অমৃতসর, 9 নভেম্বর : দিল্লির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিল ইসলামাবাদ । আর সেই ‘ধর্মীয় করিডর’-এর উদ্বোধনে এসে প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিকে অভিনন্দন জানাতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি । আশা প্রকাশ করলেন, এই ধর্মীয় পথেই দু'দেশের মেলবন্ধন সুদৃঢ় এবং সুসংহত হবে । আজ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন বহু প্রতীক্ষিত কারতারপুর করিডর । উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন ।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গড়ে উঠেছে এই 'ধর্মীয় করিডর' । যাতে পড়শি দেশের গুরুদ্বারে যেতে সুবিধা হয় দর্শনার্থীদের ৷ এই ভাবনাকে সামনে রেখেই করিডর গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় । পরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে করিডর তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি । প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল পাকিস্তানও । সেই মতো শুরু হয়েছিল পদক্ষেপ । পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত 3-4 কিলোমিটার বিস্তৃত করিডর । নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে কেন্দ্র ।
-
Blessed morning at the Shri Gurudwara Ber Sahib in Sultanpur Lodhi. pic.twitter.com/1lpwHRZbLT
— Narendra Modi (@narendramodi) November 9, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Blessed morning at the Shri Gurudwara Ber Sahib in Sultanpur Lodhi. pic.twitter.com/1lpwHRZbLT
— Narendra Modi (@narendramodi) November 9, 2019Blessed morning at the Shri Gurudwara Ber Sahib in Sultanpur Lodhi. pic.twitter.com/1lpwHRZbLT
— Narendra Modi (@narendramodi) November 9, 2019
আজ করিডর উদ্বোধনে আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি । 'ভারতের আবেগকে সম্মান' দেওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ওই ধন্যবাদ জানান তিনি । আরও বলেন, "এই করিডরটি তৈরির ফলে গুরুদ্বার দরবার সাহিব (পাকিস্তানের কারতারপুর) এখন শিখ তীর্থযাত্রীদের কাছে অনেকটাই ধরাছোঁয়ার মধ্যে এসে গেল । আমি পঞ্জাব সরকার, শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি এবং ঠিক সময়ে এই করিডোর তৈরিতে সহায়তাকারী প্রত্যেক অংশীদারকে কৃতজ্ঞতা জানাই ।"
লাহোর থেকে 120 কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিব শহরে ইরাবতী নদীর তীরে ঐতিহাসিক গুরুদ্বার দরবার সাহিব কারতারপুর অবস্থিত । সেখানে জীবনের 18টি বছর কাটান গুরু নানক । তাঁর সমাধিও রয়েছে সেখানে । জন্মের 550 বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উৎসবে মেতেছেন শিখ ধর্মাবলম্বীরা । ভারতীয় দর্শনার্থীদের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখেই করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার । কেন্দ্রের পরিকল্পনা, প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী সীমান্ত পেরিয়ে পড়শি দেশে যান । তাঁদের কথা ভেবেই করিডর গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । যে কোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো সুযোগ সুবিধা মিলবে ওই করিডরে ।
সীমান্ত পেরিয়ে যাঁরা পাকিস্তান যেতে পারবেন না, তাঁদের জন্য বিশেষ টেলিস্কোপিক পয়েন্ট রয়েছে । সেখানে দাঁড়িয়েই গুরুদ্বারের দর্শন পেতে পারবেন সাধারণ মানুষ । করিডর ছাড়াও নানকের জন্মস্থান সুলতানপুর লোধি শহরটিকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের । সেখানে স্মার্ট সিটির মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকবে ।