দিল্লি, 29 ফেব্রুয়ারি : JNU-র দেশদ্রোহিতা মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার । রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এতদিন পর এই অনুমতি বলে মনে করছেন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কানহাইয়া কুমার । জানালেন, ফাস্ট স্ট্র্যাক কোর্টে এর দ্রুত বিচার হোক ।
সংসদ হামলায় মূল অভিযুক্ত আফজ়ল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে 2016-র 9 ফেব্রুয়ারি JNU ক্যাম্পাসে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ৷ সেখান থেকে কানহাইয়া দেশ বিরোধী স্লোগান তোলে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ একই অভিযোগ ওঠে উমর খলিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও ৷ এই ঘটনায় FIR দায়ের হয় তিনজনের বিরুদ্ধে । তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ । যদিও পরে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন ।
গতকাল এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেয় দিল্লি সরকার ৷ 2019-এ দিল্লি পুলিশ এদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ৷ এবিষয়ে কানাহাইয়া জানান, এটা পরিষ্কার যে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল । আমি চাই ফাস্ট স্ট্র্যাক কোর্টে এর দ্রুত বিচার হোক । সবার সামনে সত্যিটা আসুক যে কীভাবে আইনের অপব্যবহার হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, সময়গুলো দেখুন । লোকসভা নির্বাচনের আগে আমি যখন বেগুসরাই থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি তখন আমার বিরুদ্ধে এই মামলায় চার্জশিট পেশ হয় । এতদিন পর ফের যখন আমি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছি তখন বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি ।
যদিও এখন এই অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি দিল্লি সরকার বা আম আদমি পার্টিকে কাঠগড়ায় তোলেননি । তাঁর কথায়, আমি এই নির্দেশ নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে চাই না । আমি শুধু চাই এর দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক । আর চাই কোনও রাজনৈতিক দলের চাপ ছাড়াই সঠিক বিচার হোক ।