ETV Bharat / bharat

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির ভূমিকা

প্রথমে কোরোনা ও তারপর লিপুলেখে রাস্তা তৈরি নিয়ে বার বার প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ভারতের বিরোধিতা করেছে নেপাল । কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরাকে বিল পাস করে নিজের ভূখণ্ডের বলে দাবি করেছে তারা । এর পিছনে কী আদৌ চিনের হাত রয়েছে ? - লিখছেন সঞ্জয় কাপুর

ফাইল ফোটো
ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jun 21, 2020, 2:02 PM IST

ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধু নেপাল যে পুরোনো ঔপনিবেশিক চুক্তি পুনর্বিবেচনা করে তার নিকটতম প্রতিবেশী এবং বন্ধুর থেকে বিতর্কিত ভূখণ্ড দাবি করে বসবে, সেটা কখনও ভাবা যায়নি । তারা দ্রুত সংসদে বিল এনেছে এবং তিনটি জায়গা, কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরাকে নেপালের অন্তর্ভুক্ত করেছে । ক্রোধ, নিন্দা না উদাসীনতা, কীভাবে এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া দেবে, তা নিয়ে মনস্থির করতে পারেনি দিল্লি । এই প্রহেলিকা আরও বেড়েছে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে । যারা শুধু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি সেনা মোতায়েনই করেনি সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সংকল্পেরও পরীক্ষা নিচ্ছে । 15 জুন যা ঘটেছে, আর যেভাবে ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে চিনের দাবি মেনে নিয়েছে, তার প্রভাব পড়বে স্থলসীমান্ত নিয়ে যেভাবে নেপাল ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, তার উপরও ।

কেন নেপাল এই পরিস্থিতিতে বিতর্কিত ভূখণ্ডে নিজেদের দাবি সামনে রাখল ? এটা কী প্রধানমন্ত্রী কে শর্মা ওলির ছক ? যিনি তাঁর সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন? অথবা এতে কী চিনের প্রশ্রয় রয়েছে, যারা আগ্রাসীভাবে এই অঞ্চলে ভারতের প্রভাবকে সরিয়ে দিতে চাইছে?

বিতর্কিত জমি দখলে নেপালের প্রয়াসের সময় দেখে একে চিনের সঙ্গে মেলানো গেলেও, আরও অনেক কারণ আছে যার থেকে ইঙ্গিত যে ওলির সিদ্ধান্ত দিল্লির সঙ্গে তাঁর শীতল সম্পর্কের জেরেই নেওয়া হয়েছে । ভারতের সেনাপ্রধান জেনেরাল নারাভানে যখন নেপালের পদক্ষেপের জন্য চিনকে দায়ি করেছিলেন, তখন তিনি কাঠমাণ্ডুতে যা হচ্ছে, তা বুঝতে ভুল করেছিলেন । যদিও কিছুটা পিছিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাও একটা সার্বভৌম বন্ধু দেশ নিজের সিদ্ধান্তে অক্ষম, এই ইঙ্গিত কাঠমাণ্ডুর শাসক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করে । তারপরই নেপাল সরকার ভারতের দাবি করা তিনটি এলাকার উপর নিজেদের আনুষ্ঠানিক অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করে । নেপাল দিল্লিকে জিজ্ঞাসাই করেনি যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা কী ভাবছে এবং তারা দরকষাকষির জন্য রাজি আছে কি না । শুধুমাত্র বিল পাস হয়ে যাওয়ার পরই ওলি সরকার দিল্লির সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয় । জানায় যে তারা ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য তৈরি । নেপালে ভারতের এক প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, “এখন আর কথা বলার জন্য বাকি কী আছে ।” যদি ভারত সরকার আত্মসমীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়, যে দিল্লির প্রতি এই বিরূপ মনোভাব কেন এবং কেনই বা বিতর্কিত ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মতো প্রতীকী পদক্ষেপ নেপালিদের মধ্যে দম্ভের পরিচয় দিচ্ছে ।

ওলির সরকার চালানো কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে । যে ঢিলেমির সঙ্গে ওলি মহামারী মোকাবিলা করেছেন, তার জন্য বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে । সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে । এখানেও ওলি ভারতের ঘাড়ে দায় ঠেলেছেন । বলেছেন, বেশিরভাগ সংক্রমণই সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে । সত্যিটা হল, খুব কম লোকই ভারত থেকে ফিরে গেছেন নেপালে ।

ওলি দিল্লিকে নিয়ে অসন্তুষ্ট কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে যখন তিনি অসুস্থ হন, তখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিরোধী দল প্রচণ্ড । যার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি । এমনকী, যেভাবে তাঁর বিরোধিতা করেছেন, তাতেও ভারতের মদতের অভিযোগ আনা হচ্ছে । নেপালে চিনা রাষ্ট্রদূত, যিনি সামাজিকভাবে অনেক বেশি নাগালের মধ্যে তাঁর হস্তক্ষেপেই ওলি টিকে গেছেন ।

যে লিপুলেখ পাসকে নেপাল তাদের বলে দাবি করে, সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মাধ্যমে মানস সরোবর যাওয়ার একটি রাস্তা বিবেচনাহীনভাবে উদ্বোধন করার পরেই সুযোগ নেন ওলি । নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি বলেন, “যে লিঙ্ক রোড ভারত উদ্বোধন করেছে, তা সেই অঞ্চলের উপর তৈরি হয়েছে, যা ঐতিহাসিকভাবে নেপালের । 1816 সালের সুগৌলি চুক্তি অনুসারে, মহাকালী নদীর পূর্ব দিকের এলাকা নেপালের এবং দুই পক্ষই 1988 সালে সম্মত হয়েছিল যে নেপালের সীমান্ত নির্ধারণের ক্ষেত্রে "নির্দিষ্ট সীমান্ত" নীতি মেনে চলা হবে ।”

নেপাল প্রতিবাদ জানিয়েছিল, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিনে গিয়ে লিপুলেখে তীর্থযাত্রীদের জন্য বর্ডার পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেন । নেপাল চিন্তিত ছিল ভারতীয় নেতৃত্বের সেই প্রচেষ্টা নিয়ে । যেখানে মানস সরোবর যাত্রাকে হিন্দুদের এমন একটা দেশে ঢুকিয়ে দেওয়া, যেখানে তারা সংখ্যাগুরু । মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার হিন্দু সভ্যতার সূত্রগুলি ধরে দেশের প্রভাব বাড়াবার চেষ্টা করেছে । এইসব পদক্ষেপ ব্যাকফায়ারে পরিণত হয়েছে । নেপাল হিন্দুত্বকে সামন্ততান্ত্রিক রানা রাজবংশের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে, যার বিরুদ্ধে মাওবাদীরা তিক্ত লড়াই লড়েছে । ভারত ও নেপালের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়, যখন কাঠমাণ্ডুর নেতৃত্ব নেপালকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করতে অস্বীকার করে । 2015 সাল থেকেই ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে, আর বিশেষ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ভারত সরকার এই বোঝাপড়ার উন্নতি ঘটাতে পারছে না । চারপাশে ভূভাগ দিয়ে ঘেরা এই দেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিনের প্রিজ়ম দিয়ে দিল্লির দেখার প্রবণতা । এই মনোভাবে ভারতের, নেপালিদের এবং বিভিন্ন স্তরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষতি হচ্ছে । দুশ্চিন্তার কথা, যেভাবে ভারতের অর্থনীতির হাল খারাপ হচ্ছে, তাতে কাজের সন্ধান করা তরুণ নেপালিদের কাছে আর এই দেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে থাকবে না ।

ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধু নেপাল যে পুরোনো ঔপনিবেশিক চুক্তি পুনর্বিবেচনা করে তার নিকটতম প্রতিবেশী এবং বন্ধুর থেকে বিতর্কিত ভূখণ্ড দাবি করে বসবে, সেটা কখনও ভাবা যায়নি । তারা দ্রুত সংসদে বিল এনেছে এবং তিনটি জায়গা, কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরাকে নেপালের অন্তর্ভুক্ত করেছে । ক্রোধ, নিন্দা না উদাসীনতা, কীভাবে এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া দেবে, তা নিয়ে মনস্থির করতে পারেনি দিল্লি । এই প্রহেলিকা আরও বেড়েছে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে । যারা শুধু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি সেনা মোতায়েনই করেনি সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সংকল্পেরও পরীক্ষা নিচ্ছে । 15 জুন যা ঘটেছে, আর যেভাবে ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে চিনের দাবি মেনে নিয়েছে, তার প্রভাব পড়বে স্থলসীমান্ত নিয়ে যেভাবে নেপাল ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, তার উপরও ।

কেন নেপাল এই পরিস্থিতিতে বিতর্কিত ভূখণ্ডে নিজেদের দাবি সামনে রাখল ? এটা কী প্রধানমন্ত্রী কে শর্মা ওলির ছক ? যিনি তাঁর সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন? অথবা এতে কী চিনের প্রশ্রয় রয়েছে, যারা আগ্রাসীভাবে এই অঞ্চলে ভারতের প্রভাবকে সরিয়ে দিতে চাইছে?

বিতর্কিত জমি দখলে নেপালের প্রয়াসের সময় দেখে একে চিনের সঙ্গে মেলানো গেলেও, আরও অনেক কারণ আছে যার থেকে ইঙ্গিত যে ওলির সিদ্ধান্ত দিল্লির সঙ্গে তাঁর শীতল সম্পর্কের জেরেই নেওয়া হয়েছে । ভারতের সেনাপ্রধান জেনেরাল নারাভানে যখন নেপালের পদক্ষেপের জন্য চিনকে দায়ি করেছিলেন, তখন তিনি কাঠমাণ্ডুতে যা হচ্ছে, তা বুঝতে ভুল করেছিলেন । যদিও কিছুটা পিছিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাও একটা সার্বভৌম বন্ধু দেশ নিজের সিদ্ধান্তে অক্ষম, এই ইঙ্গিত কাঠমাণ্ডুর শাসক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করে । তারপরই নেপাল সরকার ভারতের দাবি করা তিনটি এলাকার উপর নিজেদের আনুষ্ঠানিক অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করে । নেপাল দিল্লিকে জিজ্ঞাসাই করেনি যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা কী ভাবছে এবং তারা দরকষাকষির জন্য রাজি আছে কি না । শুধুমাত্র বিল পাস হয়ে যাওয়ার পরই ওলি সরকার দিল্লির সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয় । জানায় যে তারা ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য তৈরি । নেপালে ভারতের এক প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, “এখন আর কথা বলার জন্য বাকি কী আছে ।” যদি ভারত সরকার আত্মসমীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়, যে দিল্লির প্রতি এই বিরূপ মনোভাব কেন এবং কেনই বা বিতর্কিত ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মতো প্রতীকী পদক্ষেপ নেপালিদের মধ্যে দম্ভের পরিচয় দিচ্ছে ।

ওলির সরকার চালানো কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে । যে ঢিলেমির সঙ্গে ওলি মহামারী মোকাবিলা করেছেন, তার জন্য বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে । সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে । এখানেও ওলি ভারতের ঘাড়ে দায় ঠেলেছেন । বলেছেন, বেশিরভাগ সংক্রমণই সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে । সত্যিটা হল, খুব কম লোকই ভারত থেকে ফিরে গেছেন নেপালে ।

ওলি দিল্লিকে নিয়ে অসন্তুষ্ট কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে যখন তিনি অসুস্থ হন, তখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিরোধী দল প্রচণ্ড । যার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি । এমনকী, যেভাবে তাঁর বিরোধিতা করেছেন, তাতেও ভারতের মদতের অভিযোগ আনা হচ্ছে । নেপালে চিনা রাষ্ট্রদূত, যিনি সামাজিকভাবে অনেক বেশি নাগালের মধ্যে তাঁর হস্তক্ষেপেই ওলি টিকে গেছেন ।

যে লিপুলেখ পাসকে নেপাল তাদের বলে দাবি করে, সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মাধ্যমে মানস সরোবর যাওয়ার একটি রাস্তা বিবেচনাহীনভাবে উদ্বোধন করার পরেই সুযোগ নেন ওলি । নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি বলেন, “যে লিঙ্ক রোড ভারত উদ্বোধন করেছে, তা সেই অঞ্চলের উপর তৈরি হয়েছে, যা ঐতিহাসিকভাবে নেপালের । 1816 সালের সুগৌলি চুক্তি অনুসারে, মহাকালী নদীর পূর্ব দিকের এলাকা নেপালের এবং দুই পক্ষই 1988 সালে সম্মত হয়েছিল যে নেপালের সীমান্ত নির্ধারণের ক্ষেত্রে "নির্দিষ্ট সীমান্ত" নীতি মেনে চলা হবে ।”

নেপাল প্রতিবাদ জানিয়েছিল, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিনে গিয়ে লিপুলেখে তীর্থযাত্রীদের জন্য বর্ডার পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেন । নেপাল চিন্তিত ছিল ভারতীয় নেতৃত্বের সেই প্রচেষ্টা নিয়ে । যেখানে মানস সরোবর যাত্রাকে হিন্দুদের এমন একটা দেশে ঢুকিয়ে দেওয়া, যেখানে তারা সংখ্যাগুরু । মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার হিন্দু সভ্যতার সূত্রগুলি ধরে দেশের প্রভাব বাড়াবার চেষ্টা করেছে । এইসব পদক্ষেপ ব্যাকফায়ারে পরিণত হয়েছে । নেপাল হিন্দুত্বকে সামন্ততান্ত্রিক রানা রাজবংশের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে, যার বিরুদ্ধে মাওবাদীরা তিক্ত লড়াই লড়েছে । ভারত ও নেপালের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়, যখন কাঠমাণ্ডুর নেতৃত্ব নেপালকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করতে অস্বীকার করে । 2015 সাল থেকেই ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে, আর বিশেষ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ভারত সরকার এই বোঝাপড়ার উন্নতি ঘটাতে পারছে না । চারপাশে ভূভাগ দিয়ে ঘেরা এই দেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিনের প্রিজ়ম দিয়ে দিল্লির দেখার প্রবণতা । এই মনোভাবে ভারতের, নেপালিদের এবং বিভিন্ন স্তরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষতি হচ্ছে । দুশ্চিন্তার কথা, যেভাবে ভারতের অর্থনীতির হাল খারাপ হচ্ছে, তাতে কাজের সন্ধান করা তরুণ নেপালিদের কাছে আর এই দেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে থাকবে না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.