দিল্লি, 27 অগাস্ট : ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর জন্য সরকারের সংকল্প অভ্যন্তরীণ নয়, বরং ভারতের সক্ষমতা ও শান্তি বৃদ্ধি এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল হতে সহায়তা করার লক্ষ্যে । প্রতিরক্ষা শিল্পের আউটরিচ সেমিনারের বক্তব্যে আজ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপর ভারতের স্বনির্ভরতা, ভারত মহাসাগরে সুরক্ষা সরবরাহকারী হওয়ার অবস্থানকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং কৌশলগত সম্পর্কের উপর নির্ভর করে অন্যান্য দেশের কাছেও প্রতিরক্ষা সরবরাহকারী হিসেবে পরিণত হবে ।
এই শিল্পে বেসরকারি প্রতিনিধিদের দাবি করে নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়ে বলেন, বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কেবল আমদানি রোধ করা নয়, বরং দেশীয় শিল্পে আরও জোর দেওয়া । তিনি বলেন, এই আমদানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও আইটেম যুক্ত করা হবে । তিনি এও উল্লেখ করেন, “ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিরক্ষা আমদানিকারক দেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে । স্বাধীনতার সময় দেশটি একটি উপযুক্ত বাস্তুতন্ত্রের উত্তরাধিকার পাওয়া সত্ত্বেও অতীতে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয়নি ।” তাঁর সরকারের নতুন ধরনের চিন্তা-ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বেসরকারি খাতের সর্বোচ্চ ভূমিকা নিয়ে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং নতুন প্রযুক্তি বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।”
সরকার স্বয়ংক্রিয় রুটের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে 74% FDI (বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ) করার পথ উন্মুক্ত করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী । বেশ কয়েকটি রাজ্যে সাম্প্রতিক শ্রম সংস্কারের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, "সংস্কারের অনুশীলন বন্ধ হচ্ছে না । উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু-তেও প্রতিরক্ষা করিডোর তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে । আগামী পাঁচ বছরে এর জন্য 20,000 কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে । সরকার সবসময়ই রেড-টেপ অপসারণ এবং বেসরকারি খাতের জন্য রেড কার্পেট বিছিয়ে কাজ করেছে এবং এক্ষেত্রে উভয়েই লাভবান হয়েছে বলেও দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।