ETV Bharat / bharat

98-তেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই জারি জগন্নাথনের - তামিলনাড়ু

সমাজকর্মী বিনোদা ভাবের গ্রামদান আন্দোলনের সময়ে সামনে আসে কৃষ্ণাম্মাল জগন্নাথন ও তাঁর স্বামী শংকরলিঙ্গম জগন্নাথনের নাম ৷ এখনও সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ।

Womens Day
ছবি
author img

By

Published : Mar 8, 2020, 3:01 PM IST

তামিলনাড়ু, 8 মার্চ : যতই সামনের দিকে এগোতে চেয়েছেন, ততই পদে পদে বাধা এসেছে ৷ কিন্তু, হাল ছাড়েননি ৷ প্রতিদিনই সমাজের সঙ্গে হার না মানা এক লড়াই চালিয়ে গেছেন । শপথ নিয়েছিলেন, এই লড়াইয়ে তাঁকে জিততেই হবে ৷ সমাজে সমান অধিকার আনতেই হবে ৷ বয়স বাড়লেও লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি । আজ তাঁর বয়স 98 ৷ আজও একইভাবে সমাজের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ তিনি তামিলনাড়ুর এক দলিত পরিবারের মেয়ে কৃষ্ণাম্মাল জগন্নাথন ।

মহাত্মা গান্ধির নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী জগন্নাথন, তামিলনাড়ুতে সামাজিক অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অন্যতম মুখ ৷ তামিলনাড়ুর ঘরছাড়া হতদরিদ্র মানুষদের জীবনের মানোন্নয়ন করতে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি ৷

কেমন ছিল জগন্নাথনের প্রথম জীবন ?

1926 সালে তামিলনাড়ুর ডিঙিগুল জেলায় এক দলিত পরিবারে তাঁর জন্ম । খুব ছোটোতেই বাবাকে হারিয়েছিলেন । মাদুরাইতে অ্যামেরিকান কলেজে থেকে কোনওরকমে স্নাতক পাশ করেন ৷ সেখান থেকেই সমাজ বদলের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ৷ ছোটোবেলা থেকেই লিঙ্গবৈষম্য, দারিদ্র, সামাজিক অবিচারের সাক্ষী থেকেছেন তিনি ৷ ছোটোবেলায় তাঁর মাকে দেখেছিলেন, গর্ভাবস্থাতেও কঠিন পরিশ্রম করতে ৷ মায়ের সেই কষ্ট আজও তাঁর চোখে ভাসে ৷ আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মনস্থির করেছিলেন, এর একটা পরিবর্তন দরকার ৷

দলিতদের জমি ও জমির অধিকারের দাবিতে জগন্নাথনের আন্দোলন

সমাজকর্মী বিনোদা ভাবের গ্রামদান আন্দোলনের সময়ে সামনে আসে কৃষ্ণাম্মাল জগন্নাথন ও তাঁর স্বামী শংকরলিঙ্গম জগন্নাথমের নাম ৷ এই সমাজকর্মী দম্পতি ভূমহীন দরিদ্র মানুষদের জন্য প্রায় 80 লাখ একর জমিদানের ব্যবস্থা করেন ভূদান আন্দোলনের সময়ে ৷

1968 সালে 44 জন দলিত মহিলা ও শিশুকে তামিলনাড়ুর কীজ়ভেনমানি গ্রামে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল ৷ কেন? শুধুমাত্র ঠিকঠাক পারিশ্রমিকের দাবি করেছিল তাঁরা ৷ এরপরই দলিতদের জমির অধিকার সংক্রান্ত ইশুগুলি নিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার করেন ৷ 1981 সালে এই সংক্রান্ত একটি সংস্থাও গড়ে তোলেন তিনি ৷ সেই সংস্থার সৌজন্যে জমির মালিকদের সঙ্গে ভূমিহীনদের আলোচনায় বসার ব্যবস্থা করেন ৷ ভূমিহীনরা যাতে ন্যায্যমূল্যে জমি কিনতে পারে সেই বিষয়টি নিয়েও আন্দোলনে নামতে দেখা যায় তাঁকে ৷

প্রায় 13 হাজার পরিবারের জন্য 13 হাজার একর জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছেন তিনি ৷ তাঁর এই অবদানের জন্য 1989 সালে পদ্মশ্রী পান তিনি ৷ পেয়েছেন আরও অনেক পুরস্কারও ৷

তামিলনাড়ু, 8 মার্চ : যতই সামনের দিকে এগোতে চেয়েছেন, ততই পদে পদে বাধা এসেছে ৷ কিন্তু, হাল ছাড়েননি ৷ প্রতিদিনই সমাজের সঙ্গে হার না মানা এক লড়াই চালিয়ে গেছেন । শপথ নিয়েছিলেন, এই লড়াইয়ে তাঁকে জিততেই হবে ৷ সমাজে সমান অধিকার আনতেই হবে ৷ বয়স বাড়লেও লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি । আজ তাঁর বয়স 98 ৷ আজও একইভাবে সমাজের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ তিনি তামিলনাড়ুর এক দলিত পরিবারের মেয়ে কৃষ্ণাম্মাল জগন্নাথন ।

মহাত্মা গান্ধির নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী জগন্নাথন, তামিলনাড়ুতে সামাজিক অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অন্যতম মুখ ৷ তামিলনাড়ুর ঘরছাড়া হতদরিদ্র মানুষদের জীবনের মানোন্নয়ন করতে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি ৷

কেমন ছিল জগন্নাথনের প্রথম জীবন ?

1926 সালে তামিলনাড়ুর ডিঙিগুল জেলায় এক দলিত পরিবারে তাঁর জন্ম । খুব ছোটোতেই বাবাকে হারিয়েছিলেন । মাদুরাইতে অ্যামেরিকান কলেজে থেকে কোনওরকমে স্নাতক পাশ করেন ৷ সেখান থেকেই সমাজ বদলের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ৷ ছোটোবেলা থেকেই লিঙ্গবৈষম্য, দারিদ্র, সামাজিক অবিচারের সাক্ষী থেকেছেন তিনি ৷ ছোটোবেলায় তাঁর মাকে দেখেছিলেন, গর্ভাবস্থাতেও কঠিন পরিশ্রম করতে ৷ মায়ের সেই কষ্ট আজও তাঁর চোখে ভাসে ৷ আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মনস্থির করেছিলেন, এর একটা পরিবর্তন দরকার ৷

দলিতদের জমি ও জমির অধিকারের দাবিতে জগন্নাথনের আন্দোলন

সমাজকর্মী বিনোদা ভাবের গ্রামদান আন্দোলনের সময়ে সামনে আসে কৃষ্ণাম্মাল জগন্নাথন ও তাঁর স্বামী শংকরলিঙ্গম জগন্নাথমের নাম ৷ এই সমাজকর্মী দম্পতি ভূমহীন দরিদ্র মানুষদের জন্য প্রায় 80 লাখ একর জমিদানের ব্যবস্থা করেন ভূদান আন্দোলনের সময়ে ৷

1968 সালে 44 জন দলিত মহিলা ও শিশুকে তামিলনাড়ুর কীজ়ভেনমানি গ্রামে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল ৷ কেন? শুধুমাত্র ঠিকঠাক পারিশ্রমিকের দাবি করেছিল তাঁরা ৷ এরপরই দলিতদের জমির অধিকার সংক্রান্ত ইশুগুলি নিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার করেন ৷ 1981 সালে এই সংক্রান্ত একটি সংস্থাও গড়ে তোলেন তিনি ৷ সেই সংস্থার সৌজন্যে জমির মালিকদের সঙ্গে ভূমিহীনদের আলোচনায় বসার ব্যবস্থা করেন ৷ ভূমিহীনরা যাতে ন্যায্যমূল্যে জমি কিনতে পারে সেই বিষয়টি নিয়েও আন্দোলনে নামতে দেখা যায় তাঁকে ৷

প্রায় 13 হাজার পরিবারের জন্য 13 হাজার একর জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছেন তিনি ৷ তাঁর এই অবদানের জন্য 1989 সালে পদ্মশ্রী পান তিনি ৷ পেয়েছেন আরও অনেক পুরস্কারও ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.