দিল্লি, 20 মে: শ্রম আইনগুলিতে মৌলিক পরিবর্তন ঘটাতে রাজ্যগুলির জারি করা বিজ্ঞপ্তি এবং অধ্যাদেশের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন কেরালার এক ছাত্রী । কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নতি ও বাজার সংস্কারের জন্য শ্রম আইনে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে ।আবেদনে বলা হয়েছে, কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে উন্নতির জন্য শ্রম আইনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা জোরপূর্বক শ্রম ছাড়া আর কিছু নয় ।
এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নন্দিনী প্রভীন নামে কেরালার LLB তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী । তাঁর দাবি, "শ্রম আইনের এই পরিবর্তন শ্রমিকদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য করে । এতে শ্রমিকদের কল্যাণ ও স্বাস্থ্য সংবিধানকে ভেঙে জোরপূর্বক কাজ করানো হচ্ছে । যাতে সংবিধানের আর্টিকেল 14,15,19,21 এবং 23 লঙ্ঘিত করা হচ্ছে ।" ওই ছাত্রীর কথায়, বিষয়টিকে একেবারেই খাটো করে দেখা ঠিক নয় । অনেক জায়গাতেই শ্রমিকরা শারীরিকভাবে জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে । তিনি আরও বলেছেন, "এই পরিবর্তনগুলি শুধু জীবনের অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার, ইউনিয়ন গড়ার অধিকার, শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার ও নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি লঙ্ঘন করবে না । শ্রম আইন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক কাঠামোও লঙ্ঘন করবে ।"
ওই আবেদনে শ্রম মন্ত্রক, আইন ও বিচার মন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক, UP সরকার, MP, গুজরাত, গোয়া, অসম, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল সরকারের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে ।