ETV Bharat / bharat

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন, সমস্যার মুখে প্রবাসী ভারতীয় পড়ুয়ারা - প্রবাসে সমস্যায় ভুগছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা

প্রবাসে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের জীবনযাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কোরোনা ভাইরাস । লকডাউনের পর অনেকেই পার্ট-টাইম কাজ পেতে অসুবিধায় পড়ছেন । যে পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই পার্টটাইম কাজ হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা বর্তমানে জীবনধারণের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার মুখে পড়েছেন ।

Representative Image
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Apr 13, 2020, 11:32 AM IST

দিল্লি, 13 এপ্রিল : অস্ট্রেলিয়ায় পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের জীবনযাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কোরোনা ভাইরাস । লকডাউনের পর অনেকেই পার্ট-টাইম কাজ পেতে অসুবিধায় পড়ছেন । যে পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই পার্টটাইম কাজ হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা বর্তমানে জীবনধারণের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার মুখে পড়েছেন ।

তেলাঙ্গানার আর সিভা রেড্ডি । প্রবাসী ভারতীয় পড়ুয়াদের কো-অর্ডিনেটর । একইসঙ্গে ইয়ং লিবারেলস মাল্টিকালচারাল অ‌্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম‌্যান তিনি । ইনাডুকে তিনি জানিয়েছেন, প্রবাসী ভারতীয় পড়ুয়াদের ঠিক কী কী চ‌্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে । মেলবোর্ন থেকে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার সরকার পড়ুয়াদের পার্টটাইম কাজ করার অনুমতি দেয় ঠিকই । কিন্তু অধিকাংশ পড়ুয়াই সরকারকে না জানিয়ে এই ধরনের কাজ করেন । যাঁরা সুপারমার্কেট ও গ‌্যাস স্টেশনে কাজ করেন লকডাউনে শুধুমাত্র তাঁদের চাকরি রয়েছে । বাকিরা চাকরি হারিয়েছেন । আমরা এই ধরনের পড়ুয়াদের জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করছি । এখানে ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন আরও কিছু সপ্তাহ বাড়তে পারে । এখানে 1.2 লাখ তেলুগু পড়ুয়া থাকেন । এমন অনেকেই আছেন যাঁরা হসপিটালিটি সেক্টরে ছোটোখাটো কাজ করেন । এই সেক্টরে কাজ আপাতত বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা সমস‌্যায় পড়েছেন ।

অস্ট্রেলীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হলেই বিদেশী পড়ুয়াদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে । পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই সম্ভবত তাঁদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে । শুধুমাত্র যে সব বিদেশী পড়ুয়া অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁদেরই এই নির্দেশ থেকে অব‌্যাহতি দেওয়া হয়েছে ।

সিভা রেড্ডি জানান, অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছিলেন এবং আধিকারিকরা সদর্থক প্রতিক্রিয়াই দিয়েছেন । তাঁরা পড়ুয়াদের বলেছেন, সাহায্যের প্রয়োজন হলে https://www.hcicanberra.gov.in/register- এই লিঙ্কে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন । "সুপার অ‌্যানিউটি" অর্থাৎ অবসরের পর সঞ্চিত অর্থে পেনসন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলীয় সরকার অনুমতি দিয়েছে ঠিকই । তবে, তা শুধুমাত্র তাঁদের জন‌্যই যাঁরা বৈধভাবে এখানে এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন । এখানে অত‌্যাবশকীয় সামগ্রীর কোনও অভাব নেই । কিন্তু সুপারমার্কেটগুলি এক বারে কেবল 10 জনকেই প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে ।

অস্ট্রেলিয়ায় মতো কিরঘিজ়স্থানে যে সব ভারতীয় পড়ুয়া চিকিৎসাশাস্ত্রের পাঠ নিতে গিয়েছিলেন তাঁরাও সেখানে আটকে পড়েছেন । তাঁরা কেন্দ্রীয় এবং রাজ‌্য সরকারগুলির কাছে আবেদন করছেন, দ্রুত যেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয় । কোরোনা পজ়েটিভের সংখ‌্যায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি এই সব পড়ুয়াদের আতঙ্কিত করে তুলেছে । এদের মধ্যে কিছু কিছু পড়ুয়া ইনা়ডুর সঙ্গে কথা বলেছেন । কিরঘিজ়স্থানে অন্তত 15 হাজার ভারতীয় পড়ুয়া ঔষধশাস্ত্রের পাঠ নিচ্ছেন । দেশের রাজধানী শহর, বিশকেকের বিভিন্ন কলেজে অন্তত দেড় হাজার তেলুগু পড়ুয়া পড়াশোনা করছেন । লকডাউনের জেরে গত 20 দিন ধরে তাঁরা হস্টেলের ঘরেই আটকে রয়েছেন । 70 লাখ জনবসতির এই দেশে 280টি COVID-19 আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে ।

স্টুডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মোহনের মতে, এই প্রকোপ যদি আরও বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে । তিনি তেলাঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ‌্যমন্ত্রীর কাছে উদ্যোগ নিতে আবেদন করেছেন । আটকে পড়া একজন পড়ুয়া, মারেড্ডি শ্রীরামের বাবা নগেন্দর রেড্ডি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডির কাছে আবেদন করেছেন, সব পড়ুয়াদের ভারতে ফিরিয়ে আনতে ।

দিল্লি, 13 এপ্রিল : অস্ট্রেলিয়ায় পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের জীবনযাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কোরোনা ভাইরাস । লকডাউনের পর অনেকেই পার্ট-টাইম কাজ পেতে অসুবিধায় পড়ছেন । যে পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই পার্টটাইম কাজ হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা বর্তমানে জীবনধারণের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার মুখে পড়েছেন ।

তেলাঙ্গানার আর সিভা রেড্ডি । প্রবাসী ভারতীয় পড়ুয়াদের কো-অর্ডিনেটর । একইসঙ্গে ইয়ং লিবারেলস মাল্টিকালচারাল অ‌্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম‌্যান তিনি । ইনাডুকে তিনি জানিয়েছেন, প্রবাসী ভারতীয় পড়ুয়াদের ঠিক কী কী চ‌্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে । মেলবোর্ন থেকে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার সরকার পড়ুয়াদের পার্টটাইম কাজ করার অনুমতি দেয় ঠিকই । কিন্তু অধিকাংশ পড়ুয়াই সরকারকে না জানিয়ে এই ধরনের কাজ করেন । যাঁরা সুপারমার্কেট ও গ‌্যাস স্টেশনে কাজ করেন লকডাউনে শুধুমাত্র তাঁদের চাকরি রয়েছে । বাকিরা চাকরি হারিয়েছেন । আমরা এই ধরনের পড়ুয়াদের জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করছি । এখানে ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন আরও কিছু সপ্তাহ বাড়তে পারে । এখানে 1.2 লাখ তেলুগু পড়ুয়া থাকেন । এমন অনেকেই আছেন যাঁরা হসপিটালিটি সেক্টরে ছোটোখাটো কাজ করেন । এই সেক্টরে কাজ আপাতত বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা সমস‌্যায় পড়েছেন ।

অস্ট্রেলীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হলেই বিদেশী পড়ুয়াদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে । পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই সম্ভবত তাঁদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে । শুধুমাত্র যে সব বিদেশী পড়ুয়া অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁদেরই এই নির্দেশ থেকে অব‌্যাহতি দেওয়া হয়েছে ।

সিভা রেড্ডি জানান, অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছিলেন এবং আধিকারিকরা সদর্থক প্রতিক্রিয়াই দিয়েছেন । তাঁরা পড়ুয়াদের বলেছেন, সাহায্যের প্রয়োজন হলে https://www.hcicanberra.gov.in/register- এই লিঙ্কে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন । "সুপার অ‌্যানিউটি" অর্থাৎ অবসরের পর সঞ্চিত অর্থে পেনসন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলীয় সরকার অনুমতি দিয়েছে ঠিকই । তবে, তা শুধুমাত্র তাঁদের জন‌্যই যাঁরা বৈধভাবে এখানে এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন । এখানে অত‌্যাবশকীয় সামগ্রীর কোনও অভাব নেই । কিন্তু সুপারমার্কেটগুলি এক বারে কেবল 10 জনকেই প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে ।

অস্ট্রেলিয়ায় মতো কিরঘিজ়স্থানে যে সব ভারতীয় পড়ুয়া চিকিৎসাশাস্ত্রের পাঠ নিতে গিয়েছিলেন তাঁরাও সেখানে আটকে পড়েছেন । তাঁরা কেন্দ্রীয় এবং রাজ‌্য সরকারগুলির কাছে আবেদন করছেন, দ্রুত যেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয় । কোরোনা পজ়েটিভের সংখ‌্যায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি এই সব পড়ুয়াদের আতঙ্কিত করে তুলেছে । এদের মধ্যে কিছু কিছু পড়ুয়া ইনা়ডুর সঙ্গে কথা বলেছেন । কিরঘিজ়স্থানে অন্তত 15 হাজার ভারতীয় পড়ুয়া ঔষধশাস্ত্রের পাঠ নিচ্ছেন । দেশের রাজধানী শহর, বিশকেকের বিভিন্ন কলেজে অন্তত দেড় হাজার তেলুগু পড়ুয়া পড়াশোনা করছেন । লকডাউনের জেরে গত 20 দিন ধরে তাঁরা হস্টেলের ঘরেই আটকে রয়েছেন । 70 লাখ জনবসতির এই দেশে 280টি COVID-19 আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে ।

স্টুডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মোহনের মতে, এই প্রকোপ যদি আরও বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে । তিনি তেলাঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ‌্যমন্ত্রীর কাছে উদ্যোগ নিতে আবেদন করেছেন । আটকে পড়া একজন পড়ুয়া, মারেড্ডি শ্রীরামের বাবা নগেন্দর রেড্ডি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডির কাছে আবেদন করেছেন, সব পড়ুয়াদের ভারতে ফিরিয়ে আনতে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.