ETV Bharat / bharat

পদ্মই কাঁটা কমলের, ফোনে অমিল সিন্ধিয়া

BJP শিবির সরকার ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে, এমন কথা শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই ৷ এবার সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ 17 জন বিধায়ক গতরাতে বেঙ্গালুরু চলে যাওয়ার খবর ৷ এই খবরের পর থেকেই ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ৷

Jyotiraditya Scindia
ছবি
author img

By

Published : Mar 10, 2020, 9:42 AM IST

ভোপাল, 10 মার্চ : আগে থেকেই চাপের মধ্যে ছিল কমল নাথের সরকার ৷ মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে BJP, বিগত দেড় সপ্তাহ ধরে এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে ৷ জল্পনা আরও বেড়েছিল গুরুগ্রামের এক হোটেলে চার কংগ্রেসের বিধায়ককে দেখার পর ৷ এবার সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল মন্ত্রিসভায় 20 জন মন্ত্রীর ইস্তফাপত্র ৷ এদিকে কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ 17 জন বিধায়ক গতরাতে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছেন বলেও সূত্র মারফত জানা যায় ৷ এদের মধ্যে মন্ত্রিসভার ছয় মন্ত্রীও রয়েছেন বলে জানা গেছে ৷

তবে 17 জন কংগ্রেস বিধায়কের বেঙ্গালুরুতে উড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা BJP নেতা শিবরাজ সিং চৌহান ৷ এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এর সঙ্গে দলের (BJP)-র কোনও যোগ নেই ৷ এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ৷ এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না ৷ আমরা আগেও বলেছি আমরা সরকার ভাঙতে চাই না ৷"

17 জন বিধায়ক গতরাতে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছেন, এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে ৷ কংগ্রেসের তরফে দিগ্বিজয় সিং সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, " আমরা সিন্ধিয়াজির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি ৷ কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে তাঁর সোয়াইন ফ্লু হয়েছে ৷ তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি ৷"

230 আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার 116 টি আসন ৷ ইস্তফার আগে পর্যন্ত কমল নাথের সরকারের হাতে ছিল 120 জন বিধায়ক ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যতজন বিধায়ক দরকার, তার থেকে চারজন বেশি ৷ এদের মধ্যে 114 জন ছিলেন কংগ্রেসের ৷ অন্যদিকে BJP শিবিরের হাতে বর্তমানে রয়েছে 107 জন বিধায়ক ৷ দু'টি আসন বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে 17 জন বিধায়ক বেরিয়ে যাওয়া মানে, মধ্যপ্রদেশের সরকার ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হওয়া ৷

এই পরিস্থিততে কোন পথে নিজেদের চাল খেলবে কমল নাথের সরকার, সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, 17 জন বিধায়ককে দলে ফিরিয়ে আনার বদলে সিন্ধিয়াকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে প্রথম পছন্দে রাখার প্রস্তাব দিতে পারে কংগ্রেস শিবির ৷ পাশাপাশি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা দলিত নেতা তুলসি সিলাওয়াতকে কমল নাথের পরবর্তী রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে জায়গা দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

ভোপাল, 10 মার্চ : আগে থেকেই চাপের মধ্যে ছিল কমল নাথের সরকার ৷ মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে BJP, বিগত দেড় সপ্তাহ ধরে এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে ৷ জল্পনা আরও বেড়েছিল গুরুগ্রামের এক হোটেলে চার কংগ্রেসের বিধায়ককে দেখার পর ৷ এবার সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল মন্ত্রিসভায় 20 জন মন্ত্রীর ইস্তফাপত্র ৷ এদিকে কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ 17 জন বিধায়ক গতরাতে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছেন বলেও সূত্র মারফত জানা যায় ৷ এদের মধ্যে মন্ত্রিসভার ছয় মন্ত্রীও রয়েছেন বলে জানা গেছে ৷

তবে 17 জন কংগ্রেস বিধায়কের বেঙ্গালুরুতে উড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা BJP নেতা শিবরাজ সিং চৌহান ৷ এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এর সঙ্গে দলের (BJP)-র কোনও যোগ নেই ৷ এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ৷ এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না ৷ আমরা আগেও বলেছি আমরা সরকার ভাঙতে চাই না ৷"

17 জন বিধায়ক গতরাতে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছেন, এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে ৷ কংগ্রেসের তরফে দিগ্বিজয় সিং সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, " আমরা সিন্ধিয়াজির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি ৷ কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে তাঁর সোয়াইন ফ্লু হয়েছে ৷ তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি ৷"

230 আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার 116 টি আসন ৷ ইস্তফার আগে পর্যন্ত কমল নাথের সরকারের হাতে ছিল 120 জন বিধায়ক ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যতজন বিধায়ক দরকার, তার থেকে চারজন বেশি ৷ এদের মধ্যে 114 জন ছিলেন কংগ্রেসের ৷ অন্যদিকে BJP শিবিরের হাতে বর্তমানে রয়েছে 107 জন বিধায়ক ৷ দু'টি আসন বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে 17 জন বিধায়ক বেরিয়ে যাওয়া মানে, মধ্যপ্রদেশের সরকার ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হওয়া ৷

এই পরিস্থিততে কোন পথে নিজেদের চাল খেলবে কমল নাথের সরকার, সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, 17 জন বিধায়ককে দলে ফিরিয়ে আনার বদলে সিন্ধিয়াকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে প্রথম পছন্দে রাখার প্রস্তাব দিতে পারে কংগ্রেস শিবির ৷ পাশাপাশি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা দলিত নেতা তুলসি সিলাওয়াতকে কমল নাথের পরবর্তী রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে জায়গা দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.