দিল্লি, 6 অগাস্ট : জানুয়ারিতে একটি মাত্র কোরোনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরি ছিল ভারতে । সেখান থেকে আজ সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে 1370 । দেশের যে কোনও প্রান্তের মানুষ আজ সর্বাধিক তিন ঘণ্টার মধ্যে কোরোনা ল্যাবরেটরিতে পৌঁছাতে পারছে । ভার্চুয়াল বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক ডিরেক্টরদের সঙ্গে আজ এক ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন হর্ষ বর্ধন । বৈঠকে তিনি বলেন, "ভারতের অতিসক্রিয়তা ও একাধিক স্তরে কোরোনা মোকাবিলায় কারণেই প্রতি দশ লাখে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার এতটা কম ।"
7 জানুয়ারি চিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সংক্রমণের বিষয়ে জানানোর পর থেকেই ভারত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল । পাশাপাশি প্রতিদিন কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভরতি নেওয়ার ক্ষমতা প্রায় 35 গুণ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে ।
তিনি বলেন,"দেশের অতিসংক্রিয়তার কারণেই এত বিশাল জনঘনত্ব, পার ক্যাপিটা ডাক্তার ও হাসপাতালের বেড কম থাকা সত্ত্বেও বাকি দেশগুলির তুলনায় প্রতি দশ লাখে সংক্রমণের হার ভারতে অনেকটাই কম ।"
এর আগে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জ়া, H1N1 pdm09 ইনফ্লুয়েঞ্জ়া, জ়িকা ভাইরাস, নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন হয়েছিল, সেই সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হয়েছে ।
আগে যা পরিস্থিতি ছিল, তার থেকে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা 34 গুণ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে । ICU যুক্ত বেডের সংখ্যা বেড়েছে 20 গুণ । জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন । বর্তমানে দেশের 36 টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে 33 টিতে দিন পিছু কোরোনা পরীক্ষার নির্ধারিত হার অতিক্রম করে গেছে । একইসঙ্গে দেশজুড়ে কোরোনা মোকাবিলায় যে লকডাউন চলছে, তাতেও অনেকটা সাফল্য মিলেছে বলে জানান তিনি ।
জুনের 18 তারিখে দেশে কোরোনায় মৃত্যুর হার ছিল 3.33 শতাংশ । 3 অগাস্ট তা কমে হয়েছে 2.11 শতাংশ । দিল্লি AIIMS থেকে যে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, তাতে মৃত্যুর আসল কারণ বের করতে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে বলে জানান তিনি । আর এই কারণেই কোরোনায় মৃত্যুর হার অনেকটা কমেছে ।