দিল্লি, 30 অগাস্ট : কোরোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেকদিন আগেই অক্সফোর্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সেরাম । এবার সেরামের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল বাংলাদেশের এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা । তবে, চুক্তি অনুযায়ী ওই সংস্থার তরফে কত টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে তা এখনও সামনে আসেনি ।
কোরোনার ভ্যাকসিন তৈরি হলেই তা যাতে দেশে দ্রুত পৌঁছায় তার জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে । চুক্তি অনুযায়ী, ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলেই প্রথম যে সব দেশে তা পৌঁছে দেওয়া হবে, তার মধ্যে থাকবে বাংলাদেশও । যার জন্যই আদর পুনাওয়ালার সেরামের সঙ্গে চুক্তি করল বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড ।
বেক্সিমকোর তরফে জানানো হয়, বেক্সিমকোর তরফে আমার নিশ্চিত করছি, বিশ্বে কোরোনা ভ্যাকসিন এলে প্রথম সরবরাহ যে দেশগুলিতে করা হবে, তার মধ্যে থাকবে বাংলাদেশও । এটা শুধুই সেরাম আর বেক্সিমকোর সম্পর্কের গভীরতা প্রমাণ করবে না, প্রমাণ করবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গভীরতাও ।
চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফরে গেছিলেন দেশের বিদেশ সচিব হর্ষ স্রিংলা । ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের অগ্রাধিকার সবসময়ই আমাদের কাছে বেশি । তিনি বলেন, "বিশ্বে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে 60 শতাংশই ভারত তৈরি করছে । তাই এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বন্ধু, অংশীদাররা এরই অংশ ।" এই দুই সংস্থার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তা শুক্রবার ঘোষণা করা হয় ।
এবিষয়ে বেক্সিমকোর তরফে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয়তা, সুরক্ষার সুবিধার্থে যতটা পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন ততটা সঞ্চয় করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে । যার দাম ঠিক করবে বাংলাদেশ সরকার ও সেরাম । সরকারি ছাড়াও বেসরকারি বাজারেও কিছু অতিরিক্তি পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বাংলাদেশের এই সংস্থা ।
বর্তমানে আস্ত্রাজেনেকা (AZD1222) ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে সেরাম । এদিকে, বাংলাদেশে আক্রান্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ ।