দিল্লি, 18 জানুয়ারি : 1990 সাল ৷ দিনটা ছিল 19 জানুয়ারি ৷ সেদিন নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ৷ তারপর ঝিলম দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল ৷ দেখতে দেখতে কেটে গেছে 30টা বছর ৷ কিন্তু, এখনও কাশ্মীরে ফিরতে পারেনি পণ্ডিতরা ৷ তবে এমন একদিন আসবে যেদিন তারা নিজেদের জায়গায় ফিরতে পারবে ৷ সম্মান ফিরে পাবে ৷ সোশাল মিডিয়ায় এই আশা প্রকাশ করলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কয়েকজন ৷ "হাম আয়েঙ্গে আপনে ওয়াতন", এই নামে ক্যাপশনে সোশাল মিডিয়ায় তাঁরা প্রচার শুরু করেছেন ৷
প্রচারে এগিয়ে এসেছেন তারকা থেকে সাধারণ মানুষ ৷ থিয়েটার অভিনেতা চন্দন সাধু যেমন টুইটারে লিখেছেন, "এই সপ্তাহের শেষে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিজেদের ভূমি থেকে বিতারণের 30 বছর পূর্ণ হতে চলেছে ৷ আমাদের কান্না-যন্ত্রণা বিচার পেতে চলেছে ৷ আমরা নিজেদের জায়গা ফিরে পাব, এই বিষয়ে আশাবাদী ৷" টুইটারে এই কথা লিখে অন্যদেরও হ্যাশট্যাগ হাম ওয়াপস আয়েঙ্গে প্রচারে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ৷
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুনন্দা বশিষ্টও একইরকম বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন ৷ তাঁর আবেগঘন বার্তা, "ছোটোবেলার প্রচুর ছবি আমার কাছে নেই ৷ যখন আমাদের ওখান থেকে উদ্ধার করা হয়, তখন অ্যালবামগুলো ছেড়ে আসতে হয়েছিল ৷ দেখতে দেখতে 30টা বছর কেটে গেল ৷ বাড়ি ফিরে পাওয়ার ভাবনাটুকু আমার শক্তি জুগিয়েছে ৷"
গত বছরের জুলাই মাসে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিজেদের জায়গা ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর সরকার ৷ বলেছিলেন, "কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল ৷ সুফিদেরও টার্গেট করা হয়েছিল ৷ তারা শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলে ৷ কিন্তু, যখন তাদের বিতাড়িত করা হল, কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি ৷ নরেন্দ্র মোদির সরকার পণ্ডিত ও সুফিদের কাশ্মীরে ফেরানোর বিষয়ে প্রতিজ্ঞবদ্ধ ৷''
কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছিল পণ্ডিতরা ৷ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানায় পণ্ডিতদের একাংশ ৷ সেদিন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিতদের বলেন, "আপনারা অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন ৷ কিন্তু, দুনিয়া বদলাচ্ছে ৷ আমাদের এক হয়ে নতুন কাশ্মীর বানাতে হবে ৷"
প্রসঙ্গত, কাশ্মীর উপত্যকার অধিবাসীদের কাশ্মীরি পণ্ডিত বলা হয় । কাশ্মীরে পণ্ডিতদের বসবাসের ইতিহাস কয়েক শতাব্দীর ৷ কিন্তু, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের কারণে উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য হয় পণ্ডিতরা ৷