দিল্লি , 5 ডিসেম্বর : 2009-এ সংখ্যাটা ছিল 6 । 2016-তে গ্রেটার হায়দরাবাদ পৌরনিগমের নির্বাচনে আরও মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি । মাত্র চারটি আসনে জয়লাভ করেছিল তারা । কিন্তু , 2020-র নির্বাচেন অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াল গেরুয়া শিবির । মোট 150 টি আসনের মধ্যে এবার বিজেপি পেয়েছে 48 টি । নির্বাচনে টিআরসকে হারাতে না পারলেও দক্ষিণ ভারতে বিজেপির এই উথ্থানে উচ্ছ্বসিত দল ।
বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র গোপালকৃষ্ণ বলেন , " জিএইচএমসি-র নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র ফলাফল খুবই ভালো হয়েছে, উৎসাহজনক । দীর্ঘদিন ধরে আমরা দক্ষিণ ভারতে আমাদের সরকার গঠনের চেষ্টা করছি এবং এই ফল কিছুটা সেইদিকেই এগিয়ে দিল । কর্নাটকের পর , তেলাঙ্গানা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং হায়দরাবাদের নির্বাচন ইঙ্গিত দেয় যে , দক্ষিণ ভারতে ভারতীয় জনতা পার্টির আধিপত্য আরও বাড়তে চলেছে ।"
তিনি আরও বলেন , " অমিত শাহ বলেছিলেন , বাংলার পর আমরা কেরালাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসাবে বিবেচনা করি । পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নকশাল চিন্তাভাবনা শেষ হয়ে আসছে । ধীরে ধীরে, কেরালায় কমিউনিস্টরা যেভাবে আমাদের শ্রমিকদের অত্যাচার করছে এবং মানুষ হত্যা , আমরা তাদেরও নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছি । " তিনি আরও দাবি করেন , পরের বছর তামিলনাড়ুতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং এই নির্বাচনে বিজেপি অবশ্যই তার আধিপত্য বাড়িয়ে তুলবে ।
আরও পড়ুন , 4 থেকে 48, গ্রেটার হায়দরাবাদ পৌরনিগমের নির্বাচনে উত্থান বিজেপির
হায়দরাবাদের নির্বাচনের ফলাফলের পর সেখানে জোটের রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন তিনি । এই বিষয়ে তিনি বলেন , " এখনও পর্যন্ত হায়দরাবাদ নির্বাচনের যে পরিস্থিতি সামনে এসেছে , আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমতা দখল করার জন্য কোনও তাড়াহুড়ো করছি না । সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে জোটের রাজনীতি করার কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমরা মনে করি না । কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব-ই এই সিদ্ধান্ত নেবে । তবে, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পরিস্থিতি আছে বলে মনে হচ্ছে না । "
গতকাল গ্রেটার হায়দরাবাদের পৌরনিগমের নির্বাচনে প্রথম থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি । গণনা কিছুটা এগোতে এগিয়ে যায় টিআরএস । কিন্তু বেলা যত বাড়ে টিআরএসকে জোর টক্কর দেয় গেরুয়া শিবির । শেষ পর্যন্ত টিআরএস 55টিতে জয়ী হয়েছে । বিজেপি 48টিতে । মিম 44টি আসনে জয়ী হয়েছে । কংগ্রেস দু'টি আসনে জয়ী হয়েছে । মোট 150টি আসনের বাকি একটিতে( নেরেদমেট ওয়ার্ড) হাইকোর্টের নির্দেশে গণনা বন্ধ রয়েছে।