কোয়ালিটি মানের টেস্ট কিটও ব্যবহারের আগে পরীক্ষা করে দেখা আবশ্যক । স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে COVID-19 যোগ করা উচিত । লকডাউনের মাধ্যমে আমরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি । অন্ধ্রপ্রদেশের মেডটেক জ়োন একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে । ভারত ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে । সেই দক্ষতা ভারতের আছে । লকডাউনের পরেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা প্রয়োজন ।
অ্যামেরিকা এবং চিন একটি ভয়ানক স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি । আমরা ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া আটকাতে কতটা সক্ষম ? লকডাউনের পরবর্তী পরিকল্পনা কী হওয়া উচিত ?
অন্যান্য দেশের থেকে ভারতের অবস্থা ভিন্ন । সাধারণ মানুষকে কঠোর সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেব । কারণ এই ভাইরাসের নেচার এখনও অজানা । লকডাউন শুরু করা খুব ভালো এক পদক্ষেপ । সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পেরেছে লকডাউন । কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের প্রতিটা পদক্ষেপ পজ়িটিভ ফলাফলই নিয়ে এসেছে ।
ভারতের মতো 130 কোটির দেশে কি সকলের টেস্ট করা সম্ভব ?
130 কোটি মানুষের টেস্ট করা প্রায় অসম্ভব । উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিকে টেস্ট করাই সঠিক হবে ।
কোরোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র কী ধরনের গবেষণা করছে ?
অনেক ভারতীয় কম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে । 18 মাস লাগতে পারে ভ্যাকসিন তৈরি করতে । ভারত যে কোনও ধরনের ওষুধ তৈরি করতে দক্ষ । কম-মূল্যে হেপাটাইটিস ভ্যাকসিন তৈরি করার ইতিহাস আমাদের রয়েছে । আমরা তা বিদেশে রপ্তানিও করেছি ।
চিনে যে কোরোনা ভাইরাসের উৎপত্তি এবং ভারতের কোরোনা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান কি আলাদা ?
ভাইরাস বৃহত্তর মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার পর মিউটেশনের সম্ভাবনা আছে । কিন্তু জেনেটিক উপাদানে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম । যদি কোনও পার্থক্য থাকে তা নগন্য ।
চিকিৎসার সামগ্রী তৈরিতে বিশখাপটনমের মেডটেক ঠিক কী ভূমিকা পালন করছে ? স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা ব্যবস্থায় কি তা মুখ্য ভূমিকায় থাকবে ?
মেডটেক ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে । আমরা দেশের জন্য চিকিৎসার সামগ্রী যেমন বানাচ্ছি তারই সঙ্গে বিদেশে রপ্তানির জন্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে । চিকিৎসার সামগ্রী কম দামে তৈরি হতে পারে । এই স্বাস্থ্য সংকটের সময় কম দামে সামগ্রী তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ ।
চিনের টেস্ট কিটগুলি থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে শোনা যাচ্ছে, এই কথা কি সত্যি ?
টেস্ট কিট থেকে সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনা নেই । কিন্তু কিটের মান উচ্চ হওয়া প্রয়োজন । আমাদের আমদানির আগে সেইগুলির মান পরীক্ষা করে নিতে হবে ।
আমরা কীভাবে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পারব ?
লকডাউনের পরেও মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে । যতদিন একটি ভ্যাকসিন না তৈরি হয়, সামাজিক দূরত্ব মাথায় রেখে চলতে হবে । ভাইরাস এখনও এখানেই আছে । আমাদের কোনও উপায় নেই, কিন্তু এক-দুই বছরের জন্য আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে । অসুস্থ এবং বৃদ্ধদের বেশি সতর্কতা মেনে চলতে হবে । কারণ তাঁদের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি ।
COVID-19-কে স্কুলের পাঠ্যক্রমে যোগ করতে হবে মানে আপনি কী বলছেন ?
আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ব্যক্তিগত হাইজ়িন বিষয়ে পড়াতে হবে । COVID-19-র পর বাচ্চাদের শেখাতে হবে ভবিষ্যতে কীভাবে ভাইরাসের মোকাবিলা করা যায় ।