ETV Bharat / bharat

মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র পেল ভারত বায়োটেকের COVAXIN

জুলাই মাস থেকেই গোটা দেশে এই প্রতিষেধক মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করার কাজ শুরু হবে ।

COVAXIN
COVAXIN
author img

By

Published : Jun 29, 2020, 10:08 PM IST

Updated : Jun 29, 2020, 10:41 PM IST

হায়দরাবাদ, 29 জুন : ভারতের প্রথম কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক COVAXIN-কে মানুষের শরীরে পরীক্ষা করার ছাড়পত্র দিল DCGI । প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মানুষের শরীরে পরীক্ষার জন্য ছাড়পত্র মিলেছে । প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক । জুলাই মাস থেকে গোটা দেশে এই প্রতিষেধক মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করার কাজ শুরু হবে ।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) -র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোরোনার এই প্রতিষেধকটি তৈরির কাজ করছে ভারত বায়োটেক । পুনেতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে আইসোলেটেড করে রাখা SARS-CoV-2 -এর স্ট্রেইন ভারত বায়োটেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।

এরপরই দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এই COVAXIN প্রতিষেধক তৈরি করে ভারত বায়োটেক । হায়দরাবাদের জিনোম ভ্যালিতে ভারত বায়োটেকের BSL-3 (বায়ো সেফটি লেভেল 3) হাই কনটেইনমেন্ট ফেসিলিটিতে এই প্রতিষেধক তৈরির কাজ সম্পন্ন হয় ।

ভারত বায়োটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান কৃষ্ণা ইল্লা জানিয়েছেন, "আমরা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি, COVAXIN™️ দেশের প্রথম কোরোনা প্রতিষেধক । ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) -র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোরোনার এই প্রতিষেধকটি তৈরি হয়েছে । CDSCO-র নিরলস সহযোগিতায় আজ এই প্রজেক্টের ছাড়পত্র মিলল । আমাদের সংস্থার কর্মীরা সর্বক্ষণ এই প্রতিষেধকের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।"

ভারত বায়োটেকের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা ইল্লাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, "আমাদের যে বিশেষজ্ঞদল গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের দূরদর্শিতার কারণে আমরা H1N1 ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে পেরেছিলাম । এরপর আমরা BSL-3 (বায়ো সেফটি লেভেল 3) হাই কনটেইনমেন্ট ফেসিলিটিতে এই ধরনের পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যেতে থাকি । আসন্ন প্যানডেমিকগুলির বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে ভারত বায়োটেক সর্বদা প্রতিষেধক তৈরি করে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর ।"

এর আগে পোলিয়ো, ব়্যাবিস ভাইরাস, রোটাভাইরাস, জাপানিজ় এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, জ়িকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে ভারত বায়োটেকের ভেরো সেল কালচার প্লাটফর্ম প্রযুক্তিতে বেশ ভালো সাড়া মিলেছিল । ভারত বায়োটেকের সাফল্যের ঝুলিতে রয়েছে 140 টিরও বেশি গ্লোবাল পেটেন্ট, 16 টিরও বেশি ভ্যাকসিন ও 4 টি বায়োথেরাপিউটিকস । এছাড়াও 116 টি দেশে রেজিস্ট্রেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রি-কোয়ালিফিকেশনও রয়েছে ভারত বায়োটেকের ঝুলিতে ।

জ়িনোম ভ্যালিতে ভারত বায়োটেকের বিশাল গবেষণাগার রয়েছে । এখানেই COVAXIN-এর যাবতীয় পরীক্ষা ও গবেষণার কাজ চালায় ভারত বায়োটেক । গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত 4 বিলিয়নেরও বেশি ডোজ় তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক । পোলিয়ো, ব়্যাবিস ভাইরাস, রোটাভাইরাস, জাপানিজ় এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, জ়িকা ভাইরাসের পাশাপাশি টাইফয়েডের জন্য বিশ্বের প্রথম কনজ়ুগেটেড ভ্যাকসিন বাজারে আনে ভারত বায়োটেক ।

হায়দরাবাদ, 29 জুন : ভারতের প্রথম কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক COVAXIN-কে মানুষের শরীরে পরীক্ষা করার ছাড়পত্র দিল DCGI । প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মানুষের শরীরে পরীক্ষার জন্য ছাড়পত্র মিলেছে । প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক । জুলাই মাস থেকে গোটা দেশে এই প্রতিষেধক মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করার কাজ শুরু হবে ।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) -র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোরোনার এই প্রতিষেধকটি তৈরির কাজ করছে ভারত বায়োটেক । পুনেতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে আইসোলেটেড করে রাখা SARS-CoV-2 -এর স্ট্রেইন ভারত বায়োটেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।

এরপরই দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এই COVAXIN প্রতিষেধক তৈরি করে ভারত বায়োটেক । হায়দরাবাদের জিনোম ভ্যালিতে ভারত বায়োটেকের BSL-3 (বায়ো সেফটি লেভেল 3) হাই কনটেইনমেন্ট ফেসিলিটিতে এই প্রতিষেধক তৈরির কাজ সম্পন্ন হয় ।

ভারত বায়োটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান কৃষ্ণা ইল্লা জানিয়েছেন, "আমরা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি, COVAXIN™️ দেশের প্রথম কোরোনা প্রতিষেধক । ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) -র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোরোনার এই প্রতিষেধকটি তৈরি হয়েছে । CDSCO-র নিরলস সহযোগিতায় আজ এই প্রজেক্টের ছাড়পত্র মিলল । আমাদের সংস্থার কর্মীরা সর্বক্ষণ এই প্রতিষেধকের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।"

ভারত বায়োটেকের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা ইল্লাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, "আমাদের যে বিশেষজ্ঞদল গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের দূরদর্শিতার কারণে আমরা H1N1 ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে পেরেছিলাম । এরপর আমরা BSL-3 (বায়ো সেফটি লেভেল 3) হাই কনটেইনমেন্ট ফেসিলিটিতে এই ধরনের পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যেতে থাকি । আসন্ন প্যানডেমিকগুলির বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে ভারত বায়োটেক সর্বদা প্রতিষেধক তৈরি করে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর ।"

এর আগে পোলিয়ো, ব়্যাবিস ভাইরাস, রোটাভাইরাস, জাপানিজ় এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, জ়িকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে ভারত বায়োটেকের ভেরো সেল কালচার প্লাটফর্ম প্রযুক্তিতে বেশ ভালো সাড়া মিলেছিল । ভারত বায়োটেকের সাফল্যের ঝুলিতে রয়েছে 140 টিরও বেশি গ্লোবাল পেটেন্ট, 16 টিরও বেশি ভ্যাকসিন ও 4 টি বায়োথেরাপিউটিকস । এছাড়াও 116 টি দেশে রেজিস্ট্রেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রি-কোয়ালিফিকেশনও রয়েছে ভারত বায়োটেকের ঝুলিতে ।

জ়িনোম ভ্যালিতে ভারত বায়োটেকের বিশাল গবেষণাগার রয়েছে । এখানেই COVAXIN-এর যাবতীয় পরীক্ষা ও গবেষণার কাজ চালায় ভারত বায়োটেক । গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত 4 বিলিয়নেরও বেশি ডোজ় তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক । পোলিয়ো, ব়্যাবিস ভাইরাস, রোটাভাইরাস, জাপানিজ় এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, জ়িকা ভাইরাসের পাশাপাশি টাইফয়েডের জন্য বিশ্বের প্রথম কনজ়ুগেটেড ভ্যাকসিন বাজারে আনে ভারত বায়োটেক ।

Last Updated : Jun 29, 2020, 10:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.