ETV Bharat / bharat

কোভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনার জবাব দিল ICMR

COVID-19 এর ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দ্রুত শুরুর নির্দেশ দিয়েছে ICMR ৷ যা নিয়ে চিকিৎসক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একাংশের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ICMRকে। এনিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাল ওই সংস্থা।

author img

By

Published : Jul 5, 2020, 8:48 AM IST

cocronavirus vaccine
কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন

দিল্লি, 5 জুলাই : কোভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনার মধ্যে মুখ খুলল ICMR ৷ গতকাল সংস্থার তরফে জানানো হয়, ‘‘দেশের মানুষের সুরক্ষা ও স্বার্থ সবসময় অগ্রাধিকার পাবে ৷’’ 15 অগাস্ট COVID-19 এর ভ্যাকসিন বাজারে আনার ঘোষণায় সমালোচনার মুখে পড়ে ICMR ৷ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সমালোচনায় সরব হয় ৷

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ICMR-র ডিরেক্টর জেনেরাল বলরাম ভার্গব একটি বিবৃতিতে জানান, ‘‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হওয়ার পর 15 অগাস্টের মধ্যে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে ৷" বিশেষ এই দিনটিতে ভ্যাকসিন বাজারে আনার জন্য বেছে নেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধীদের একাংশের তরফে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ICMR-এর ডিরেক্টর জেনেরাল বলরাম ভার্গব দেশের 12টি হাসপাতালের চিকিৎসকদের চিঠি পাঠিয়েছেন ৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্রুত ট্রায়াল শুরু হোক ৷

এই নির্দেশ পাওয়ার পর স্তম্ভিত চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ মহল ৷ তাঁদের মতে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে কারো শরীরে COVID-19 এর ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করা প্রায় অবাস্তব ৷ কারণ যাঁর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে, তাঁর সুরক্ষা ও শারীরিক ক্ষমতা এত কম সময়ে বোঝা সম্ভব নয় ৷

এই পরিস্থিতিতে গতকাল ICMR-এর তরফে বলা হয়, কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন, তাঁদের দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে ৷ লাল ফিতের ফাঁসে যেন আটকে না থাকে ৷ অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে এক্ষেত্রে সরিয়ে রেখে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে ৷ COVID-19 এর টেস্ট কিট বা এই সংক্রান্ত ওষুধ দেশের বাজারে আনার ক্ষেত্রে যেভাবে কোনও বিষয় অন্তরায় হয়নি ৷ সেভাবে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রেও দ্রুত সমস্ত প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে ৷ এত কম সময়ে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করার একটাই লক্ষ্য, অনেক মানুষের উপর এর পরীক্ষায় যাতে দেরি না হয় ৷ ICMR আরও জানায়, কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকস্তরে যেসব নিয়ম রয়েছে, তা মানা হয়েছে ৷ মানুষ ও অন্য প্রাণীর উপর এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পাশাপাশি চলতে পারে।

কোভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে ICMR-এর বক্তব্য, প্রকাশ্যে যেসব সমালোচনা চলছে, তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে ৷ কারণ ফিডব্যাক হিসেবে এইসব প্রতিক্রিয়া জরুরি ৷ দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকা উচিত নয় ৷ দেশের মানুষের সুরক্ষা ও স্বার্থ ICMR-এর অগ্রাধিকার ৷ ডাটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডের গাইডলাইন মেনেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এবং রিভিউ হবে।

সারা বিশ্বের বহু মানুষ, যাঁদের উপর কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য প্রয়োগ করা হবে, তাঁরা বিভিন্ন ধাপে রয়েছেন ৷ ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরিতে ভারত প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

COVID-19 এর জন্য দেশে মোট সাতটি ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে ৷ এরমধ্যে ভারত বায়োটেকের একটি। এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার একটি ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে ৷ জাইডাসকে এসপ্তাহে ফেজ়-1 ও ফেজ়-2’য়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷ প্রথম দুই পর্যায়ে ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং তৃতীয় পর্যায়ে এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হয় ৷ প্রত্যেক ফেজ়ের জন্য মাসের পর মাস সময় লেগে যেতে পারে ৷ তবে বিশ্বের কোনও দেশে কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এত দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে মনে করছেন একাংশ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ৷ ভ্যাকসিনের গবেষণার জন্য কম সময় দিলে ঝুঁকি থেকে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা ৷ এই বিষয়ে কেন্দ্র ও ICMR-এর সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি ৷ এনিয়ে CPI(M)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি গতকাল বলেন, ‘‘ICMR দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর সুবিধা করতে চাইছে ৷ তাই 15 অগাস্টের দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে ৷’’ কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহানের গলাতেও একই সমালোচনার সুর শোনা গেছে।

দিল্লি, 5 জুলাই : কোভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনার মধ্যে মুখ খুলল ICMR ৷ গতকাল সংস্থার তরফে জানানো হয়, ‘‘দেশের মানুষের সুরক্ষা ও স্বার্থ সবসময় অগ্রাধিকার পাবে ৷’’ 15 অগাস্ট COVID-19 এর ভ্যাকসিন বাজারে আনার ঘোষণায় সমালোচনার মুখে পড়ে ICMR ৷ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সমালোচনায় সরব হয় ৷

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ICMR-র ডিরেক্টর জেনেরাল বলরাম ভার্গব একটি বিবৃতিতে জানান, ‘‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হওয়ার পর 15 অগাস্টের মধ্যে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে ৷" বিশেষ এই দিনটিতে ভ্যাকসিন বাজারে আনার জন্য বেছে নেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধীদের একাংশের তরফে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ICMR-এর ডিরেক্টর জেনেরাল বলরাম ভার্গব দেশের 12টি হাসপাতালের চিকিৎসকদের চিঠি পাঠিয়েছেন ৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্রুত ট্রায়াল শুরু হোক ৷

এই নির্দেশ পাওয়ার পর স্তম্ভিত চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ মহল ৷ তাঁদের মতে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে কারো শরীরে COVID-19 এর ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করা প্রায় অবাস্তব ৷ কারণ যাঁর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে, তাঁর সুরক্ষা ও শারীরিক ক্ষমতা এত কম সময়ে বোঝা সম্ভব নয় ৷

এই পরিস্থিতিতে গতকাল ICMR-এর তরফে বলা হয়, কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন, তাঁদের দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে ৷ লাল ফিতের ফাঁসে যেন আটকে না থাকে ৷ অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে এক্ষেত্রে সরিয়ে রেখে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে ৷ COVID-19 এর টেস্ট কিট বা এই সংক্রান্ত ওষুধ দেশের বাজারে আনার ক্ষেত্রে যেভাবে কোনও বিষয় অন্তরায় হয়নি ৷ সেভাবে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রেও দ্রুত সমস্ত প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে ৷ এত কম সময়ে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করার একটাই লক্ষ্য, অনেক মানুষের উপর এর পরীক্ষায় যাতে দেরি না হয় ৷ ICMR আরও জানায়, কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকস্তরে যেসব নিয়ম রয়েছে, তা মানা হয়েছে ৷ মানুষ ও অন্য প্রাণীর উপর এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পাশাপাশি চলতে পারে।

কোভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে ICMR-এর বক্তব্য, প্রকাশ্যে যেসব সমালোচনা চলছে, তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে ৷ কারণ ফিডব্যাক হিসেবে এইসব প্রতিক্রিয়া জরুরি ৷ দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকা উচিত নয় ৷ দেশের মানুষের সুরক্ষা ও স্বার্থ ICMR-এর অগ্রাধিকার ৷ ডাটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডের গাইডলাইন মেনেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এবং রিভিউ হবে।

সারা বিশ্বের বহু মানুষ, যাঁদের উপর কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য প্রয়োগ করা হবে, তাঁরা বিভিন্ন ধাপে রয়েছেন ৷ ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরিতে ভারত প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

COVID-19 এর জন্য দেশে মোট সাতটি ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে ৷ এরমধ্যে ভারত বায়োটেকের একটি। এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার একটি ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে ৷ জাইডাসকে এসপ্তাহে ফেজ়-1 ও ফেজ়-2’য়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷ প্রথম দুই পর্যায়ে ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং তৃতীয় পর্যায়ে এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হয় ৷ প্রত্যেক ফেজ়ের জন্য মাসের পর মাস সময় লেগে যেতে পারে ৷ তবে বিশ্বের কোনও দেশে কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এত দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে মনে করছেন একাংশ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ৷ ভ্যাকসিনের গবেষণার জন্য কম সময় দিলে ঝুঁকি থেকে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা ৷ এই বিষয়ে কেন্দ্র ও ICMR-এর সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি ৷ এনিয়ে CPI(M)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি গতকাল বলেন, ‘‘ICMR দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর সুবিধা করতে চাইছে ৷ তাই 15 অগাস্টের দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে ৷’’ কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহানের গলাতেও একই সমালোচনার সুর শোনা গেছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.