ETV Bharat / bharat

ভারতের প্রথম গোবর থেকে তৈরি খাদি প্রাকৃতিক রং

author img

By

Published : Jan 14, 2021, 3:26 PM IST

পরিবেশ-বান্ধব, অক্ষতিকারক রং । যার নাম ‘খাদি প্রাকৃতিক পেইন্ট’ । এটি হল নিজের শ্রেণিতে এমন প্রথম পণ্য, যার ফাংগাসরোধী ও ব্যাকটিরিয়ারোধী গুণাগুণ আছে। এর প্রধান উপাদান হল গোরুর গোবর ৷ এটি সাশ্রয়ী এবং দুর্গন্ধহীন। বিওরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের তরফে শংসাপ্রাপ্ত।

Khadi Prakritik paint
খাদি প্রাকৃতিক রং

দিল্লি : কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে এবং এমএসএমই মন্ত্রী নীতিন গড়করি, তাঁর বাসভবনে ভারতের প্রথম গোবর থেকে তৈরি এই রং প্রকাশ্যে আনেন। রংটির নির্মাতা খাদি ও বস্ত্র শিল্প কমিশন। মৎস্য, প্রাণীসম্পদ এবং দুগ্ধসম্পদ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং, এমএসএমই রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী প্রতাপ তন্দ্র সারাঙ্গি এবং কেভিআইসির চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

2020 সালের মার্চ মাসে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা গঠন করেছিলেন কেভিআইসির চেয়ারম্যান আর পরে তা বাস্তবায়িত করে জয়পুরের কুমারাপ্পা ন্যাশনাল হ্যান্ডমেড পেপার ইনস্টিটিউট (কেভিআইসিরই একটি শাখা)।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নীতিন গড়করি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেখা কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধির পরিকল্পনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ গ্রামীণ অর্থনীতির এতটাই বিকাশ করবে যে পরবর্তীকালে কাজের সূত্রে শহর থেকে গ্রামে মানুষের যাতায়াত বাড়বে।

‘খাদি প্রাকৃতিক পেইন্ট’—এর সম্পর্কে কিছু অভিনব তথ্য–

খাদি প্রাকৃতিক পেইন্ট দু’রকমভাবে পাওয়া যায়। ডিসটেমপার পেইন্ট এবং প্লাস্টিক ইমালসন পেইন্ট।

এই রংয়ের মূল্য, ডিসটেমপারের ক্ষেত্রে মাত্র লিটার প্রতি 120 টাকা আর ইমালসনের ক্ষেত্রে লিটার পিছু 225 টাকা।

এর মূল উপাদান গোবর। এই রঙ সাশ্রয়ী, দুর্গন্ধহীন এবং বিওরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের তরফে শংসাপ্রাপ্ত। খাদি প্রাকৃতিক ইমালসন পেইন্ট বিআইএস ১৫৪৮৯:২০১৩ গুণমানে উত্তীর্ণ এবং খাদি প্রাকৃতিক ডিসটেম্পার পেইন্ট বিআইএস 428:2013 গুণমানে উত্তীর্ণ।

ভারী ধাতু যেমন সিসা, পারদ, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম প্রভৃতি এতে নেই।

এর অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে।

এই রং একাধিক পরীক্ষায় সফল হয়েছে যেমন রঙের প্রয়োগ, পাতলা তথা গাঢ়ত্বের বৈশিষ্ট্য, শুকোনোর সময়, ‘ফিনিশ’ প্রভৃতি।

4 ঘণ্টারও কম সময়ে এটি শুকিয়ে যায় এবং এর ‘ফিনিশ’ মসৃণ আর সমান।

এই রং ঘরের ভিতরে যেমন লাগানো যায়, তেমনি বাইরেও লাগানো হয়। ডিসটেমপার এবং ইমালসন পেইন্ট, দুইই সাদা বেস রঙে পাওয়া যায়। তবে যথাযথভাবে অন্য রং মিশিয়ে যে কোনও নতুন রং তৈরি করা যায়।

খাদি প্রাকৃতিক ডিসটেমপার এবং ইমালসন পেইন্টকে তিনটি প্রখ্যাত জাতীয় গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে।

ন্যাশনাল টেস্ট হাউজ়, মুম্বই

শ্রীরাম ইনস্টিটিউট ফর ইনডাসট্রিয়াল রিসার্চ, দিল্লি

ন্যাশনাল টেস্ট হাউজ়, গাজিয়াবাদ

এই প্রযুক্তির ফলে পরিবেশ—বান্ধব পণ্যের জন্য কাঁচামাল হিসাবে গোবরের ব্যবহার বাড়বে এবং তার ফলে কৃষক ও গৌশালাগুলির জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব উৎপন্ন হবে। গোবরের ব্যবহারে পরিবেশও নির্মল থাকবে এবং নর্দমা আটকে যাবে না। এর ফলে স্থানীয় স্তরে উৎপাদন বাড়বে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

গোটা প্রক্রিয়ায় যে সরকারের ভূমিকা কেবলমাত্র একজন সহায়ক তথা সুবিধাপ্রদানকারীর, তার উপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, এই রঙের বিজ্ঞাপনী প্রচার রীতিমতো পেশাদারি ঢংয়েই করা হবে এবং একে দেশের প্রতিটি কোণায় নিয়ে যাওয়া হবে।

দিল্লি : কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে এবং এমএসএমই মন্ত্রী নীতিন গড়করি, তাঁর বাসভবনে ভারতের প্রথম গোবর থেকে তৈরি এই রং প্রকাশ্যে আনেন। রংটির নির্মাতা খাদি ও বস্ত্র শিল্প কমিশন। মৎস্য, প্রাণীসম্পদ এবং দুগ্ধসম্পদ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং, এমএসএমই রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী প্রতাপ তন্দ্র সারাঙ্গি এবং কেভিআইসির চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

2020 সালের মার্চ মাসে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা গঠন করেছিলেন কেভিআইসির চেয়ারম্যান আর পরে তা বাস্তবায়িত করে জয়পুরের কুমারাপ্পা ন্যাশনাল হ্যান্ডমেড পেপার ইনস্টিটিউট (কেভিআইসিরই একটি শাখা)।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নীতিন গড়করি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেখা কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধির পরিকল্পনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ গ্রামীণ অর্থনীতির এতটাই বিকাশ করবে যে পরবর্তীকালে কাজের সূত্রে শহর থেকে গ্রামে মানুষের যাতায়াত বাড়বে।

‘খাদি প্রাকৃতিক পেইন্ট’—এর সম্পর্কে কিছু অভিনব তথ্য–

খাদি প্রাকৃতিক পেইন্ট দু’রকমভাবে পাওয়া যায়। ডিসটেমপার পেইন্ট এবং প্লাস্টিক ইমালসন পেইন্ট।

এই রংয়ের মূল্য, ডিসটেমপারের ক্ষেত্রে মাত্র লিটার প্রতি 120 টাকা আর ইমালসনের ক্ষেত্রে লিটার পিছু 225 টাকা।

এর মূল উপাদান গোবর। এই রঙ সাশ্রয়ী, দুর্গন্ধহীন এবং বিওরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের তরফে শংসাপ্রাপ্ত। খাদি প্রাকৃতিক ইমালসন পেইন্ট বিআইএস ১৫৪৮৯:২০১৩ গুণমানে উত্তীর্ণ এবং খাদি প্রাকৃতিক ডিসটেম্পার পেইন্ট বিআইএস 428:2013 গুণমানে উত্তীর্ণ।

ভারী ধাতু যেমন সিসা, পারদ, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম প্রভৃতি এতে নেই।

এর অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে।

এই রং একাধিক পরীক্ষায় সফল হয়েছে যেমন রঙের প্রয়োগ, পাতলা তথা গাঢ়ত্বের বৈশিষ্ট্য, শুকোনোর সময়, ‘ফিনিশ’ প্রভৃতি।

4 ঘণ্টারও কম সময়ে এটি শুকিয়ে যায় এবং এর ‘ফিনিশ’ মসৃণ আর সমান।

এই রং ঘরের ভিতরে যেমন লাগানো যায়, তেমনি বাইরেও লাগানো হয়। ডিসটেমপার এবং ইমালসন পেইন্ট, দুইই সাদা বেস রঙে পাওয়া যায়। তবে যথাযথভাবে অন্য রং মিশিয়ে যে কোনও নতুন রং তৈরি করা যায়।

খাদি প্রাকৃতিক ডিসটেমপার এবং ইমালসন পেইন্টকে তিনটি প্রখ্যাত জাতীয় গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে।

ন্যাশনাল টেস্ট হাউজ়, মুম্বই

শ্রীরাম ইনস্টিটিউট ফর ইনডাসট্রিয়াল রিসার্চ, দিল্লি

ন্যাশনাল টেস্ট হাউজ়, গাজিয়াবাদ

এই প্রযুক্তির ফলে পরিবেশ—বান্ধব পণ্যের জন্য কাঁচামাল হিসাবে গোবরের ব্যবহার বাড়বে এবং তার ফলে কৃষক ও গৌশালাগুলির জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব উৎপন্ন হবে। গোবরের ব্যবহারে পরিবেশও নির্মল থাকবে এবং নর্দমা আটকে যাবে না। এর ফলে স্থানীয় স্তরে উৎপাদন বাড়বে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

গোটা প্রক্রিয়ায় যে সরকারের ভূমিকা কেবলমাত্র একজন সহায়ক তথা সুবিধাপ্রদানকারীর, তার উপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, এই রঙের বিজ্ঞাপনী প্রচার রীতিমতো পেশাদারি ঢংয়েই করা হবে এবং একে দেশের প্রতিটি কোণায় নিয়ে যাওয়া হবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.