ETV Bharat / bharat

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা

author img

By

Published : Aug 27, 2020, 1:23 PM IST

ভারত তখন ব্রিটিশ উপনিবেশ । 23 লাখেরও বেশি ভারতের জওয়ান অংশ নিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে । প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় 89 হাজার জওয়ান ।

World War 2
প্রতীকী ছবি

1945 সাল । 2 সেপ্টেম্বর । মিত্র শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে জাপান । অবসান হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের । 1939 সাল থেকে 1945 সাল । ইতিহাসের সবথেকে ভয়াবহ যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছিল গোটা বিশ্ব ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা একনজরে

  • ভারত তখন ব্রিটিশ উপনিবেশ । 23 লাখেরও বেশি ঔপনিবেশিক ভারতের জওয়ান অংশ নিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ।
  • প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় 89 হাজার জওয়ান ।
  • ভারতীয় জওয়ানরা উত্তর ও পূর্ব আফ্রিকা অভিযান, পশ্চিমের মরু-অভিযান এবং ইউরোপে অংশ নিয়েছিলেন ।
  • তবে জাপানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতেই বেশিরভাগ ভারতীয় জওয়ানকে ব্যবহার করা হয়েছিল ।
  • টব্রুক, মন্টি ক্যাসিনো, কোহিমা এবং ইম্ফলের যুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ।
  • ব্রিটেন, ভারত ও আফ্রিকার সম্মিলিত ফোর্টিন্থ আর্মি মিত্রশক্তির হয়ে বার্মা পুনর্দখল করে ।
  • ব্রিটিশদের হয়ে লড়াইয়ে সাহসিকতা দেখানোর জন্য 30 জন ভারতীয় ভিক্টোরিয়া ক্রস পান ।

কোহিমায় ভারতীয়দের বীরত্বের গাথা

  • কোহিমা ও ইম্ফলের যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভারতীয় পর্বে সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত হয়েছিল । বার্মায় জাপানের সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ জওয়ানই প্রাণ হারায় এই যুদ্ধে ।
  • 2012 সালে ব্রিটেনের ন্যাশনাল আর্মি জাদুঘরে সেরা যুদ্ধের প্রতিযোগিতায় এই যুদ্ধের নাম ছিল সবার উপরে । ওয়াটারলু এবং ডি-ডে -কেও পিছনে ফেলে দিয়েছিল এই যুদ্ধ ।
  • 1942 সালে বার্মা থেকে ব্রিটিশদের উৎখাত করে জাপানের সেনা । এরপরই দু'বছর পরই বার্মা পুনরূদ্ধারের জন্য শুরু হয় যুদ্ধ ।
  • লেফটেন্যান্ট জেনেরাল রেনিয়া মুতাগুচি তাঁর জাপানি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের রাজি করিয়ে নেন ইম্ফল এবং কোহিমাতে ব্রিটিশ বাহিনী আক্রমণ করার জন্য । লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশদের পালটা আক্রমণ প্রতিরোধ করা ।
  • জেনেরাল মুতাগুচি ব্রিটিশ রাজের ভিতকে নড়িয়ে দিতে ভারতে প্রবেশ করার পরিকল্পনা করেন ।
  • অন্যদিকে ব্রিটিশদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনেরাল উইলিয়াম স্লিম ।

জাপানের অতর্কিত হানা

  • জেনেরাল স্লিম পশ্চিম বার্মা থেকে তাঁর বাহিনী সরিয়ে নিয়েছিলেন । ইম্পাল উপত্যকার আশপাশের পাহাড়ে সুরক্ষিত জায়গাগুলিতে সরিয়ে আনেন সেনাকে । জাপানিদের সাপ্লাই লাইন থেকে অনেকটা দূরে যুদ্ধে নামানোর কৌশল করেছিলেন তিনি ।
  • কিন্তু কোনও ব্রিটিশ কমান্ডারই বিশ্বাস করতে পারেননি, কোহিমার দুর্ভেদ্য জঙ্গল পার করে যাবে জাপানের সেনা । 4 এপ্রিল যখন প্রায় 15 হাজার জাপানি সেনা জওয়ান জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন মাত্র 1500 ব্রিটিশ ও ভারতীয় সেনা ছিলেন অন্য প্রান্তে ।
  • চারিদিক থেকে ঘিরে নিয়েছিল জাপানি সেনা । ফলে নতুন করে শক্তি বাড়ানো বা সাপ্লাই পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছিল ব্রিটিশ ও ভারতীয় জওয়ানদের জন্য । ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল ব্রিটিশ সেনা ।
  • এরপর জাপানি সেনার আকাশপথে সাহায্য ও সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায় । ফলে পরে মিত্র শক্তি খুব কম সময়েই কোহিমা ও ইম্ফলের আশপাশের পাহাড়ি এলাকা থেকে জাপানি সেনাকে হটাতে সক্ষম হয় ।
  • শেষ পর্যন্ত 22 জুন, 1944 ব্রিটিশ এবং ভারতীয় বাহিনী জাপানিদের শেষ ঘাঁটিটিকেও ইম্ফল এবং কোহিমা সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল ।
  • ভারতে আগ্রাসনের জন্য 85,000 জওয়ানের শক্তিসমৃদ্ধ জাপানের 15 তম সেনাবাহিনী মূলত ধ্বংস হয়ে যায় । 53,000 জন জাপানি জওয়ান মারা যায় । নিখোঁজও হয়েছিল অনেকে । অন্যদিকে 16,500 জন ব্রিটিশ মারা গেছিল ।

ভারতীয়দের কাছে ঋণী ব্রিটিশ রাজ

  • ভারতও ত্রাণ সরবরাহ করেছিল । ভারত মহাসাগরের উপরে ভারতের কৌশলগত অবস্থান এবং এর ক্রমাগত অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহের ফলে জাপানকে সহজেই প্রতিহত করেছিল ব্রিটিশরা ।
  • যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় কারখানা ও ফার্মগুলি সচল রাখার জন্য 14 মিলিয়ন ভারতীয় শ্রমিক দিনরাত কাজ করেছিলেন ।
  • 1945 সালের হিসেব অনুযায়ী, ব্রিটেন যুদ্ধের জন্য অন্য দেশগুলি থেকে 3 বিলিয়ন ইউরো ঋণ নিয়েছিল । এর মধ্যে 1.25 বিলিয়ন ইউরো শুধুমাত্র ভারত থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল । তবে শেষ পর্যন্ত এই ঋণ কোনওদিনই মেটানো হয়নি ।

ইট্যালিতে যুদ্ধে ভারতীয় সেনার অবদান

  • প্রায় 50 হাজার ভারতীয় সেনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লড়েছিলেন ইট্যালিতে । এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন 19 বছর থেকে 22 বছর বয়সের মধ্যে ।
  • 1943 সালের 19 সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতীয় সেনা জওয়ানরা নেপলসের দক্ষিণে তারাটোতে অবতরণ করে । ততদিনে 1994 সালের 29 এপ্রিল পর্যন্ত তারা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ইট্যালির হয়ে বীরত্বপূর্ণ লড়াই করেছিলেন । 5782 জন ভারতীয় জওয়ান মারা গেছিলেন ।
  • এই সময়ে 20 জন ভিক্টোরিয়া ক্রস পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ছয়জন ভারতীয় ছিলেন । সিপাহি কমল রাম (3/8 পঞ্জাব), এন কে যশবন্ত ঘাড়গে - মরণোত্তর (3/5 মারাঠা লাইট ইনফ্যানন্ট্রি), সিপাহি নামদেব যাদব (1/5 মারাঠা লাইট ইনফ্যানন্ট্রি), রাইফেলম্যান শের বাহাদুর থাপা (1/9 গোর্খা রাইফেলস), রাইফেলম্যান থামান গুরুং - মরণোত্তর (5 গোর্খা রাইফেলস) এবং সিপাহি হায়দার আলি (6/13 ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রাইফেলস) ।

ভারতের প্রশংসায় ব্রিটেন

  • 1942 সাল থেকে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ বলেছিলেন, "ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনী না থাকলে প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পার করা যেত না ।"
  • ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল একসময় ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যের জন্য খ্যাত ছিলেন । তিনিও ভারতীয় সেনা ও আধিকারিকদের সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানান ।

1945 সাল । 2 সেপ্টেম্বর । মিত্র শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে জাপান । অবসান হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের । 1939 সাল থেকে 1945 সাল । ইতিহাসের সবথেকে ভয়াবহ যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছিল গোটা বিশ্ব ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা একনজরে

  • ভারত তখন ব্রিটিশ উপনিবেশ । 23 লাখেরও বেশি ঔপনিবেশিক ভারতের জওয়ান অংশ নিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ।
  • প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় 89 হাজার জওয়ান ।
  • ভারতীয় জওয়ানরা উত্তর ও পূর্ব আফ্রিকা অভিযান, পশ্চিমের মরু-অভিযান এবং ইউরোপে অংশ নিয়েছিলেন ।
  • তবে জাপানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতেই বেশিরভাগ ভারতীয় জওয়ানকে ব্যবহার করা হয়েছিল ।
  • টব্রুক, মন্টি ক্যাসিনো, কোহিমা এবং ইম্ফলের যুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ।
  • ব্রিটেন, ভারত ও আফ্রিকার সম্মিলিত ফোর্টিন্থ আর্মি মিত্রশক্তির হয়ে বার্মা পুনর্দখল করে ।
  • ব্রিটিশদের হয়ে লড়াইয়ে সাহসিকতা দেখানোর জন্য 30 জন ভারতীয় ভিক্টোরিয়া ক্রস পান ।

কোহিমায় ভারতীয়দের বীরত্বের গাথা

  • কোহিমা ও ইম্ফলের যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভারতীয় পর্বে সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত হয়েছিল । বার্মায় জাপানের সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ জওয়ানই প্রাণ হারায় এই যুদ্ধে ।
  • 2012 সালে ব্রিটেনের ন্যাশনাল আর্মি জাদুঘরে সেরা যুদ্ধের প্রতিযোগিতায় এই যুদ্ধের নাম ছিল সবার উপরে । ওয়াটারলু এবং ডি-ডে -কেও পিছনে ফেলে দিয়েছিল এই যুদ্ধ ।
  • 1942 সালে বার্মা থেকে ব্রিটিশদের উৎখাত করে জাপানের সেনা । এরপরই দু'বছর পরই বার্মা পুনরূদ্ধারের জন্য শুরু হয় যুদ্ধ ।
  • লেফটেন্যান্ট জেনেরাল রেনিয়া মুতাগুচি তাঁর জাপানি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের রাজি করিয়ে নেন ইম্ফল এবং কোহিমাতে ব্রিটিশ বাহিনী আক্রমণ করার জন্য । লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশদের পালটা আক্রমণ প্রতিরোধ করা ।
  • জেনেরাল মুতাগুচি ব্রিটিশ রাজের ভিতকে নড়িয়ে দিতে ভারতে প্রবেশ করার পরিকল্পনা করেন ।
  • অন্যদিকে ব্রিটিশদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনেরাল উইলিয়াম স্লিম ।

জাপানের অতর্কিত হানা

  • জেনেরাল স্লিম পশ্চিম বার্মা থেকে তাঁর বাহিনী সরিয়ে নিয়েছিলেন । ইম্পাল উপত্যকার আশপাশের পাহাড়ে সুরক্ষিত জায়গাগুলিতে সরিয়ে আনেন সেনাকে । জাপানিদের সাপ্লাই লাইন থেকে অনেকটা দূরে যুদ্ধে নামানোর কৌশল করেছিলেন তিনি ।
  • কিন্তু কোনও ব্রিটিশ কমান্ডারই বিশ্বাস করতে পারেননি, কোহিমার দুর্ভেদ্য জঙ্গল পার করে যাবে জাপানের সেনা । 4 এপ্রিল যখন প্রায় 15 হাজার জাপানি সেনা জওয়ান জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন মাত্র 1500 ব্রিটিশ ও ভারতীয় সেনা ছিলেন অন্য প্রান্তে ।
  • চারিদিক থেকে ঘিরে নিয়েছিল জাপানি সেনা । ফলে নতুন করে শক্তি বাড়ানো বা সাপ্লাই পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছিল ব্রিটিশ ও ভারতীয় জওয়ানদের জন্য । ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল ব্রিটিশ সেনা ।
  • এরপর জাপানি সেনার আকাশপথে সাহায্য ও সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায় । ফলে পরে মিত্র শক্তি খুব কম সময়েই কোহিমা ও ইম্ফলের আশপাশের পাহাড়ি এলাকা থেকে জাপানি সেনাকে হটাতে সক্ষম হয় ।
  • শেষ পর্যন্ত 22 জুন, 1944 ব্রিটিশ এবং ভারতীয় বাহিনী জাপানিদের শেষ ঘাঁটিটিকেও ইম্ফল এবং কোহিমা সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল ।
  • ভারতে আগ্রাসনের জন্য 85,000 জওয়ানের শক্তিসমৃদ্ধ জাপানের 15 তম সেনাবাহিনী মূলত ধ্বংস হয়ে যায় । 53,000 জন জাপানি জওয়ান মারা যায় । নিখোঁজও হয়েছিল অনেকে । অন্যদিকে 16,500 জন ব্রিটিশ মারা গেছিল ।

ভারতীয়দের কাছে ঋণী ব্রিটিশ রাজ

  • ভারতও ত্রাণ সরবরাহ করেছিল । ভারত মহাসাগরের উপরে ভারতের কৌশলগত অবস্থান এবং এর ক্রমাগত অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহের ফলে জাপানকে সহজেই প্রতিহত করেছিল ব্রিটিশরা ।
  • যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় কারখানা ও ফার্মগুলি সচল রাখার জন্য 14 মিলিয়ন ভারতীয় শ্রমিক দিনরাত কাজ করেছিলেন ।
  • 1945 সালের হিসেব অনুযায়ী, ব্রিটেন যুদ্ধের জন্য অন্য দেশগুলি থেকে 3 বিলিয়ন ইউরো ঋণ নিয়েছিল । এর মধ্যে 1.25 বিলিয়ন ইউরো শুধুমাত্র ভারত থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল । তবে শেষ পর্যন্ত এই ঋণ কোনওদিনই মেটানো হয়নি ।

ইট্যালিতে যুদ্ধে ভারতীয় সেনার অবদান

  • প্রায় 50 হাজার ভারতীয় সেনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লড়েছিলেন ইট্যালিতে । এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন 19 বছর থেকে 22 বছর বয়সের মধ্যে ।
  • 1943 সালের 19 সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতীয় সেনা জওয়ানরা নেপলসের দক্ষিণে তারাটোতে অবতরণ করে । ততদিনে 1994 সালের 29 এপ্রিল পর্যন্ত তারা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ইট্যালির হয়ে বীরত্বপূর্ণ লড়াই করেছিলেন । 5782 জন ভারতীয় জওয়ান মারা গেছিলেন ।
  • এই সময়ে 20 জন ভিক্টোরিয়া ক্রস পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ছয়জন ভারতীয় ছিলেন । সিপাহি কমল রাম (3/8 পঞ্জাব), এন কে যশবন্ত ঘাড়গে - মরণোত্তর (3/5 মারাঠা লাইট ইনফ্যানন্ট্রি), সিপাহি নামদেব যাদব (1/5 মারাঠা লাইট ইনফ্যানন্ট্রি), রাইফেলম্যান শের বাহাদুর থাপা (1/9 গোর্খা রাইফেলস), রাইফেলম্যান থামান গুরুং - মরণোত্তর (5 গোর্খা রাইফেলস) এবং সিপাহি হায়দার আলি (6/13 ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রাইফেলস) ।

ভারতের প্রশংসায় ব্রিটেন

  • 1942 সাল থেকে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ বলেছিলেন, "ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনী না থাকলে প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পার করা যেত না ।"
  • ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল একসময় ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যের জন্য খ্যাত ছিলেন । তিনিও ভারতীয় সেনা ও আধিকারিকদের সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানান ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.