পটনা, 15 অগাস্ট : আজ 73তম স্বাধীনতা দিবস ৷ এই দিনে ভারতমাতার এক বীরসন্তানকে স্মরণ করছে ETV ভারত ৷ স্বদেশী আন্দোলনের জোয়ার এসেছিল 1905 সালে ৷ সেই সূত্র ধরে দেশমাতৃকাকে শৃঙ্খল মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক দল তরুণ ৷ দেশের জন্য শহিদ হন অনেকেই ৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাঙালি ৷ এঁদেরই অন্যতম বটুকেশ্বর দত্ত ৷
1910 সালের 18 নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মেছিলেন বটুকেশ্বর দত্ত । খণ্ডঘোষ থানা এলাকার ওঁয়াড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি । কিছুদিন ওঁয়াড়ি গ্রামে থাকার পর বাবার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে চলে যান তিনি । সেখানে থাকার সময়ই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন ।
বটুকেশ্বর দত্ত বর্ধমানের ভূমিপুত্র হলেও স্বাধীনতা উত্তর ভারতে তাঁর স্থায়ী বসতি ছিল বিহারের পটনার জাক্কানপুরে ৷ দেশকে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্তি দিতে নাম লিখিয়েছিলেন বিপ্লবী দলে । চন্দ্রশেখর আজাদের বিপ্লবী সংগঠন সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন । এরপর দিল্লিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের অপর সংগ্রামী ভগৎ সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন ।
1965 সালে দিল্লির AIMS সংলগ্ন একটি বর্ধিষ্ণু এলাকায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বটুকেশ্বর । তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুসারে অন্ত্যেষ্টি হয়েছিল পঞ্জাবের ফিরোজপুরের হুসেইনিওয়ালায় | যেখানে তার 34 বছর আগে রাতের অন্ধকারে শতদ্রুর জলে গোপনে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর সহযোগী ভগৎ সিং-শিবরাম রাজগুরু-শুকদেবের অস্থি ৷ সম্প্রতি স্বাধীনতা সংগ্রামী বটুকেশ্বর দত্তের মৃত্যুদিনে ওঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পটনার জাক্কানপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইও । বর্ধমান রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তন করার প্রসঙ্গও এসেছিল সেই সময় ৷