ETV Bharat / bharat

ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বজয় করতে শিখিয়েছিলেন গান্ধি

রাজনীতির আঙিনায় সত্যাগ্রহ মহত্মা গান্ধির এক অনন্য অবদান । কোনও রক্তপাত ছাড়া আন্দোলন এর আগে খুব কমই দেখেছে বিশ্ব ।

ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বজয় করতে শিখিয়েছিলেন গান্ধি
author img

By

Published : Sep 7, 2019, 8:01 PM IST

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি এক অবিস্মরনীয় নাম । তাঁর জীবনাদর্শ, নীতি ও কর্মপদ্ধতি ভারতীয় জাতীয়তাবাদে এক আমূল পরিবর্তন ঘটায় । অহিংস সত্যাগ্রহ, অহিংস অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করেন । তাঁর এই অভিনব রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য জাতীয় রাজনীতি নতুন দিকে মোড় নেয় । চরমপন্থী রাজনীতি, নরমপন্থী আদর্শ কিংবা বৈপ্লবিক তথা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকারীরা সকলেই তাঁর মতাদর্শে প্রভাবিত হয় ।

রাজনীতির আঙিনায় সত্যাগ্রহ মহত্মা গান্ধির এক অনন্য অবদান । কোনও রক্তপাত ছাড়া আন্দোলন এর আগে খুব কমই দেখেছে বিশ্ব । মূলত অহিংসার পথ অনুসরণ করেই ভারত ইংরেজদের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে । এই সত্যাগ্রহের মাধ্যমেই কয়েক কোটি ভারতবাসী ইংরেজদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল । তবে তাতে কোনও হিংসা ছিল না । সত্যাগ্রহ ভারতবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বীজ বপন করেছিল । সাহস যুগিয়েছিল "ভারত ছাড়ো" স্লোগান তোলার ।

সত্যাগ্রহ ছিল এক ধরণের অহিংস প্রতিরোধ যাতে সত্যাগ্রহীকে অন্যায়কারীর আঘাত ও নির্যাতন হাসিমুখে বরণ করতে হয়, এমনকি সকল প্ররোচনাতেও তাঁকে নিজ আদর্শ ও নিষ্ঠার প্রতি অবিচল থাকতে হবে । গান্ধিজির একটি মাত্র লক্ষ্য ছিল এই সত্যাগ্রহ নীতি প্রয়োগের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রকৃত জাতীয় আন্দোলনে পরিণত করা । এদেশের দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিক ও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর সত্যাগ্রহের নীতি প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।

সমগ্র ভারতবর্ষে যখন ব্রিটিশ শাসন পাথরের মতো চেপে বসেছিল । অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ যখন সরকারের নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল । তখন গান্ধির সত্যাগ্রহ ও অহিংসা নীতি মানুষের মধ্যে এক নতুন আশার আলো সঞ্চার করেছিল । 1930 সালে গান্ধি ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে 400 কিলোমিটার দীর্ঘ ডান্ডি লবণ মার্চে নেতৃত্ব দেন । পরবর্তীতে যা ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সরাসরি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায় ।

তবে এই ঘটনার অনেক বছর আগে বিহারের চম্পারণে সত্যাগ্রহর প্রবর্তন ঘটিয়েছিলেন গান্ধি । 1917 সালে পীড়িত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে অহিংসাকে হাতিয়ার করেছিলেন গান্ধি । তিনি জানতেন এই পথে হেঁটেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি সফল হয়েছিলেন । তিনি সত্যাগ্রহে বিশ্বাস করতেন । আর ধীরে ধীরে সেই বিশ্বাস সমস্ত ভারতবাসীর মধ্যে সঞ্চারিত হয় । গান্ধির সেই অহিংসা ও ভালোবাসার শিক্ষার মাধ্যমেই আজও বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জয়লাভ করতে সক্ষম হন ভারতীয়রা ।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি এক অবিস্মরনীয় নাম । তাঁর জীবনাদর্শ, নীতি ও কর্মপদ্ধতি ভারতীয় জাতীয়তাবাদে এক আমূল পরিবর্তন ঘটায় । অহিংস সত্যাগ্রহ, অহিংস অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করেন । তাঁর এই অভিনব রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য জাতীয় রাজনীতি নতুন দিকে মোড় নেয় । চরমপন্থী রাজনীতি, নরমপন্থী আদর্শ কিংবা বৈপ্লবিক তথা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকারীরা সকলেই তাঁর মতাদর্শে প্রভাবিত হয় ।

রাজনীতির আঙিনায় সত্যাগ্রহ মহত্মা গান্ধির এক অনন্য অবদান । কোনও রক্তপাত ছাড়া আন্দোলন এর আগে খুব কমই দেখেছে বিশ্ব । মূলত অহিংসার পথ অনুসরণ করেই ভারত ইংরেজদের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে । এই সত্যাগ্রহের মাধ্যমেই কয়েক কোটি ভারতবাসী ইংরেজদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল । তবে তাতে কোনও হিংসা ছিল না । সত্যাগ্রহ ভারতবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বীজ বপন করেছিল । সাহস যুগিয়েছিল "ভারত ছাড়ো" স্লোগান তোলার ।

সত্যাগ্রহ ছিল এক ধরণের অহিংস প্রতিরোধ যাতে সত্যাগ্রহীকে অন্যায়কারীর আঘাত ও নির্যাতন হাসিমুখে বরণ করতে হয়, এমনকি সকল প্ররোচনাতেও তাঁকে নিজ আদর্শ ও নিষ্ঠার প্রতি অবিচল থাকতে হবে । গান্ধিজির একটি মাত্র লক্ষ্য ছিল এই সত্যাগ্রহ নীতি প্রয়োগের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রকৃত জাতীয় আন্দোলনে পরিণত করা । এদেশের দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিক ও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর সত্যাগ্রহের নীতি প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।

সমগ্র ভারতবর্ষে যখন ব্রিটিশ শাসন পাথরের মতো চেপে বসেছিল । অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ যখন সরকারের নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল । তখন গান্ধির সত্যাগ্রহ ও অহিংসা নীতি মানুষের মধ্যে এক নতুন আশার আলো সঞ্চার করেছিল । 1930 সালে গান্ধি ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে 400 কিলোমিটার দীর্ঘ ডান্ডি লবণ মার্চে নেতৃত্ব দেন । পরবর্তীতে যা ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সরাসরি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায় ।

তবে এই ঘটনার অনেক বছর আগে বিহারের চম্পারণে সত্যাগ্রহর প্রবর্তন ঘটিয়েছিলেন গান্ধি । 1917 সালে পীড়িত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে অহিংসাকে হাতিয়ার করেছিলেন গান্ধি । তিনি জানতেন এই পথে হেঁটেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি সফল হয়েছিলেন । তিনি সত্যাগ্রহে বিশ্বাস করতেন । আর ধীরে ধীরে সেই বিশ্বাস সমস্ত ভারতবাসীর মধ্যে সঞ্চারিত হয় । গান্ধির সেই অহিংসা ও ভালোবাসার শিক্ষার মাধ্যমেই আজও বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জয়লাভ করতে সক্ষম হন ভারতীয়রা ।

Aurangabad (Maharashtra), Sep 07 (ANI): Prime Minister Narendra Modi inaugurated AURIC Business and Administrative Building dedicated the smart industrial city to the nation. Delhi Mumbai Industrial Corridor (DMIC) Project is the first Industrial Corridor project announced by the central government. The project is branded as Aurangabad Industrial City or 'AURIC City'.


For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.