অমৃতসর, 3 ডিসেম্বর : ঠিক যেন সিনেমার মতো ৷ অনেকটা সেই 'বীর-জ়ারা'-র গল্পের বাস্তব সমাপতন ৷ পঞ্জাবের মনজিৎ কউর ৷ বয়স বছর কুড়ির আশপাশে ৷ কারতারপুরে গুরুদোয়ারা দরবার সাহিব ঘুরতে গেছিলেন তিনি ৷ সেখান থেকে কোনও রকম ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ৷ যেতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদ ৷ ইচ্ছে প্রেমিকের শহরটা একবার ঘুরে দেখার ৷
সোশাল মিডিয়ায় মনজিতের সঙ্গে পাকিস্তানি ওই যুবকের প্রথম আলাপ হয় ৷ জানা গেছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মনজিৎ কারতারপুর করিডর হয়ে গুরুদোয়ারা দরবার সাহিবে ঘুরতে গেছিলেন ৷ সেখানেই দেখা করেন তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ৷ এরপরই সেই যুবকের সঙ্গে পাকিস্তানি এক মহিলার পারমিটের সাহায্য নিয়ে ফয়সলাবাদ যাওয়ার চেষ্টা করেন ৷
ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের কারতারপুরের গুরুদোয়ারা পর্যন্ত বিনা ভিসাতে যেতে পারে ৷ কিন্তু আর কোথাও যাওয়ার অনুমতি নেই ৷ উদ্বাস্তু বিষয়ক দপ্তরের (ইভাকিউ ট্রাস্ট প্রোপার্টি বোর্ড) এক আধিকারিক সূত্রে বলা হয়েছে, "9 নভেম্বর কারতারপুর করিডর খোলার পর থেকে এই প্রথমবার কেউ সীমাবদ্ধ এলাকা পার করার চেষ্টা করে ৷"
তিনি জানিয়েছেন, মনজিৎ তার পাকিস্তানি বন্ধুর সঙ্গে পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু নিরাপত্তা আধিকারিকরা তাঁকে আটকে দেন ৷ মনজিৎ আসলে কোথাকার বাসিন্দা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা ৷ পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হচ্ছে, তিনি অমৃতসরের বাসিন্দা ৷ অনেকে বলছেন, মনজিতের বাড়ি হরিয়ানার রোহতকে ৷ নিরাপত্তারক্ষীরা মনজিৎকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয় ৷ একইসঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকেও বিষয়টি জানানো হয় ৷
পাকিস্তানের নিরাপত্তারক্ষা বাহিনী ওই যুবক ও এক মহিলা সহ তাঁর দুই বন্ধুকে আটক করে ৷ ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় ৷