হায়দরাবাদ , 29 নভেম্বর : বুধবার নিখোঁজ হয়েছিলেন হায়দরাবাদবাসী সাতাশ বছরের এক যুবতি পশু চিকিৎসক ৷ শাদনগর থেকে 30 কিলোমিটার দূরত্বে একটি আন্ডার পাসের ভিতর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় তাঁকে ৷ এই ঘটনায় ট্রাক চালক-সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷
দু'জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ নারায়ণপেটা জেলার ধৃত দুই জনের নাম মহম্মদ পাশা এবং মেহবুব ৷ CCTV ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখার পর উঠে আসে আরও কিছু তথ্য ৷ খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল ওই মহিলাকে ৷ টোল প্লাজ়ার কাছে একটি ফাঁকা স্থানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় ৷
কোল্লুরু গ্রামের একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন নির্যাতিতা ৷ অন্যান্য দিনের মতই বুধবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন ৷ সন্ধ্যা 6টা নাগাদ আবার তিনি বাড়ি থেকে বের হন ৷ শামশাবাদের কাছে তাঁর স্কুটারের টায়ার পাঙচার হয় ৷ শামশাবাদের টোল প্লাজ়ার কাছে তিনি তাঁর স্কুটারটি রাখেন এবং সেখান থেকে একটি ক্যাব নিয়েছিলেন ৷
রাত সাড়ে 9টা নাগাদ তাঁর বোনকে ফোন করেছিলেন যুবতি । ফোনে জানান, তাঁকে কেউ লিফট দেবে ৷ তিনি একটি নির্জন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ ভয় পাচ্ছেন ৷ আশপাশে কয়েকজন অপরিচিত পুরুষ রয়েছে ৷ পাশে কয়েকটি ট্রাকও রয়েছে ৷ চিকিৎসকের বোন আরও বলেন, "আমি ওঁকে স্কুটার রেখে বাড়ি চলে আসতে বলেছিলাম ৷ কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই ওঁর ফোন বন্ধ পাই ৷" বুধবার রাত সাড়ে 10টা বেজে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় ৷
পুলিশ সূত্রে খবর , স্থানীয়রা তাঁর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন ৷ দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ ৷ গলার লকেট দেখে দেহ চিনতে পারেন পরিবারের সদস্যরা ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে ৷
ময়নাতদন্তের পর ডাক্তাররা জানিয়েছেন , ভোর 4টে নাগাদ খুন হন তিনি ৷ গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় ৷ খুনের পর প্রায় এক ঘণ্টা অবধি তাঁর পোড়ানো হয় ৷ মাথাতেও আঘাতের চিহ্ণ ছিল ৷
শামসাবাদের DCP প্রকাশ রেড্ডি বলেন , " আমাদের ধারণা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালানো হয়েছিল ৷ আমরা তদন্ত করছি ৷ " চিকিৎসকের বাবা অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ৷