ETV Bharat / bharat

দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টির জন্য দায়ি 'লা নিনা' আদতে কী ?

লা নিনা স্প্যানিশ শব্দ ৷ এর মানে, ছোট্ট মেয়ে ৷ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রের তাপমাত্রার অস্বাভাবিক শীতলতার দিকে ইঙ্গিত করে এই লা নিনা । কী এই লা নিনা ? বিস্তারিত আলোচনায় আর প্রিন্স জেবাকুমার ।

La Nina
ছবি
author img

By

Published : Jan 19, 2021, 10:53 PM IST

হায়দরাবাদ : আবহবিদ এবং বেসরকারি বৃষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে লা নিনার জন্য জানুয়ারিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি ৷ এর ফলে 1000 পারসেন্টেজ ডিপার্চার ফ্রম নরম্যাল (পিডিএন) এর থেকেও বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৷

জানুয়ারির 1 তারিখ থেকে 16 জানুয়ারি পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হয়েছে 136.3 মিলিমিটার ৷ এটা সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ৷ ওই সময়ে কেরালায় বৃষ্টি হয়েছে 102.1 মিলিমিটার ৷ ওই সময়ে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল 22 মিলিমিটার, 15 মিলিমিটার, 1.7 মিলিমিটার ৷

কেরালার বৃষ্টিপাতে পিডিএন-এর পরিমাণ 2073 ৷ যা সর্বাধিক ৷ কর্নাটকে এর পরিমাণ 1365, তামিলনাড়ুতে এর পরিমাণ 1008 ও অন্ধ্রপ্রদেশে এর পরিমাণ 150 ৷

তেলেঙ্গানা একমাত্র রাজ্য, যেখানে জানুয়ারিতে বৃষ্টির ব্যাপক পরিমাণ ঘাটতি ছিল ৷ জানুয়ারিতে এই রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ 5.4 মিলিমিটার ৷ আর এই রাজ্যের পিডিএন 68 ৷

জানুয়ারিতে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরালা ও কর্নাটকে স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ যথাক্রমে 12.3 মিলিমিটার, 6.1 মিলিমিটার, 5.4 মিলিমিটার, 4.7 মিলিমিটার ও 1.5 মিলিমিটার ৷

এই সময়টা দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে নর্থ ইস্ট মনসুন’স উইথড্রল (এনইএম)-এর সময় ৷ বিশেষজ্ঞদের অনুমান যে এর ফলে 1921 সালের সব বেশি বৃষ্টি হচ্ছে এই রাজ্যগুলিতে ৷ আর তা যদি না হয়, তাহলে এটা তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে চলেছে ৷

আরও পড়ুন : জি 20 বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, নজর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়

কে শ্রীকান্ত, একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় আবহাওয়া সংক্রান্ত ব্লগার, তিনি চেন্নাইয়ে থাকেন ৷ তাঁর চেন্নাই রেইনস হ্যান্ডেল এ তিনি 11 ডিসেম্বর, 2020-তে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে পোঙ্গল এর আগে ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে ৷ শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘প্রতিটি বছর লা নিনার সময় যে বেশি বৃষ্টিপাত হবে, তা সব সময় বাধ্যতামূলক নয় ৷ লা নিনার বছরে এনইএম দেরিতে হবে এটাই স্বাভাবিক ৷ তবে এটা প্রতি বছরের বিষয় নয় ৷ 1921 সালের পর এই প্রথম জানুয়ারিতে 141.2 মিলিমিটার বৃষ্টি হল জানুয়ারিতে ৷’’

বৃষ্টি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের মতে এর ফলে হয় অত্যন্ত গরম পড়তে পারে ৷ অথবা ভারী বৃষ্টিপাত হবে ৷ অথবা দুটোই হতে পারে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য ঘটতে পারে ৷ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রয়েছে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর ৷ এই ধরনের ঘটনা ভারতীয় উপমহাদেশে বারবার ঘটবে ৷ আর এটার পরিমাণ কম হবে, তা হওয়ার সম্ভাবনা কম ৷’’

চেন্নাইয়ে রয়েছে রিজিওনাল মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার রয়েছে ৷ সেখানেই রয়েছে এরিয়া সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার ৷ সেখানকার ডিরেক্টর এন পুভাইরাসান শ্রীকান্তের মতামতের প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন বেশি বৃষ্টিপাত বিশ্বের প্রভাবের সঙ্গেই সংযুক্ত ৷

আরও পড়ুন : বাড়তে চলেছে দেশের গড় তাপমাত্রা

তিনি বলেন, ‘‘লা নিনার নেগেটিভ ইনডেক্স 2020 সালের ডিসেম্বরে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল ৷ এর কারণ পূবের বাতাস শক্তিশালী ছিল৷ আমাদের ব্যবস্থা ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি হয় ৷ এখানে সমুদ্রের ভূতল তাপমাত্রা গরম ছিল এবং এই গরম জল আদ্রতা বাড়িয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ ভারত ও তামিলনাড়ুতে ৷’’

পরের বছর কি এর সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এই নিয়ে পুভাইরাসান জানান, এই শতাব্দীতেই আবার জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম ৷ এই বছর এক শতাব্দী পর জানুয়ারিতে তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হল ৷ এর আগে হয়েছিল 1921 সালে৷ যার পরিমাণ ছিল 141.2 মিলিমিটার ৷

এল নিনো ও লা নিনা কী ?

এল নিনো এবং লা নিনা একটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া বিশ্ব জলবায়ু চক্রের বিপরীত পর্যায়ক্রম ৷ এল নিনো হল সাউদার্ন অসিলেশন (ইএনএসও) নামে পরিচিত ।

এল নিনো হল স্প্যানিশ শব্দ ৷ যার মানে বাচ্চা ছেলে ৷ এটা ক্রিসমাসের সময়ে শুরু হওয়ার প্রবণতা রয়েছে ৷ এটা নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে প্রতি তিন থেকে সাত বছরে জলের অস্বাভাবিক উষ্ণায়ন এবং এটি 18 মাস অবধি স্থায়ী হতে পারে ।

আরও পড়ুন : বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে শিশুরা

লা নিনাও স্প্যানিশ শব্দ ৷ এর মানে, ছোট্ট মেয়ে ৷ এটা এল নিনোর প্রতিশব্দ ৷ যা একই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রের তাপমাত্রার অস্বাভাবিক শীতলতার দিকে ইঙ্গিত করে ।

লা নিনা কী ?

লা নিনার সময় ভূতলের বাতাস স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়ে যায় ট্রপিক্যাল প্যাসিফিক অঞ্চলে ৷ প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশই স্বাভাবিকের তুলনায় শীতল হবে । বৃষ্টিপাত সাধারণত ইন্দোনেশিয়া জুড়ে বৃদ্ধি পায় ৷ যেখানে জল উষ্ণ থাকবে এবং কেন্দ্রীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে হ্রাস পেয়ে যা শীতল হবে । ইন্দোনেশিয়া জুড়ে বায়ুর গতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভূতলের চাপ কম থাকবে । মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের শীতল জলের উপরে আরও ডুবে থাকা বায়ুতে গতি থাকবে ।

এল নিনো কী ?

এল নিনোর সময় পুরো ট্রপিক্যাল প্যাসিফিকের অঞ্চলের বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল হবে । মধ্য ও পূর্ব ট্রপিক্যাল প্যাসিফিকের ভূতলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে উষ্ণ হবে । বৃষ্টিপাত ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে কম হবে এবং মধ্য বা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত গড়ের চেয়ে উপরে হবে । ক্রমবর্ধমান বায়ু গতিবেগ, যা মধ্য বা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঝড় এবং বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সংযুক্ত এবং সেখানে ভূতলের চাপ গড়ের চেয়ে কম থাকে । ইন্দোনেশিয়ার উপর দিয়ে যাওয়া বায়ুর গতি বৃদ্ধি উচ্চতর পৃষ্ঠের চাপ এবং শুষ্কতার দিকে পরিচালিত করে ।

হায়দরাবাদ : আবহবিদ এবং বেসরকারি বৃষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে লা নিনার জন্য জানুয়ারিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি ৷ এর ফলে 1000 পারসেন্টেজ ডিপার্চার ফ্রম নরম্যাল (পিডিএন) এর থেকেও বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৷

জানুয়ারির 1 তারিখ থেকে 16 জানুয়ারি পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হয়েছে 136.3 মিলিমিটার ৷ এটা সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ৷ ওই সময়ে কেরালায় বৃষ্টি হয়েছে 102.1 মিলিমিটার ৷ ওই সময়ে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল 22 মিলিমিটার, 15 মিলিমিটার, 1.7 মিলিমিটার ৷

কেরালার বৃষ্টিপাতে পিডিএন-এর পরিমাণ 2073 ৷ যা সর্বাধিক ৷ কর্নাটকে এর পরিমাণ 1365, তামিলনাড়ুতে এর পরিমাণ 1008 ও অন্ধ্রপ্রদেশে এর পরিমাণ 150 ৷

তেলেঙ্গানা একমাত্র রাজ্য, যেখানে জানুয়ারিতে বৃষ্টির ব্যাপক পরিমাণ ঘাটতি ছিল ৷ জানুয়ারিতে এই রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ 5.4 মিলিমিটার ৷ আর এই রাজ্যের পিডিএন 68 ৷

জানুয়ারিতে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরালা ও কর্নাটকে স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ যথাক্রমে 12.3 মিলিমিটার, 6.1 মিলিমিটার, 5.4 মিলিমিটার, 4.7 মিলিমিটার ও 1.5 মিলিমিটার ৷

এই সময়টা দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে নর্থ ইস্ট মনসুন’স উইথড্রল (এনইএম)-এর সময় ৷ বিশেষজ্ঞদের অনুমান যে এর ফলে 1921 সালের সব বেশি বৃষ্টি হচ্ছে এই রাজ্যগুলিতে ৷ আর তা যদি না হয়, তাহলে এটা তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে চলেছে ৷

আরও পড়ুন : জি 20 বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, নজর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়

কে শ্রীকান্ত, একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় আবহাওয়া সংক্রান্ত ব্লগার, তিনি চেন্নাইয়ে থাকেন ৷ তাঁর চেন্নাই রেইনস হ্যান্ডেল এ তিনি 11 ডিসেম্বর, 2020-তে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে পোঙ্গল এর আগে ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে ৷ শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘প্রতিটি বছর লা নিনার সময় যে বেশি বৃষ্টিপাত হবে, তা সব সময় বাধ্যতামূলক নয় ৷ লা নিনার বছরে এনইএম দেরিতে হবে এটাই স্বাভাবিক ৷ তবে এটা প্রতি বছরের বিষয় নয় ৷ 1921 সালের পর এই প্রথম জানুয়ারিতে 141.2 মিলিমিটার বৃষ্টি হল জানুয়ারিতে ৷’’

বৃষ্টি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের মতে এর ফলে হয় অত্যন্ত গরম পড়তে পারে ৷ অথবা ভারী বৃষ্টিপাত হবে ৷ অথবা দুটোই হতে পারে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য ঘটতে পারে ৷ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রয়েছে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর ৷ এই ধরনের ঘটনা ভারতীয় উপমহাদেশে বারবার ঘটবে ৷ আর এটার পরিমাণ কম হবে, তা হওয়ার সম্ভাবনা কম ৷’’

চেন্নাইয়ে রয়েছে রিজিওনাল মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার রয়েছে ৷ সেখানেই রয়েছে এরিয়া সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার ৷ সেখানকার ডিরেক্টর এন পুভাইরাসান শ্রীকান্তের মতামতের প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন বেশি বৃষ্টিপাত বিশ্বের প্রভাবের সঙ্গেই সংযুক্ত ৷

আরও পড়ুন : বাড়তে চলেছে দেশের গড় তাপমাত্রা

তিনি বলেন, ‘‘লা নিনার নেগেটিভ ইনডেক্স 2020 সালের ডিসেম্বরে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল ৷ এর কারণ পূবের বাতাস শক্তিশালী ছিল৷ আমাদের ব্যবস্থা ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি হয় ৷ এখানে সমুদ্রের ভূতল তাপমাত্রা গরম ছিল এবং এই গরম জল আদ্রতা বাড়িয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ ভারত ও তামিলনাড়ুতে ৷’’

পরের বছর কি এর সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এই নিয়ে পুভাইরাসান জানান, এই শতাব্দীতেই আবার জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম ৷ এই বছর এক শতাব্দী পর জানুয়ারিতে তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হল ৷ এর আগে হয়েছিল 1921 সালে৷ যার পরিমাণ ছিল 141.2 মিলিমিটার ৷

এল নিনো ও লা নিনা কী ?

এল নিনো এবং লা নিনা একটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া বিশ্ব জলবায়ু চক্রের বিপরীত পর্যায়ক্রম ৷ এল নিনো হল সাউদার্ন অসিলেশন (ইএনএসও) নামে পরিচিত ।

এল নিনো হল স্প্যানিশ শব্দ ৷ যার মানে বাচ্চা ছেলে ৷ এটা ক্রিসমাসের সময়ে শুরু হওয়ার প্রবণতা রয়েছে ৷ এটা নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে প্রতি তিন থেকে সাত বছরে জলের অস্বাভাবিক উষ্ণায়ন এবং এটি 18 মাস অবধি স্থায়ী হতে পারে ।

আরও পড়ুন : বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে শিশুরা

লা নিনাও স্প্যানিশ শব্দ ৷ এর মানে, ছোট্ট মেয়ে ৷ এটা এল নিনোর প্রতিশব্দ ৷ যা একই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রের তাপমাত্রার অস্বাভাবিক শীতলতার দিকে ইঙ্গিত করে ।

লা নিনা কী ?

লা নিনার সময় ভূতলের বাতাস স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়ে যায় ট্রপিক্যাল প্যাসিফিক অঞ্চলে ৷ প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশই স্বাভাবিকের তুলনায় শীতল হবে । বৃষ্টিপাত সাধারণত ইন্দোনেশিয়া জুড়ে বৃদ্ধি পায় ৷ যেখানে জল উষ্ণ থাকবে এবং কেন্দ্রীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে হ্রাস পেয়ে যা শীতল হবে । ইন্দোনেশিয়া জুড়ে বায়ুর গতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভূতলের চাপ কম থাকবে । মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের শীতল জলের উপরে আরও ডুবে থাকা বায়ুতে গতি থাকবে ।

এল নিনো কী ?

এল নিনোর সময় পুরো ট্রপিক্যাল প্যাসিফিকের অঞ্চলের বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল হবে । মধ্য ও পূর্ব ট্রপিক্যাল প্যাসিফিকের ভূতলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে উষ্ণ হবে । বৃষ্টিপাত ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে কম হবে এবং মধ্য বা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত গড়ের চেয়ে উপরে হবে । ক্রমবর্ধমান বায়ু গতিবেগ, যা মধ্য বা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঝড় এবং বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সংযুক্ত এবং সেখানে ভূতলের চাপ গড়ের চেয়ে কম থাকে । ইন্দোনেশিয়ার উপর দিয়ে যাওয়া বায়ুর গতি বৃদ্ধি উচ্চতর পৃষ্ঠের চাপ এবং শুষ্কতার দিকে পরিচালিত করে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.