ETV Bharat / bharat

এক নজরে 370 ধারা

370 ধারা কী ও কেন ?

370 ধারা কী ও কেন ?
author img

By

Published : Aug 5, 2019, 1:07 PM IST

Updated : Aug 5, 2019, 2:07 PM IST

370 ধারা সংবিধানের একবিংশ অংশের প্রথম অনুচ্ছেদ । এই অংশের শিরোনাম হল- সাময়িক, পরিবর্তনসাপেক্ষ এবং বিশেষ বিধান

  • 1947 সালে স্বাধীনতার সময় কাশ্মীরের রাজা হরি সিং প্রাথমিক ভাবে স্থির করেছিলেন তিনি স্বাধীন থাকবেন, এবং সেই অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে স্থিতাবস্থার চুক্তি স্বাক্ষর করবেন । পাকিস্তান সে চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছিল । কিন্তু জনজাতি এবং সাদা পোশাকের পাক সেনা যখন কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে, তখন তিনি ভারতের সাহায্য চান, যা কাশ্মীরের ভারতভুক্তির অন্যতম কারণ । 1947 সালের 26 অক্টোবর হরি সিং ভারতভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষর করেন । পরদিন, 27 অক্টোবর 1947, গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সে চুক্তি অনুমোদন করেন । 1949 সালে নিয়ন্ত্রণরেখা প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
  • 370 ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল 1949 সালের 17 অক্টোবর । এই ধারাবলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ 1 ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয় । এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত । ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে । কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক ।
  • এই ধারা কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে। ফলে বাইরের প্রদেশের বাসিন্দারা এখানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারেন না । এছাড়া এজন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকার অন্য প্রদেশের নাগরিকদের চাকরিতে রাখতে পারে না । 1954 সালে রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে 35-এ ধারাকে 370 নম্বর ধারার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় । কাশ্মীরের মেয়েরা অন্য রাজ্যে বিয়ে করলে তাঁদের সম্পত্তির কোনও অধিকার থাকে না ।
  • 1956 সালে জম্মু-কাশ্মীরের যে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল, সেই সংবিধানে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত হতে হলে শর্ত কী কী । ভারতভুক্তির শর্ত অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সংসদ প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও যোগাযোগ এই তিনটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে ক্ষমতাশালী ৷
  • সংবিধান অনুযায়ী 1954 সালের 14 মে-তে যাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের প্রজা ছিলেন, তাঁদের সকলকে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করা হবে ।
  • এ ছাড়া, কেউ যদি 10 বছর বা তারও বেশি সময় জম্মু-কাশ্মীরে থাকেন এবং বৈধ উপায়ে সে রাজ্যে স্থাবর সম্পত্তির মালিক হন, তা হলে তিনিও রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা বিবেচিত হবেন । 35-এ ধারা অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা স্বীকৃতি পেয়েছে ।
  • 2014 সালে একটি বেসরকারি সংস্থা জম্মু-কাশ্মীর থেকে 35-এ ধারা বাতিল করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন জমা দেয় ।
  • জম্মু-কাশ্মীর সরকার পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে এই রিট পিটিশন খারিজ করার দাবি তোলে । কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পক্ষ নেয়নি । জম্মু-কাশ্মীর সরকার বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও 35-এ ধারা বহাল রাখার পক্ষে কেন্দ্র সওয়াল করেনি ।
  • 2018 সালের এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, শিরোনামে সাময়িক লেখা থাকলেও 370 ধারা সাময়িক নয় । 1969 সালে সম্পৎ প্রকাশ মামলায় 370 ধারাকে সাময়িক বলে মানতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট ।
  • জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানের 3 নং অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ । 370 ধারা থেকেই প্রবাহিত হয়েছে 35-এ ধারা, যা 1954 সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়েছিল । 35এ ধারানুসারে, জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা বলতে কী বোঝায়, তাঁদের বিশেষ অধিকারগুলি কী কী, এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার উপর ন্যস্ত রয়েছে ।
  • 2017 সালে 370 ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজয়লক্ষ্মী ঝাঁ নামে এক মহিলা । 2017 সালের 11 এপ্রিল এই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত । তা খারিজ হয়ে যায় ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান বিজয়লক্ষ্মী । তাঁর দাবি ছিল 370 ধারাকে অস্থায়ী ব্যবস্থা বলে ঘোষণা করুক আদালত । কারণ এই ব্যবস্থার সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে । তাই এবার তা তুলে দেওয়া উচিত ।
  • 2018 সালে দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সংবিধানের 370 ধারা অনুযায়ী জম্মু–কাশ্মীর যে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে তা কোনও অস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় ।
  • 2019 সালের 5 অগাস্ট (আজ) রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 370 ধারা রদ করার কথা ঘোষণা করেন ৷ রাজ্যের মর্যাদা হারাল জম্মু-কাশ্মীর ৷ সেখান থেকে ভাঙা হল লাদাখ ৷ দুটোই হচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ৷ দু’টি জায়গাতেই দু’জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হবে । লাদাখের ক্ষেত্রে আইনসভা থাকছে না, তবে জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনসভা থাকবে ৷

370 ধারা সংবিধানের একবিংশ অংশের প্রথম অনুচ্ছেদ । এই অংশের শিরোনাম হল- সাময়িক, পরিবর্তনসাপেক্ষ এবং বিশেষ বিধান

  • 1947 সালে স্বাধীনতার সময় কাশ্মীরের রাজা হরি সিং প্রাথমিক ভাবে স্থির করেছিলেন তিনি স্বাধীন থাকবেন, এবং সেই অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে স্থিতাবস্থার চুক্তি স্বাক্ষর করবেন । পাকিস্তান সে চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছিল । কিন্তু জনজাতি এবং সাদা পোশাকের পাক সেনা যখন কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে, তখন তিনি ভারতের সাহায্য চান, যা কাশ্মীরের ভারতভুক্তির অন্যতম কারণ । 1947 সালের 26 অক্টোবর হরি সিং ভারতভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষর করেন । পরদিন, 27 অক্টোবর 1947, গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সে চুক্তি অনুমোদন করেন । 1949 সালে নিয়ন্ত্রণরেখা প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
  • 370 ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল 1949 সালের 17 অক্টোবর । এই ধারাবলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ 1 ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয় । এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত । ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে । কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক ।
  • এই ধারা কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে। ফলে বাইরের প্রদেশের বাসিন্দারা এখানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারেন না । এছাড়া এজন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকার অন্য প্রদেশের নাগরিকদের চাকরিতে রাখতে পারে না । 1954 সালে রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে 35-এ ধারাকে 370 নম্বর ধারার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় । কাশ্মীরের মেয়েরা অন্য রাজ্যে বিয়ে করলে তাঁদের সম্পত্তির কোনও অধিকার থাকে না ।
  • 1956 সালে জম্মু-কাশ্মীরের যে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল, সেই সংবিধানে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত হতে হলে শর্ত কী কী । ভারতভুক্তির শর্ত অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সংসদ প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও যোগাযোগ এই তিনটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে ক্ষমতাশালী ৷
  • সংবিধান অনুযায়ী 1954 সালের 14 মে-তে যাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের প্রজা ছিলেন, তাঁদের সকলকে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করা হবে ।
  • এ ছাড়া, কেউ যদি 10 বছর বা তারও বেশি সময় জম্মু-কাশ্মীরে থাকেন এবং বৈধ উপায়ে সে রাজ্যে স্থাবর সম্পত্তির মালিক হন, তা হলে তিনিও রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা বিবেচিত হবেন । 35-এ ধারা অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা স্বীকৃতি পেয়েছে ।
  • 2014 সালে একটি বেসরকারি সংস্থা জম্মু-কাশ্মীর থেকে 35-এ ধারা বাতিল করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন জমা দেয় ।
  • জম্মু-কাশ্মীর সরকার পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে এই রিট পিটিশন খারিজ করার দাবি তোলে । কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পক্ষ নেয়নি । জম্মু-কাশ্মীর সরকার বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও 35-এ ধারা বহাল রাখার পক্ষে কেন্দ্র সওয়াল করেনি ।
  • 2018 সালের এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, শিরোনামে সাময়িক লেখা থাকলেও 370 ধারা সাময়িক নয় । 1969 সালে সম্পৎ প্রকাশ মামলায় 370 ধারাকে সাময়িক বলে মানতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট ।
  • জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানের 3 নং অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ । 370 ধারা থেকেই প্রবাহিত হয়েছে 35-এ ধারা, যা 1954 সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়েছিল । 35এ ধারানুসারে, জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা বলতে কী বোঝায়, তাঁদের বিশেষ অধিকারগুলি কী কী, এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার উপর ন্যস্ত রয়েছে ।
  • 2017 সালে 370 ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজয়লক্ষ্মী ঝাঁ নামে এক মহিলা । 2017 সালের 11 এপ্রিল এই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত । তা খারিজ হয়ে যায় ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান বিজয়লক্ষ্মী । তাঁর দাবি ছিল 370 ধারাকে অস্থায়ী ব্যবস্থা বলে ঘোষণা করুক আদালত । কারণ এই ব্যবস্থার সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে । তাই এবার তা তুলে দেওয়া উচিত ।
  • 2018 সালে দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সংবিধানের 370 ধারা অনুযায়ী জম্মু–কাশ্মীর যে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে তা কোনও অস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় ।
  • 2019 সালের 5 অগাস্ট (আজ) রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 370 ধারা রদ করার কথা ঘোষণা করেন ৷ রাজ্যের মর্যাদা হারাল জম্মু-কাশ্মীর ৷ সেখান থেকে ভাঙা হল লাদাখ ৷ দুটোই হচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ৷ দু’টি জায়গাতেই দু’জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হবে । লাদাখের ক্ষেত্রে আইনসভা থাকছে না, তবে জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনসভা থাকবে ৷
Jammu/ Srinagar, Aug 05 (ANI): The government has imposed Section 144 in Jammu and Kashmir, which prevent the gathering of more than four people in an area. Security has been tightened in view of the imposition of Section 144 from 6:00 am today. Any pre-planned congregation or sudden unforeseen congregation of ritualistic nature shall be conducted with the prior approval of the District Magistrate. Schools and colleges of the district have been shut down until further order. The mobile and internet services were partially suspended in Kashmir valley. Kashmir has been on the edge in the wake of a massive security build-up. Leaders of all major political parties in the state met on Sunday and urged India and Pakistan not to take any step which may disturb the peace and escalate tensions between the two countries. On August 02, the Indian Army had said that Pakistani terrorists are plotting to carry out an attack on the ongoing Amarnath Yatra and that the security forces have recovered a Pakistan Ordnance Factory anti-personnel mine from a terror cache.
Last Updated : Aug 5, 2019, 2:07 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.