রেওয়া (মধ্যপ্রদেশ), 18 অক্টোবর : প্রথমে স্ত্রী'কে গলা কেটে খুন করে । মায়ের নৃশংস মৃত্যু দেখে কাঁদছিল এক বছরের মেয়ে । তাই মেয়েকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে বছর 35-র চিন্দালাল সকেত । সারাদিন তাকে দেখে কিছু বোঝা যায়নি । স্ত্রী ও মেয়ের দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে 22 টুকরো করেছিল সে । ঘটনা মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার ।
পুলিশি জেরায় সবটা স্বীকার করে নেয় সকেত । জানায়, বুধবার রাতে তার স্ত্রী'র সঙ্গে বচসা বাধে । সেই থেকেই প্রথমে স্ত্রী'কে খুন করে । মেয়ে কাঁদছিল বলে এক বছরের মেয়েকেও খুন করে সে । কিন্তু বৃহস্পতিবার সারাদিন তাকে দেখে কেউ কিছু বুঝল না ?
রেওয়ার পুলিশ সুপারিটেনডেন্ট রাকেশ সিং জানান, প্রথমে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী'র গলা কাটে সকেত । মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে । এরপর মেয়েকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে । এরপর চলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা । প্রথমে, মেয়ে ও স্ত্রী'র দেহ 22টা টুকরো করে । কাপড়ে বেঁধে ফেলে কাটা টুকরোগুলো । ঘর পরিষ্কার করে ফেলে । মেঝে থেকে মুছে ফেলে রক্তের দাগ । এবং খুব সাধারণ ভঙ্গিতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় । সারাদিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে । আড্ডাও মারে । এরপর সেই কাপড়ের পুঁটলি বাড়ি থেকে সরানোর চেষ্টা করে । সেখানেই বিপত্তি বাধে ।
কাপড়ে বেঁধে স্ত্রী ও মেয়ের দেহ টুকরো নিয়ে বাড়ি থেকে রওনা দেয় বৃহস্পতিবার রাতে । জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল । ইতিমধ্যেই দেহের টুকরো থেকে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করে । সকেতকে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের । পচা গন্ধ পেতেই তাকে থামান তাঁরা । এরপর কাপড়ের পুঁটলি খুলে ফেলতেই বেরিয়ে আসে দেহের টুকরো । তখন পুলিশকে খবর দেয় গ্রামবাসী । শুক্রবার জেরায় সব কিছু স্বীকার করে নেয় সকেত ।
পুলিশকে সকেত জানায়, তার প্রথম স্ত্রী আটবছর আগে আত্মহত্যা করে । তার ভাইয়ের মৃত্যু হয় । ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী'কে বিয়ে করেছিল সে । সকেত যক্ষ্মা আক্রান্ত । তাই উপার্জনের জন্য শ্রমিকের কাজ করতেন সকেতের দ্বিতীয় স্ত্রী । স্ত্রী'র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ ছিল সকেতের । বুধবার রাতে অশান্তি হওয়ায় খুন করে স্ত্রী'কে ।
শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছে । এবং বিচার বিভাগীয় হেপাজতে তাকে পাঠানো হয়েছে ।