দিল্লি, 23 জুন : ভারতে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিক সংখ্যা অর্ধেক করতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ একইভাবে ইসলামাবাদে নিজেদের দূতাবাসে নিযুক্ত আধিকারিক সংখ্যাও অর্ধেক করা হবে ৷ আজ এই ঘোষণা করল বিদেশমন্ত্রক ৷
15 জুন পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের দুই সদস্যকে ইসলামাবাদ থেকে আটক করে পাকিস্তান প্রশাসন ৷ তাঁদের হিট অ্যান্ড রান ও জালনোট কারবারির মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় ৷ অভিযোগ, ভারতের ওই দুই আধিকারিকের উপর নির্যাতনও করা হয় ৷ যদিও ভারতের চাপে পড়ে 12 ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়ে দেয় পাকিস্তান ৷ এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরই আজ ভারতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে দূতাবাসে আধিকারিকদের সংখ্যা অর্ধেক করতে বলা হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে ৷
আজ ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ হায়দার শাহকে ডেকে পাঠান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ৷ তিনি সৈয়দ হায়দারকে জানান, পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিকদের কার্যকলাপ নিয়ে ভারত চিন্তিত ৷ কারণ, এই আধিকারিকরা গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ৷ একই সঙ্গে তারা সন্ত্রাসবাসী সংগঠনগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে ৷ যদিও সৈয়দ হায়দার আগে বলেছিলেন যে, ইসলামাবাদে ভারতের দূতাবাস যাতে তাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে শুরু করেছে পাকিস্তান ৷
ইসালামাবাদে আটক ভারতীয় দূতাবাসের দুই আধিকারিক গতকাল দেশে ফেরেন ৷ বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানি সংস্থার তরফে ভারতীয় দূতাবাসের ওই দুই আধিকারিকের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে ৷
বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, "ভিয়েনা কনভেনশন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কূটনৈতিক আধিকারিকদের যে আচরণ প্রাপ্য তার সঙ্গে পাকিস্তান ও তার আধিকারিকদের আচরণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ ৷ বরং, তা সীমান্ত সংঘাত ও সন্ত্রাসকে সমর্থন করার এক বৃহত্তর নীতি ৷"
আজ ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, "দিল্লিতে পাকিস্তানের দূতাবাসে আধিকারিক সংখ্যা অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ৷ একই অনুপাতে ভারতে ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাসে আধিকারিক সংখ্যা কমাবে ৷ এই সিদ্ধান্ত সাত দিনের মধ্যে কার্যকর করতে বলে বিষয়টি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ "