INS ত্রিশূল । 2003 সাল থেকে ভারতীয় নৌসেনার সেবায় নিয়োজিত । ভারতীয় নৌসেনার তলোয়ার ক্লাসে দ্বিতীয় জাহাজ এটি । 18 জন নৌসেনার আধিকারিক-সহ মোট 180 জন জওয়ানকে বহন করতে পারে এই জাহাজ । আকাশপথেই হোক বা জলপথে, যে কোনও দিক থেকে শত্রুদমনের ক্ষমতা রাখে ত্রিশূল । 2003 সালের 23 সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের পৌঁছায় INS ত্রিশূল ।
দৈর্ঘ্যে 124.8 মিটার । প্রোপালসন রয়েছে দু'ধরনের । 2 x DS-71 ক্রুজ় টারবাইন এবং 2 x DT-59 বুস্ট টারবাইন । ত্রিশূলের সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় 56 কিলোমিটার, অর্থাৎ প্রায় 30 নটস । রেঞ্জ 4850 নটিক্যাল মাইল । 1997 সালে রাশিয়ার জাহাজ প্রস্তুতকারী সংস্থা রাশিয়ার বালটিক শিপইয়ার্ডকে ত্রিশূল তৈরির জন্য অর্ডার দেওয়া হয় । এরপর 2003 সালে ভারতে পৌঁছায় জাহাজটি । জাহাজটির বেশিরভাগ ব্যবস্থা রাশিয়ার তৈরি । তবে বেশ কিছু ভারতীয় প্রযুক্তিও যোগ করা হয়েছে জাহাজটির সঙ্গে । জাহাজে রয়েছে বিশেষ স্টেলথ প্রযুক্তি । ব়্যাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম এই জাহাজের ।
এতে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে আঘাত হানার ক্ষমতা । রয়েছে MS-196 লঞ্চার যা থেকে Shtil-1 নিক্ষেপ করা যায় । আর রয়েছে Igla-1E এয়ার ডিফেন্স মিজ়াইল । খুব কম রেঞ্জের মধ্যে শত্রু ঢুকে গেলে এই এয়ার ডিফেন্স মিজ়াইল সহজেই শত্রুবিনাশ করতে সক্ষম । শুধুমাত্র আকাশ পথেই নয়, জলপথেও সমান নজরদারি করতে সক্ষম INS ত্রিশূল । রয়েছে দু'ধরনের অ্যান্টি শিপ মিজ়াইল । এর মধ্যে আটটি VLS লঞ্চড ক্লাব ও বাকিগুলি অ্যান্টি শিপ ক্রুজ় মিজ়াইল । জলের নিচে সাবমেরিন ধ্বংস করতেও তৈরি ত্রিশূল । রয়েছে দুই জোড়া 533 mm টর্পের্ডো । আর আছে একটি RBU-6000 রকেট লঞ্চার ।
পাশাপাশি 1-Ka-28 হেলিক্স-A, Ka-31 হেলিক্স-B ও HAL ধ্রুবের মতো যুদ্ধবিমানও বহন করতে পারে INS ত্রিশূল । 2017 সালে অ্যাডেন উপসাগরে চারমাস ধরে জলদস্যুদের নিকেশ করতে নিযুক্ত ছিল ত্রিশূল । ওই বছরেরই অক্টোবরে ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ এম ভি জাগ অমরকে জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিল INS ত্রিশূল । এছাড়া ইট্যালির নৌসেনার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়াতেও অংশ নিয়েছিল এই যুদ্ধ জাহাজ ।