ETV Bharat / bharat

সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির জন্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের 14টি দেশের ‘হিটলিস্ট’ তৈরি করল দিল্লি - ভারতের সামরিক রপ্তানি

ভারত প্রতিরক্ষা অ্যাটাশের সাহায্যে বন্ধু দেশগুলির তালিকা তৈরি করছে । এটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের লক্ষ্যে ভারতের যাত্রাপথ । বললেন প্রতিরক্ষা সচিব (উৎপাদন) রাজ কুমার ।

millitary export
millitary export
author img

By

Published : Aug 29, 2020, 3:52 PM IST

দিল্লি, 29 অগাস্ট : সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে 2025 সালের মধ্যে 35 হাজার কোটি টাকা আয়ের উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনায়, টার্গেট ডেস্টিনেশন হিসেবে 14টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে ভারত । ভারতের লক্ষ্য, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচটি শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারী দেশের তালিকায় জায়গা করে নেওয়া ।

এ'বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিক ETV ভারতকে বলেন, “আমরা চোদ্দটি দেশের প্রোফাইল তৈরি করেছি যেখানে আমরা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে পারি । এরা সবাই এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ ।" এই প্রয়াস চলছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে । স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারী হিসেবে ভারতের পরিচিতির সম্পূর্ণ বিপরীত । রপ্তানিকারী হিসেবে ভারতের জায়গা অনেক নিচে, 23 নম্বরে, যেখানে গ্রাহক হিসেবে রয়েছে মরিশাস, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ ।

বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা সচিব (উৎপাদন) রাজ কুমার একটি ওয়েবিনারে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতের আত্মনির্ভরতা প্রসঙ্গে বলেন, “ভারত প্রতিরক্ষা অ্যাটাশের সাহায্যে বন্ধু দেশগুলির তালিকা তৈরি করছে ।” তাঁর কথায়, “এটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের লক্ষ্যে আমাদের যাত্রাপথ ।" সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে ভারতের রাডার, বন্দুক, গোলাগুলি ইত্যাদির চাহিদা রয়েছে । পাশাপাশি রয়েছে ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো উপকরণ, যা রাশিয়ার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে । ভারত অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট মেকার (OEM)-দের থেকে দেশে উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স জোগাড়ের রাস্তা থেকে সরে, যৌথ উদ্যোগে তৈরির দিকে বেশি নজর দিচ্ছে ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি খসড়া ‘প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রপ্তানি নীতি 2020’ তৈরি করে তাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে জনগণের মতামত চেয়েছে । ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন প্রধানত অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি ও সরকারি সংস্থাগুলোর (DPSU) হাতে রয়েছে । কিন্তু 2001 সাল থেকে বেসরকারি সংস্থাকেও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে । এর ফলে আগ্নেয়াস্ত্র, ট্যাঙ্ক, আর্মার্ড ভেহিকল, হেভি ভেহিকল, যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, বৈদ্যুতিন সামগ্রী, আর্থ মুভিং উপকরণের বিপুল বৈচিত্র্যপূর্ণ ভাণ্ডার তৈরি হয়েছে ।

2019-20 সালে ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্প, যার মধ্যে এরোস্পেস ও নৌসেনার জাহাজ নির্মাণও রয়েছে, তার পরিমাণ ছিল প্রায় 80,000 কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারি সংস্থাগুলোর যোগদান ছিল প্রায় 63,000 কোটি টাকা, এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ প্রায় 17000 কোটি টাকা ।

দিল্লি, 29 অগাস্ট : সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে 2025 সালের মধ্যে 35 হাজার কোটি টাকা আয়ের উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনায়, টার্গেট ডেস্টিনেশন হিসেবে 14টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে ভারত । ভারতের লক্ষ্য, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচটি শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারী দেশের তালিকায় জায়গা করে নেওয়া ।

এ'বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিক ETV ভারতকে বলেন, “আমরা চোদ্দটি দেশের প্রোফাইল তৈরি করেছি যেখানে আমরা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে পারি । এরা সবাই এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ ।" এই প্রয়াস চলছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে । স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারী হিসেবে ভারতের পরিচিতির সম্পূর্ণ বিপরীত । রপ্তানিকারী হিসেবে ভারতের জায়গা অনেক নিচে, 23 নম্বরে, যেখানে গ্রাহক হিসেবে রয়েছে মরিশাস, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ ।

বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা সচিব (উৎপাদন) রাজ কুমার একটি ওয়েবিনারে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতের আত্মনির্ভরতা প্রসঙ্গে বলেন, “ভারত প্রতিরক্ষা অ্যাটাশের সাহায্যে বন্ধু দেশগুলির তালিকা তৈরি করছে ।” তাঁর কথায়, “এটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের লক্ষ্যে আমাদের যাত্রাপথ ।" সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে ভারতের রাডার, বন্দুক, গোলাগুলি ইত্যাদির চাহিদা রয়েছে । পাশাপাশি রয়েছে ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো উপকরণ, যা রাশিয়ার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে । ভারত অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট মেকার (OEM)-দের থেকে দেশে উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স জোগাড়ের রাস্তা থেকে সরে, যৌথ উদ্যোগে তৈরির দিকে বেশি নজর দিচ্ছে ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি খসড়া ‘প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রপ্তানি নীতি 2020’ তৈরি করে তাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে জনগণের মতামত চেয়েছে । ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন প্রধানত অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি ও সরকারি সংস্থাগুলোর (DPSU) হাতে রয়েছে । কিন্তু 2001 সাল থেকে বেসরকারি সংস্থাকেও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে । এর ফলে আগ্নেয়াস্ত্র, ট্যাঙ্ক, আর্মার্ড ভেহিকল, হেভি ভেহিকল, যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, বৈদ্যুতিন সামগ্রী, আর্থ মুভিং উপকরণের বিপুল বৈচিত্র্যপূর্ণ ভাণ্ডার তৈরি হয়েছে ।

2019-20 সালে ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্প, যার মধ্যে এরোস্পেস ও নৌসেনার জাহাজ নির্মাণও রয়েছে, তার পরিমাণ ছিল প্রায় 80,000 কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারি সংস্থাগুলোর যোগদান ছিল প্রায় 63,000 কোটি টাকা, এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ প্রায় 17000 কোটি টাকা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.