ETV Bharat / bharat

চিন থেকে আমদানি রুখতে দেশীয় পণ্যের বিবরণ চাইল সরকার

ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চিন থেকে আমদানি কমাতে ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশীয় পণ্যের দামের তুলনামূলক বিবরণ চাইল সরকার। প্রতিবেশী দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত।

author img

By

Published : Jun 22, 2020, 8:27 AM IST

India china relationship
India china relationship

দিল্লি, 22 জুন : শিল্প ক্ষেত্রে বিশেষ করে চিন থেকে নিম্নমানের আমদানি বন্ধ এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশীয় পণ্যের দামের তুলনা এবং করের অসুবিধাগুলি সম্পর্কে জানতে প্রতিটি পণ্যের বিশদ বিবরণ চাইল ভারত সরকার। সূত্র অনুযায়ী, চিনের উপর আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভারতকে আত্মনির্ভর করতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।

বিভিন্ন শিল্পসংস্থাগুলিকে চিন থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও পণ্য সম্পর্কে মতামত ও পরামর্শ জানাতে বলা হয়েছে। এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হাত ঘড়ি, দেওয়াল ঘড়ি, অ্যাম্পুল, কাচের রড ও টিউব, চুলের ক্রিম, শ্যাম্পু, ফেস পাউডার, চোখ ও ঠোঁটের প্রসাধন সামগ্রী, কাগজ ছাপানোর কালি, রং, বার্নিশ এবং কিছু তামাকজাত পণ্য।

অন্যান্য বিবরণগুলির মধ্যে রয়েছে 2014-15 থেকে 2018-19 সালের মধ্যে আমদানি বাড়ানোর তথ্য, এখানে তৈরি অনুরূপ পণ্যগুলির দেশীয় দাম, দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা, নিখরচায় বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আমদানি এবং যদি তাতে কোনও ইনভার্টেড শুল্ক ইশু থাকে, তবে তার উল্লেখ ।

একটি শিল্প সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা সমস্ত পণ্য সম্পর্কে বিবরণ তৈরি করছে এবং শীঘ্রই তা বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকে পাঠানো হবে।

দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় চিন থেকে আমদানি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ভারতে মোট আমদানিকৃত পণ্যের 14 শতাংশ চিন থেকে আসে। মোবাইল ফোন, টেলিকম, প্লাস্টিকের খেলনা এবং গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের উপাদান চিন থেকে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে টায়ার আমদানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি দেশের সংস্থাগুলির " সুবিধাবাদী হস্তান্তর" রুখতে প্রতিবেশী দেশ, যাদের সঙ্গে ভারত সীমান্ত ভাগ করে, তাদের বিদেশি বিনিয়োগের জন্য পূর্ব অনুমোদন স্থির করেছে সরকার। কোরোনা পরিস্থিতিতে চিনের বিদেশি বিনিয়োগ নীতিকে রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

2019 সালের এপ্রিল থেকে 2020 সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি ভারত 62.4 বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে 15.5 বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে।

চিন থেকে আমদানিকৃত মূল পণ্যগুলি হল ঘড়ি, সংগীতের যন্ত্রপাতি, খেলনা, খেলাধুলোর জিনিস, আসবাবপত্র, গদি, প্লাস্টিক, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কেমিকেল, লোহা ও স্টিলের উপাদান, সার, মিনারেল ও ধাতু। 2019 সালের এপ্রিল থেকে 2020 সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি 47 বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি হয়েছে চিন থেকে। এই বিষয়ে ভারত বারংবার চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

দিল্লি, 22 জুন : শিল্প ক্ষেত্রে বিশেষ করে চিন থেকে নিম্নমানের আমদানি বন্ধ এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশীয় পণ্যের দামের তুলনা এবং করের অসুবিধাগুলি সম্পর্কে জানতে প্রতিটি পণ্যের বিশদ বিবরণ চাইল ভারত সরকার। সূত্র অনুযায়ী, চিনের উপর আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভারতকে আত্মনির্ভর করতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।

বিভিন্ন শিল্পসংস্থাগুলিকে চিন থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও পণ্য সম্পর্কে মতামত ও পরামর্শ জানাতে বলা হয়েছে। এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হাত ঘড়ি, দেওয়াল ঘড়ি, অ্যাম্পুল, কাচের রড ও টিউব, চুলের ক্রিম, শ্যাম্পু, ফেস পাউডার, চোখ ও ঠোঁটের প্রসাধন সামগ্রী, কাগজ ছাপানোর কালি, রং, বার্নিশ এবং কিছু তামাকজাত পণ্য।

অন্যান্য বিবরণগুলির মধ্যে রয়েছে 2014-15 থেকে 2018-19 সালের মধ্যে আমদানি বাড়ানোর তথ্য, এখানে তৈরি অনুরূপ পণ্যগুলির দেশীয় দাম, দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা, নিখরচায় বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আমদানি এবং যদি তাতে কোনও ইনভার্টেড শুল্ক ইশু থাকে, তবে তার উল্লেখ ।

একটি শিল্প সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা সমস্ত পণ্য সম্পর্কে বিবরণ তৈরি করছে এবং শীঘ্রই তা বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকে পাঠানো হবে।

দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় চিন থেকে আমদানি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ভারতে মোট আমদানিকৃত পণ্যের 14 শতাংশ চিন থেকে আসে। মোবাইল ফোন, টেলিকম, প্লাস্টিকের খেলনা এবং গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের উপাদান চিন থেকে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে টায়ার আমদানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি দেশের সংস্থাগুলির " সুবিধাবাদী হস্তান্তর" রুখতে প্রতিবেশী দেশ, যাদের সঙ্গে ভারত সীমান্ত ভাগ করে, তাদের বিদেশি বিনিয়োগের জন্য পূর্ব অনুমোদন স্থির করেছে সরকার। কোরোনা পরিস্থিতিতে চিনের বিদেশি বিনিয়োগ নীতিকে রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

2019 সালের এপ্রিল থেকে 2020 সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি ভারত 62.4 বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে 15.5 বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে।

চিন থেকে আমদানিকৃত মূল পণ্যগুলি হল ঘড়ি, সংগীতের যন্ত্রপাতি, খেলনা, খেলাধুলোর জিনিস, আসবাবপত্র, গদি, প্লাস্টিক, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কেমিকেল, লোহা ও স্টিলের উপাদান, সার, মিনারেল ও ধাতু। 2019 সালের এপ্রিল থেকে 2020 সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি 47 বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি হয়েছে চিন থেকে। এই বিষয়ে ভারত বারংবার চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.