হায়দরাবাদ, 6 ডিসেম্বর : পরিকল্পিতভাবে তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চেন্নাকেশাভলুর স্ত্রী ৷ ওই মহিলা বলছেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে অবিচার হয়েছে ৷ মৃত চেন্নাকেশাভলুর দেহ ফেরত পাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি ৷ এদিকে এনকাউন্টারের প্রেক্ষিতে আজ তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট 9 ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষিত করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷
আজ ভোরে সে দিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চার অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ ৷ গোটা এলাকা তখন কুয়াশায় মোড়া ৷ চারিদিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ৷ পুলিশ জানায়, কুয়াশার সুযোগে পুলিশের বন্দুক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত ৷ তাদের থামতে বলা হয় ৷ শূন্যে গুলিও চালানো হয় ৷ কিন্তু, তারা থামেনি ৷ বরং পুলিশের উপর পালটা গুলি চালায় ৷ তখনই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করে পুলিশ ৷ করা হয় এনকাউন্টার ৷ চারজনই ঘটনাস্থানে মারা যায় ৷
আরও পড়ুন : অভিযুক্তরা পুলিশের বন্দুক কেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল : সজ্জনর
হায়দরাবাদ পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার জানিয়েছেন , আগে থেকে ঠিক করেই 4 অভিযুক্তকে ঘটনাস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ উদ্দেশ্য ছিল, সে দিন কী ভাবে দুষ্কৃতীরা ঘটনা ঘটিয়েছিল তা ভালো করে বুঝে নেওয়া ৷ তখন ঘড়িতে ভোর সাড়ে তিনটে ৷ পুলিশি প্রহরা ছিল যথেষ্ট ৷ গোটা এলাকা ছিল কুয়াশায় মোড়া ৷ সেই সুযোগেই পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা ৷ তখনই এনকাউন্টার করা হয় ৷
আরও পড়ুন : এনকাউন্টারে মৃত্যু হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় 4 অভিযুক্তের
এদিকে আজকের এনকাউন্টারের ঘটনায় প্রশংসা কুড়িয়েছে হায়দরাবাদ পুলিশ ৷ কুর্নিশ জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একাংশ ৷ নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন দোষীরা মরে যাওয়ায় তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পেয়েছে ৷ সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবরের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মানবাধিকার কমিশন হায়দরাবাদ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ৷ মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, "অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালত এখনও কোনও রায় দেয়নি ৷ অভিযুক্তরা যদি দোষী প্রমাণিত হত, তবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতই সিদ্ধান্ত নিত ৷" তদন্তের জন্য বিশেষ একটি দলও দ্রুত ঘটনাস্থানে পাঠানোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের তরফে ৷