ETV Bharat / bharat

ভারতে অনিশ্চিত খাদ্য নিরাপত্তা - ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা

CAG রিপোর্টে নারী ও শিশুকল্যণমন্ত্রকের সমালোচনা করা হয়েছে । কারণ তারা ICDS থেকে তহবিল এমন কিছু কার্যকলাপে স্থানান্তরিত করেছে যা কর্মসূচির আওতায় অনুমোদিত ছিল না ।

India
India
author img

By

Published : Oct 7, 2020, 2:00 PM IST

Updated : Oct 7, 2020, 3:47 PM IST

ভারত বিশ্বের সেই স্বল্প সংখ্যক দেশগুলির অন্যতম যারা 1975 সালের মতো এত তাড়াতাড়ি ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস (ICDS) তথা সুসংহত শিশু বিকাশ পরিষেবা চালু করেছে । ছ’বছরের নিচে থাকা শিশু এবং তাদের মায়েদের পুষ্টিকর খাবারদাবার, প্রি—স্কুল শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং টীকাকরণ পরিষেবার প্রদান করা নিশ্চিত করাই ছিল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য । গোড়ার দিকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল 5,000 টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে । কিন্তু 7,000 টি ব্লকে 14,00,000টি কেন্দ্রের পরও এই প্রকল্পের মৌলিক লক্ষ্য এখন অপূরণীয় রয়ে গিয়েছে। দা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনেরাল(CAG)-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছে কেন শিশুকল্যাণে, আফ্রিকার দেশ ঘানা এবং টোবাগোর মতো দেশের তুলনায় ভারতের হাল এত খারাপ ।

CAG রিপোর্টে নারী ও শিশুকল্যণমন্ত্রকের সমালোচনা করা হয়েছে , কারণ তারা ICDS থেকে তহবিল এমন কিছু কার্যকলাপে স্থানান্তরিত করেছে যা কর্মসূচির আওতায় অনুমোদিত ছিল না । গত কয়েক বছরে, ICDS—এ বাজেট বরাদ্দ নগণ্য হয়ে গিয়েছে । 2016 সালে প্রায় 50 শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছিল । দেশে উদ্বেগজনক পুষ্টির হাল সত্ত্বেও এই প্রকল্পে 2050 সালে অন্তত 19 শতাংশ কাটছাঁট করা হয় 2020 সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে । কিছু কিছু রাজ্য নিজেদের আর্থিক বয়াননামা পেশ করলেও তাতে প্রকৃত ব্যয় এবং তহবিল ব্যবহারের মধে্য বৈষম্য লক্ষিত হয়েছে । 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)—এর রিপোর্টে, পাঁচ বছরের নিচে শিশু—মৃত্যুর হার অন্তত 68 শতাংশের জন্যই অপুষ্টিকে দায়ী করা হয়েছে । পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে অন্তত 35 শতাংশের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে এবং 17 শতাংশের ক্ষেত্রে সঠিক পুষ্টি পেয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ নষ্ট হয়েছে । এই পরিসংখ্যানই প্রতিবিম্ব যে কীভাবে অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এবং অসতর্ক নজরদারি, এই প্রকল্পের বারোটা বাজিয়েছে ।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ছ’বছরের নিচে থাকা 8.5 কোটি শিশু এবং 1.90 কোটি স্তন্যদাত্রী মায়েদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । 2001 সালে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে আদেশ দিয়েছিল যে, দেশজুড়ে টিকাকরণ এবং পুষ্টিগত কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য 17 লাখ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে । কিন্তু রাজ্য সরকারগুলির তরফে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া সত্ত্বেও এখনও হাজার হাজার কেন্দ্র নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে রয়েছে । এমনকী, প্যানডেমিকের ফলে বহু গ্রামীণ শিশুসেবা কেন্দ্র আর চলছে না, পঙ্গুত্বের কবলে পড়েছে ।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলা শুনানিতে রাজি হয়েছে, যেখানে ক্ষুধাজনিত প্যানডেমিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পুনরায় খোলার ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে । কোভিড 19 আগে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে আদিবাসী নারীদের কল্যাণের জন্য আধিকারিকদের উদ্যোগী হওয়ার উদাহরণ থাকলেও, সেগুলি স্বাভাবিকের বদলে ব্যতিক্রমী হয়েই থেকে গিয়েছে । 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে দেশজুড়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে, বিশেষ করে পুদুচেরি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশে কর্মীসংখ্যায় বিশাল শূন্যপদ রয়েছে । তহবিলের অভাব কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র না কন্ট্র‌্যাক্টরদের বিল মেটাচ্ছে আর না কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছে । কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে বুঝতে হবে, কেন ভারত খাদ্য নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছে, ঠিক যেভাবে MS স্বামীনাথন বলেছেন । ICDS—কে সংস্কার করা প্রয়োজন যাতে ভারতের তরুণতম নাগরিকেরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ।

ভারত বিশ্বের সেই স্বল্প সংখ্যক দেশগুলির অন্যতম যারা 1975 সালের মতো এত তাড়াতাড়ি ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস (ICDS) তথা সুসংহত শিশু বিকাশ পরিষেবা চালু করেছে । ছ’বছরের নিচে থাকা শিশু এবং তাদের মায়েদের পুষ্টিকর খাবারদাবার, প্রি—স্কুল শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং টীকাকরণ পরিষেবার প্রদান করা নিশ্চিত করাই ছিল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য । গোড়ার দিকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল 5,000 টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে । কিন্তু 7,000 টি ব্লকে 14,00,000টি কেন্দ্রের পরও এই প্রকল্পের মৌলিক লক্ষ্য এখন অপূরণীয় রয়ে গিয়েছে। দা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনেরাল(CAG)-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছে কেন শিশুকল্যাণে, আফ্রিকার দেশ ঘানা এবং টোবাগোর মতো দেশের তুলনায় ভারতের হাল এত খারাপ ।

CAG রিপোর্টে নারী ও শিশুকল্যণমন্ত্রকের সমালোচনা করা হয়েছে , কারণ তারা ICDS থেকে তহবিল এমন কিছু কার্যকলাপে স্থানান্তরিত করেছে যা কর্মসূচির আওতায় অনুমোদিত ছিল না । গত কয়েক বছরে, ICDS—এ বাজেট বরাদ্দ নগণ্য হয়ে গিয়েছে । 2016 সালে প্রায় 50 শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছিল । দেশে উদ্বেগজনক পুষ্টির হাল সত্ত্বেও এই প্রকল্পে 2050 সালে অন্তত 19 শতাংশ কাটছাঁট করা হয় 2020 সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে । কিছু কিছু রাজ্য নিজেদের আর্থিক বয়াননামা পেশ করলেও তাতে প্রকৃত ব্যয় এবং তহবিল ব্যবহারের মধে্য বৈষম্য লক্ষিত হয়েছে । 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)—এর রিপোর্টে, পাঁচ বছরের নিচে শিশু—মৃত্যুর হার অন্তত 68 শতাংশের জন্যই অপুষ্টিকে দায়ী করা হয়েছে । পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে অন্তত 35 শতাংশের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে এবং 17 শতাংশের ক্ষেত্রে সঠিক পুষ্টি পেয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ নষ্ট হয়েছে । এই পরিসংখ্যানই প্রতিবিম্ব যে কীভাবে অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এবং অসতর্ক নজরদারি, এই প্রকল্পের বারোটা বাজিয়েছে ।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ছ’বছরের নিচে থাকা 8.5 কোটি শিশু এবং 1.90 কোটি স্তন্যদাত্রী মায়েদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । 2001 সালে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে আদেশ দিয়েছিল যে, দেশজুড়ে টিকাকরণ এবং পুষ্টিগত কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য 17 লাখ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে । কিন্তু রাজ্য সরকারগুলির তরফে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া সত্ত্বেও এখনও হাজার হাজার কেন্দ্র নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে রয়েছে । এমনকী, প্যানডেমিকের ফলে বহু গ্রামীণ শিশুসেবা কেন্দ্র আর চলছে না, পঙ্গুত্বের কবলে পড়েছে ।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলা শুনানিতে রাজি হয়েছে, যেখানে ক্ষুধাজনিত প্যানডেমিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পুনরায় খোলার ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে । কোভিড 19 আগে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে আদিবাসী নারীদের কল্যাণের জন্য আধিকারিকদের উদ্যোগী হওয়ার উদাহরণ থাকলেও, সেগুলি স্বাভাবিকের বদলে ব্যতিক্রমী হয়েই থেকে গিয়েছে । 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে দেশজুড়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে, বিশেষ করে পুদুচেরি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশে কর্মীসংখ্যায় বিশাল শূন্যপদ রয়েছে । তহবিলের অভাব কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র না কন্ট্র‌্যাক্টরদের বিল মেটাচ্ছে আর না কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছে । কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে বুঝতে হবে, কেন ভারত খাদ্য নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছে, ঠিক যেভাবে MS স্বামীনাথন বলেছেন । ICDS—কে সংস্কার করা প্রয়োজন যাতে ভারতের তরুণতম নাগরিকেরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ।

Last Updated : Oct 7, 2020, 3:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.