তারপরেই তদন্তে জানা যায় আসল বিষয়টি ।
এই বিষয়ে জব্বলপুরের সিনিয়র DCM বসন্ত কুমার শর্মা বলেন, "14 জুলাই এক ব্যক্তি জব্বলপুর স্টেশনে সিঙারাতে টিকটিকি পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন ৷ এরপর অন্য একটি স্টেশনে তিনি জানান, তাঁর বিরিয়ানিতেও টিকটিকি ৷ বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ৷"
আধিকারিকরা অবশ্য শুধুমাত্র সচেতন করে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন । সুরেন্দ্র পালকে বলা হয়, তাঁর এই ধরনের প্রতারণা করা উচিত হয়নি ৷ তবে শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির সত্যিই মানসিক সমস্যা বা ব্লাড ক্যানসার রয়েছে কি না তা জানা যায়নি ৷