ETV Bharat / bharat

মহারি, ওড়িশি, গোটি পুয়া নৃত্য জগন্নাথ সংস্কৃতির একটি অংশ - Goti Pua Dance

জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার সময় বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশন করা হয় ৷ এই নৃত্য়ের মাধ্যমে শিল্পীরা প্রভু জগন্নাথকে শ্রদ্ধা জানান ৷

ওড়িশি নৃত্য
ওড়িশি নৃত্য
author img

By

Published : Jun 28, 2020, 7:34 PM IST

Updated : Jul 2, 2020, 1:01 PM IST

পুরী, 28 জুন : তিনি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের পরম প্রভু ৷ তাঁর ঐশ্বর্য বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে ৷ তিনি অদ্বিতীয় ৷ পৃথিবীতে তাঁর ভক্তের শেষ নেই ৷ যে কারণে জগন্নাথ সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান কেবল আকর্ষণীয়ই নয়, প্রকৃতির দিক থেকেও অত্যন্ত ধার্মিক।

জগন্নাথ সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে "মহারি" নৃত্য, "ওড়িশি" নৃত্য ও "গোটি পুয়া" নৃত্য ৷ দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে মন্দিরের ভিতরেই মেয়েরা একসঙ্গে "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করে ৷ ছেলেদের দল মিলে "গোটি পুয়া" নৃত্য পরিবেশন করে ৷ "ওড়িশি" নৃত্য ওড়িশার শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত ৷ এই রাজ্য তাদের ঐতিহ্যগত "গোটি পুয়া" নৃত্যের জন্যও গর্ব বোধ করে ৷

"মহারি" নৃত্যের বিষয়ে আলোচনা হলেই জগন্নাথ সংস্কৃতির অন্তর্গত "দেবদাসী"-র বিষয়টি সামনে চলেই আসে ৷ কারণ, জগন্নাথ সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য আচার ছিল, এই "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করত "দেবদাসী"-রা ৷ শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরের রেকর্ডে এই তথ্যগুলি রয়েছে ৷

"পহণ্ডি" আচার চলাকালীন প্রভুকে মন্দির থেকে রথে তোলার সময় এই "গোটি পুয়া" এবং "ওড়িশি নৃত্য" পরিবেশন করা হয় ৷ যা খুবই আকর্ষণীয় ৷ নৃত্য শিল্পীরা তাঁদের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ভক্তি ও গভীর ধর্মীয় অনুভূতি-সহ প্রভুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ৷ দেখে মনে হয়, নৃত্যশিল্পীরা তাঁদের নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে পরম প্রভুকে তাঁর ভ্রমণে স্বাগত জানাচ্ছেন ৷

মহারি, ওড়িশি, গোটি পুয়া নৃত্য জগন্নাথ সংস্কৃতির একটি অংশ

আগে যে সমস্ত নৃত্যশিল্পী "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করতেন, তাঁরা "দেবদাসী" হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ৷ শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের বিভিন্ন আচারের মধ্যে একটি হল "মহারি সেবা" ৷ "ছত্তিশা নিয়োগ" (জগন্নাথ দেবের 36 ধরনের সেবায়েত)-র মধ্যে এটা এক ধরনের নিয়োগ (সেবায়েতের ধরন) ৷ বাকি 35 ধরনের "নিয়োগ" পুরুষদের জন্য ৷ শুধু এই একটি "নিয়োগ"-ই মহিলাদের জন্য যা শুধুমাত্র "মহারি" নৃত্যের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয় ৷

আসল "দেবদাসী" শশীমণি দেবীর মৃত্যুর পর জগন্নাথ মন্দিরের এই আচার বিলুপ্ত হয়ে যায় ৷ যদিও, বর্তমানে কিছু নৃত্যশিল্পী "মহারি" নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এই জগন্নাথ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ৷

আগে জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন "সকাল ধূপা"-র সময় অর্থাৎ প্রভুর সকালের ভোগের সময়, "সন্ধ্যা ধূপা" অর্থাৎ প্রভুর সন্ধ্যায় ভোগের সময় এবং "বড়সিঙ্ঘার ধূপা" অর্থাৎ রাতে ভোগের সময় "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করা হত ৷ এছাড়া, "নন্দোৎসব", "জন্মাষ্টমী", "চন্দন যাত্রা" অর্থাৎ প্রভুর নৌকায় ভ্রমণ ও অন্যান্য উৎসবের সময় এই নৃত্য পরিবেশন করা হত ৷ কিন্তু, সময়ের সঙ্গে "মহারি" নৃত্যের বিলুপ্তির কারণে এখন শুধুমাত্র "ওড়িশি" ও "গোটি পুয়া" নৃত্য পরিবেশন করা হয় ৷

পুরী, 28 জুন : তিনি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের পরম প্রভু ৷ তাঁর ঐশ্বর্য বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে ৷ তিনি অদ্বিতীয় ৷ পৃথিবীতে তাঁর ভক্তের শেষ নেই ৷ যে কারণে জগন্নাথ সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান কেবল আকর্ষণীয়ই নয়, প্রকৃতির দিক থেকেও অত্যন্ত ধার্মিক।

জগন্নাথ সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে "মহারি" নৃত্য, "ওড়িশি" নৃত্য ও "গোটি পুয়া" নৃত্য ৷ দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে মন্দিরের ভিতরেই মেয়েরা একসঙ্গে "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করে ৷ ছেলেদের দল মিলে "গোটি পুয়া" নৃত্য পরিবেশন করে ৷ "ওড়িশি" নৃত্য ওড়িশার শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত ৷ এই রাজ্য তাদের ঐতিহ্যগত "গোটি পুয়া" নৃত্যের জন্যও গর্ব বোধ করে ৷

"মহারি" নৃত্যের বিষয়ে আলোচনা হলেই জগন্নাথ সংস্কৃতির অন্তর্গত "দেবদাসী"-র বিষয়টি সামনে চলেই আসে ৷ কারণ, জগন্নাথ সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য আচার ছিল, এই "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করত "দেবদাসী"-রা ৷ শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরের রেকর্ডে এই তথ্যগুলি রয়েছে ৷

"পহণ্ডি" আচার চলাকালীন প্রভুকে মন্দির থেকে রথে তোলার সময় এই "গোটি পুয়া" এবং "ওড়িশি নৃত্য" পরিবেশন করা হয় ৷ যা খুবই আকর্ষণীয় ৷ নৃত্য শিল্পীরা তাঁদের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ভক্তি ও গভীর ধর্মীয় অনুভূতি-সহ প্রভুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ৷ দেখে মনে হয়, নৃত্যশিল্পীরা তাঁদের নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে পরম প্রভুকে তাঁর ভ্রমণে স্বাগত জানাচ্ছেন ৷

মহারি, ওড়িশি, গোটি পুয়া নৃত্য জগন্নাথ সংস্কৃতির একটি অংশ

আগে যে সমস্ত নৃত্যশিল্পী "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করতেন, তাঁরা "দেবদাসী" হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ৷ শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের বিভিন্ন আচারের মধ্যে একটি হল "মহারি সেবা" ৷ "ছত্তিশা নিয়োগ" (জগন্নাথ দেবের 36 ধরনের সেবায়েত)-র মধ্যে এটা এক ধরনের নিয়োগ (সেবায়েতের ধরন) ৷ বাকি 35 ধরনের "নিয়োগ" পুরুষদের জন্য ৷ শুধু এই একটি "নিয়োগ"-ই মহিলাদের জন্য যা শুধুমাত্র "মহারি" নৃত্যের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয় ৷

আসল "দেবদাসী" শশীমণি দেবীর মৃত্যুর পর জগন্নাথ মন্দিরের এই আচার বিলুপ্ত হয়ে যায় ৷ যদিও, বর্তমানে কিছু নৃত্যশিল্পী "মহারি" নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এই জগন্নাথ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ৷

আগে জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন "সকাল ধূপা"-র সময় অর্থাৎ প্রভুর সকালের ভোগের সময়, "সন্ধ্যা ধূপা" অর্থাৎ প্রভুর সন্ধ্যায় ভোগের সময় এবং "বড়সিঙ্ঘার ধূপা" অর্থাৎ রাতে ভোগের সময় "মহারি" নৃত্য পরিবেশন করা হত ৷ এছাড়া, "নন্দোৎসব", "জন্মাষ্টমী", "চন্দন যাত্রা" অর্থাৎ প্রভুর নৌকায় ভ্রমণ ও অন্যান্য উৎসবের সময় এই নৃত্য পরিবেশন করা হত ৷ কিন্তু, সময়ের সঙ্গে "মহারি" নৃত্যের বিলুপ্তির কারণে এখন শুধুমাত্র "ওড়িশি" ও "গোটি পুয়া" নৃত্য পরিবেশন করা হয় ৷

Last Updated : Jul 2, 2020, 1:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.