লাদাখ, 30 জুন : আলোচনার মাধ্যমে পূর্ব লাদাখে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে ৷ পারস্পরিক শর্ত মেনে সীমান্তের উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য মঙ্গলবার চৌসুলে চিন ও ভারতের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হবে ৷ তবে আলোচনার পাশাপাশি চরম মুহূর্তের জন্যও প্রস্তুত হয়ে থাকছে ভারত ৷ গালওয়ান উপত্যকায় ইতিমধ্যেই ছয়টি T-90 মিজ়াইল ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা ৷ পাহাড়জুড়ে এখন যুদ্ধের আয়োজন ৷ চিন কোনওরকম আগ্রাসন দেখালেই পাল্টা জবাব দেবে এই ভীষ্ম ট্যাঙ্ক ৷
সীমান্ত বরাবর শক্তি বাড়াচ্ছে চিনও ৷ বিশেষ করে ডেপস্যাং প্লেনস ও প্যাংগং লেক পার্শ্ববর্তী এলাকায়৷ বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিনা সৈন্যবাহিনী সুখোই-30 এবং বোমারু বিমানের মতো বিভিন্ন শক্তিশালী যুদ্ধবিমান সীমান্তে নিয়ে আসে । ভারতীয় সীমান্ত থেকে 10 কিলোমিটার দূরে এই বিমানগুলির ওড়ার প্রমাণ মিলেছে । এরপরই LAC-তে T-90 মিজ়াইল ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে ভারত ৷ পূর্ব লাদাখের 1597 কিলোমিটার দীর্ঘ LAC বরাবর 155 মিমি হাউইজারের সঙ্গে পদাতিক যুদ্ধ যান মোতায়েন করা হয়েছে ৷ এছাড়া চৌসুল সেক্টরে রাখা হয়েছে দুটি ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট ৷ যাতে চিন কোনওরকম আক্রমণের পরিকল্পনা করলে তা প্রতিহত করতে পারে ভারত ৷ LAC সেক্টরে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য চুক্তি করতে চায় চিন সেনা ৷ কিন্তু বিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক নয় ভারতীয় সেনা ৷
শুধু টি-90 ট্যাঙ্কই নয়, লাদাখে রয়েছে ভারতের এয়ার সার্ভেল্যান্স রাডার ও যুদ্ধ বিমান ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি 30 কিমি দূরে ও 18 হাজার মিটার উচ্চতায় থাকা বিপক্ষকে ঘায়েল করতে সক্ষম ৷ এদিকে যতই আলোচনা চলুক চিনের সঙ্গে, বিরোধ এখনও চলবে বলে মনে করছে কেউ কেউ ৷ কারণ, সীমান্তে নদীর জলের তাপমাত্রা 10 ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে ৷ তাপমাত্রা যত বদলাবে ততই ধীরে ধীরে বরফে পরিণত হবে নদীগর্ভ ৷ কয়েকমাসের মধ্যে গোটা এলাকা তুষারে ঢেকে যাবে ৷ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে লাদাখ ৷