পানিপথ, 26 সেপ্টেম্বর : ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিবিকে কুপিয়েছিল সে । কোপায় শ্যালিকাকেও । অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হয় তাঁদের । এরপর ? বিবি ও শ্যালিকার মৃতদেহের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করে । না, এখানেই শেষ নয় । কয়েকদিন পর শাশুড়িকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে । মৃতদেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে । পুলিশ জানিয়েছে, এইসব কথা জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত নুর হাসান । হরিয়ানার পানিপথের ঘটনা ।
ঘটনার সূত্রপাত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে । পর পর তিনটি জায়গা থেকে পুলিশ তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে । কিন্তু এই তিন মৃতদেহ যে কোনও সূত্রে বাঁধা আছে, তা প্রথমেই বুঝতে পারেনি পুলিশ ।
6 সেপ্টেম্বর । ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় মধু (25)-র মৃতদেহ । মধু অর্থাৎ নুর হাসানের বিবি । ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মৃতদেহ পাঠানো হয় । 7 সেপ্টেম্বর । অন্য জায়গা উদ্ধার হয় মনীশা (18)-র ক্ষতবিক্ষত দেহ । তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মনীশা মধুর বোন । ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় তাঁর দেহও । 8 সেপ্টেম্বর বুরশম গ্রামের কাছে উদ্ধার হয় জামিলার (48) অর্ধদগ্ধ দেহ ।
পরপর তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর কিছুটা চমকে যায় পুলিশ । কোনওভাবে তাদের মনে হয়, এই তিন খুনের পিছনে একজন ব্যক্তিরও হাত থাকতে পারে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, মনীশা ও মধুর মৃত্যু একইভাবে । দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে । এরপর পুলিশ যা জানে, তাতে শিউরে ওঠে অধিকাংশই । খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনসম্পর্কও করেছে নুর হাসান । যার বয়স মাত্র 27 । সম্পর্কে মধুর শওহর এবং মনীশার জামাইবাবু ।
11 সেপ্টেম্বর পানিপথের DSP সতীশ কুমারের অধীনে তদন্তকারী দল গঠন হয় । কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত । তা খতিয়ে দেখা শুরু করে এই দল । যে মহিলার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় তিনি জামিলা অর্থাৎ মধুর মা'র । 8 সেপ্টেম্বর গামরি গ্রাম থেকে শাশুড়িকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নুর । বুরশাম গ্রামের কাছে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে । তাঁর মৃতদেহর সঙ্গেও যৌনসম্পর্ক করে । তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য জ্বালিয়ে দেয় শাশুড়ির শরীর ।
23 সেপ্টেম্বর পানিপথ থেকে নুর হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাকে জেরা করা হয় । জেরায় নুর স্বীকার করে, স্ত্রী ও শ্যালিকাকে খুন করে তাঁদের মৃতদেহের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করেছে । খুন করেছে শাশুড়িকেও । কিন্তু কেন এই কাজ করল সে ? নুরের সন্দেহ ছিল তার বিবির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে । তার শ্যালিকা ও শাশুড়ি এই কাজে মদত দিচ্ছেন । এই রাগেই তাঁদের খুন করে নুর ।
নুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারা (খুন) এবং 201 ধারায় (প্রমাণ লোপাট) মামলা দায়ের করা হয়েছে ।