কুকুরের মন্দির ! অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি ৷ ভারতেই রয়েছে ৷ এই মন্দিরে কুকুরই প্রধান দেবতা ৷ চেনা দেবতারাও আছেন ৷ শিবলিঙ্গ আছে, গণেশ, রাম, লক্ষণ, শত্রঘ্নর মূর্তিও রয়েছে ৷ কিন্তু প্রধান আকর্ষণ হল "কুকুরদেব" !
মন্দিরটি রয়েছে ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলার খপড়ি গ্রামে ৷ রীতিমতো প্রাচীন মন্দির ৷ জানা যায়, চোদ্দ থেকে পনেরো শতকের মধ্যে তৈরি মন্দিরটি ৷ 200 মিটার বিস্তৃত এলাকায় ৷ প্রবেশদ্বারেই রয়েছে কুকুরের মূর্তি ৷ মন্দিরের চূড়ায় রয়েছে সাপের আদল ৷ কিন্তু কুকুর পুজো শুরু হল কেন ? কীভাবে ?
উত্তরে রয়েছে মায়ময় এক গল্প ৷ জানা যায়, একসময় যাযাবরদের বাস ছিল এই গ্রামে ৷ সেই যাযাবরদের একজনের ছিল একটি কুকুর ৷ একবার গ্রামে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ৷ সেই সময় অর্থাভাবে কুকুরটিকে সুদের কারবারির কাছে বন্ধক রাখেন মালকিন ৷ এরপর ওই সুদের কারবারির বাড়িতে চোর আসে ৷ যদিও চোর চুরির দ্রব্য কাছের এক পুকুরের কাছে রেখে পালায় ৷ কুকুরটিই চুরি যাওয়া সেই সমপ্মত্তি উদ্ধার করে ৷ আর এমন ঘটনায় খুশি হয়ে সুদের কারবারি কুকুরটিকে মুক্তি দেয় ৷ কেন তাকে মুক্তি দেওয়া হল তা একটি কাগজে লিখে কুকুরটির গলায় ঝুলিয়ে দেওয়াও হয় ৷
এরপর কুকুরটিও মহানন্দে মালকিনের কাছে ফিরে আসে ৷ কিন্তু মালকিন তাকে ভুল বোঝে ৷ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে কুকুরটিকে ৷ যদিও কুকুর মারা যাওয়ার পর মালকিন খেয়াল করেন, গলায় ঝোলানো কাগজ ৷ যা দেখে নিজের ভুল বোঝেন এবং অনুতপ্ত হন তিনি ৷
এরপরই ওই মন্দির প্রাঙ্গনে নির্মতি হয় কুকুরের সমাধি ৷ নির্মিত হয় একটি মূর্তিও ৷ সেই থেকে এই গ্রামে হয়ে আসছে কুকুর পুজো ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে পুজো দিলে কুকুর কামড়াবে না, জলাতঙ্ক থেকেও রেহাই মিলবে ৷
একইরকম মন্দির রয়েছে কর্নাটকের রামগড় জেলার চেন্নাপটনাতেও ৷ সেখানেও দেবতা রূপে পুজিত হয় কুকুর ৷