দিল্লি, 16 এপ্রিল: ‘‘লকডাউনে মিলবে না সুরাহা, প্রয়োজন ব্যাপক হারে পরীক্ষা’’-এমনটাই মত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ৷ ভিডিয়ো কনফারেন্সই এখন ভরসা সবার ৷ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন রাহুল গান্ধি ৷ কোরোনা মোকাবিলায় গোটা দেশকে হটস্পট ও নন-হটস্পট, এই দুইভাগে ভাগ করে নেওয়ার উপদেশও দিলেন কেন্দ্রকে ৷
দেশে কোরোনাভাইরাস দেখা দেওয়ার ঠিক পরই ইট্যালি থেকে ফিরেছিলেন তিনি ৷ বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং পেরিয়ে বাড়ি ঢোকার পর আর দেখা মোলেনি তার ৷ এতদিন পর তিনি সামনে এলেন ৷ বললেন, ‘‘লকডাউনের মাধ্যমে কোরোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না ৷ এতে কিছু সময়ের জন্য সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম ৷ কোরোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে একমাত্র উপায় হল টেস্ট ৷ সরকারের কাছে এটাই আমার উপদেশ ৷’’
তিনি ভিডিয়ো কনফারেন্সে বলেন,তার মতে, সরকার যে পদ্ধতিতে কোরোনা সংক্রমণ নির্ণয় করার চেষ্টা করছে, তাতে কখনই সঠিক চিত্র পাওয়া সম্ভব নয় ৷ তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে পরীক্ষা করার সংখ্যা অনেক কম ৷ রাজ্যগুলিকে কোরোনা মোকাবিলায় সাহায্য করতে সরকারের প্রয়োজন পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো এবং সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকারের উচিত নূন্যতম আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা ৷’’ তবে এটিকে সমালোচনা হিসাবে নয়, উপদেশ হিসাবে গ্রহণ করার আবেদন জানান তিনি ৷ বলেন, ‘‘আমি অতীতে যেতে চাই না ৷ একে অপরকে দোষ না দিয়ে আমাদের উচিত একত্রিত হয়ে কাজ করা ৷ তার বদলে আমাদের ভাণ্ডারকে সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত ও রাজ্য ও জেলাগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা উচিত ৷’’
কোরোনাভাইরাসের ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে দেশ ৷ তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বেকারত্বের প্রথম ঢেউ আসতে চলেছে ৷ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে যাতে আমাদের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস না হয়ে যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ৷
রাহুল গান্ধি প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল রাজ্যগুলির সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনায় বসা ৷ ওঁর কাজের পদ্ধতি আলাদা, আমরাও সেভাবেই মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারি ৷’’