দিল্লি, 20 জুলাই : কোরোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ৷ বর্ষা ও শীতে আরও বেশি করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ ফলে পরিস্থিতি হতে পারে আরও মারাত্মক ৷ এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন IIT-AIIMS- এর বিশেষজ্ঞরা ৷
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কোরোনা সংক্রমণ বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে ছড়ায় ৷ এই বিষয়েই যৌথভাবে সমীক্ষা চালাচ্ছে IIT ও AIIMS ভুবনেশ্বর ৷ সমীক্ষার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা , বর্ষার পরের সময় ও শীতকালে এই কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে ৷ কারণ, সংক্রমণ আরও বাড়বে ৷
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, IIT ভুবনেশ্বরের স্কুল অফ আর্থ, ওশন অ্যান্ড ক্লাইম্যাটিক সায়েন্সের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর V ভিনোজ সমীক্ষাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৷ এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশের 28টি রাজ্যে কোরোনার ছড়িয়ে পড়ার গতি প্রকৃতি, রাজ্যগুলির পরিবেশ , আর্দ্রতা, জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি, সূর্যের বিকিরণ ইত্যাদি অবস্থার নিরীক্ষণ করে সমীক্ষা করা হচ্ছে ৷ সমীক্ষার একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব কাজ করে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণে ৷ তাপমাত্রা বাড়লে কমে সংক্রমণ ও তাপমাত্রা কমলে বাড়ে সংক্রমণ ৷ তাপমাত্রা বাড়লে 0.99 শতাংশ সংক্রমণের হার কমে যায় ৷ আবার, তাপমাত্রা কমলে সংক্রমণের হার হয় প্রায় দ্বিগুণ ৷ অন্যদিকে আর্দ্রতা বাড়লে কোরোনার সংক্রমণ বেড়ে যায় ৷ আবার , বাতাসে আর্দ্রতা কমলে ও সূর্যের বিকিরণ বেশি হলে কমে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৷ ফলে বর্ষার আর্দ্রতায় বাড়তে পারে সংক্রমণ ৷ আবার শীতের কম তাপমাত্রাতেও বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা ৷
দেশে বর্তমানে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় 11 লাখ ৷ প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ প্রতিদিনই প্রায় 40 হাজারের কাছাকাছি কোরোনা সংক্রমণ হচ্ছে ৷ গত 24 ঘণ্টায় দেশে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 38 হাজার 902 জন ৷ মৃত 543 জন ৷ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ৷ বর্তমানে দেশে মোট কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 10 লাখ 77 হাজার 619 জন ৷ একারণেই আগামীদিনগুলির জন্য উদ্বেগপ্রকাশ করেছে গবেষকরা ৷