হাথরস, 1 অক্টোবর : ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও মেলেনি ধর্ষণের প্রমাণ । জানালেন ADG প্রশান্ত কুমার । হাথরসের ঘটনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে এটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে কীভাবে পুরোপুরি ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে উত্তেজনা তৈরির ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল । জাতিতে জাতিতে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল । যারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এর আগে সকালে আলিগড় হাসপাতালের মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন হাথরসের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর । তবে ফরেন্সিক রিপোর্ট তখনও এসে পৌঁছায়নি । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসে পৌঁছালেই ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা ।
পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর জানিয়েছিলেন, "আলিগড় হাসপাতালের মেডিকেল রিপোর্টে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । তবে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষা করছেন চিকিৎসকরা । ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না চিকিৎসকরা । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে, তবেই এ-বিষয়ে মন্তব্য করবেন তাঁরা ।"
এদিকে গতকালই হাথরসে এসে পৌঁছেছেন বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা । তাঁরা গ্রামে গিয়ে, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন । তদন্তকারী দলের সদস্যরা এখনও গ্রামেই আছেন ও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ।
আরও পড়ুন : হাথরসের পথে আটক রাহুল, বিক্ষোভ-প্রতিবাদে তপ্ত উত্তরপ্রদেশ
টানা 15 দিন লড়াইয়ের পর 29 সেপ্টেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার । তাঁর জিভে গভীর ক্ষত ছিল । শিরদাঁড়া ভেঙে যাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি । পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান চিকিৎসকরা । গণধর্ষণ ও অত্যাচারের পরও পুলিশ সহজেই অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের । এদিকে রাতারাতি নির্যাতিতার মৃতদেহ পুলিশ জোর করে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ । তাঁর পরিবারের সদস্যদের সেই সময় বাড়িতে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ ।