ETV Bharat / bharat

কূটনৈতিক রক্ষাকবচে কেরালায় এক বছরে 230 কেজি সোনা পাচার

তদন্তে NIA আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, গত বছর জুলাই মাস থেকে 13 বার পাচার অভিযান চলেছিল ৷ 13 বারে মোট 230 কেজি সোনা পাচার হয় বলে জানা গেছে ৷

Kerala gold smuggling cases
কেরালা সোনা পাচার
author img

By

Published : Jul 19, 2020, 7:51 PM IST

তিরুবনন্তপুরম, 19 জুলাই : কেরালার সোনা পাচারকাণ্ডে নতুন তথ্য হাতে পেলেন তদন্তকারীরা ৷ ভারতে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আধিকারিকদের কয়েকজনকে ব্যবহার করে 230 কেজি সোনা পাচার করা হয়েছিল ৷ গত বছর জুলাই থেকে পাচার চলছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷

তদন্তকারীদের একজন জানিয়েছেন, ‘‘এক বছরের মধ্যে 13 বার সোনা পাচার করা হয় ৷ যেহেতু বিদেশি কূটনৈতিক আধিকারিক ছিলেন, তাই কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁদের বিনা পরীক্ষায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ অনেকসময় একবারে 70 কেজি সোনা পাচার হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের আয়োজিত কিছু অনুষ্ঠানেরও তদন্ত করে দেখছি আমরা ৷’’ এই পুরো পাচার প্রক্রিয়া কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে NIA ৷ ঘটনায় যুক্ত হিসেবে 13 জনকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক দপ্তর ৷ পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা ৷ তদন্তকারীরা কেরালা প্রশাসনের কোনও মন্ত্রীকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে ৷ ওই মন্ত্রীর নম্বর স্বপ্নার কল লিস্টে পাওয়া গিয়েছিল ৷ গতকাল অভিযান চালিয়ে কোঝিকোড়ের একটি সোনার দোকান থেকে 10 কেজি সোনা উদ্ধার করে NIA ৷ পাচার হওয়া সোনার সন্ধানে আরও অভিযান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা ৷

5 জুলাই তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় 30 কেজি সোনা ৷ সেই সোনা পাচারের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়তে শুরু করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তরের ৷ 9 জুলাই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) -র হাতে ৷ NIA এরপর 10 জুলাই FIR নথিভুক্ত করে ৷ FIR নথিভুক্ত হওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যে (11 জুলাই) সোনা পাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷ তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামে ওই ব্যাগ ছিল ৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, তিনি কেরালা সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরেও চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে কেরালা সরকারের কোনও যোগ নেই বলে বার বার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ৷

অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে শারজার বাসিন্দা ফাজ়িল ফরিদের ৷ এই ফাজ়িল ফরিদই UAE দূতাবাসে ওই পার্সেলটি পাঠাচ্ছিল ৷ এদিকে সোনাপাচারের ঘটনা রাজনৈতিক মহলের অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোন ৷ জানা গেছে, ধৃত স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে এম শিবশংকর নামে এক IAS আধিকারিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে ৷ এম শিবশংকর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ও IT দপ্তরের প্রধান সচিব ছিলেন ৷ সোনা পাচারের ঘটনায় তাঁর নাম উঠে আসতেই দু'টি পদ থেকেই সরানো হয়েছে তাঁকে ৷

তিরুবনন্তপুরম, 19 জুলাই : কেরালার সোনা পাচারকাণ্ডে নতুন তথ্য হাতে পেলেন তদন্তকারীরা ৷ ভারতে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আধিকারিকদের কয়েকজনকে ব্যবহার করে 230 কেজি সোনা পাচার করা হয়েছিল ৷ গত বছর জুলাই থেকে পাচার চলছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷

তদন্তকারীদের একজন জানিয়েছেন, ‘‘এক বছরের মধ্যে 13 বার সোনা পাচার করা হয় ৷ যেহেতু বিদেশি কূটনৈতিক আধিকারিক ছিলেন, তাই কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁদের বিনা পরীক্ষায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ অনেকসময় একবারে 70 কেজি সোনা পাচার হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের আয়োজিত কিছু অনুষ্ঠানেরও তদন্ত করে দেখছি আমরা ৷’’ এই পুরো পাচার প্রক্রিয়া কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে NIA ৷ ঘটনায় যুক্ত হিসেবে 13 জনকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক দপ্তর ৷ পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা ৷ তদন্তকারীরা কেরালা প্রশাসনের কোনও মন্ত্রীকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে ৷ ওই মন্ত্রীর নম্বর স্বপ্নার কল লিস্টে পাওয়া গিয়েছিল ৷ গতকাল অভিযান চালিয়ে কোঝিকোড়ের একটি সোনার দোকান থেকে 10 কেজি সোনা উদ্ধার করে NIA ৷ পাচার হওয়া সোনার সন্ধানে আরও অভিযান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা ৷

5 জুলাই তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় 30 কেজি সোনা ৷ সেই সোনা পাচারের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়তে শুরু করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তরের ৷ 9 জুলাই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) -র হাতে ৷ NIA এরপর 10 জুলাই FIR নথিভুক্ত করে ৷ FIR নথিভুক্ত হওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যে (11 জুলাই) সোনা পাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷ তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামে ওই ব্যাগ ছিল ৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, তিনি কেরালা সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরেও চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে কেরালা সরকারের কোনও যোগ নেই বলে বার বার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ৷

অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে শারজার বাসিন্দা ফাজ়িল ফরিদের ৷ এই ফাজ়িল ফরিদই UAE দূতাবাসে ওই পার্সেলটি পাঠাচ্ছিল ৷ এদিকে সোনাপাচারের ঘটনা রাজনৈতিক মহলের অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোন ৷ জানা গেছে, ধৃত স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে এম শিবশংকর নামে এক IAS আধিকারিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে ৷ এম শিবশংকর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ও IT দপ্তরের প্রধান সচিব ছিলেন ৷ সোনা পাচারের ঘটনায় তাঁর নাম উঠে আসতেই দু'টি পদ থেকেই সরানো হয়েছে তাঁকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.