দিল্লি, 21 সেপ্টেম্বর : অনেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই এখনও পর্যন্ত কৃষক আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য NCRB-কে দেয়নি । ফলে কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার কারণ সংক্রান্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ রয়েছে এবং তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না । আজ রাজ্যসভায় এই কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ।
মন্ত্রী জানান, “জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড বিওরোর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, একাধিকবার বলার পরেও অনেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অন্যান্য ক্ষেত্রে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান দিলেও এখনও পর্যন্ত কৃষক ও খেতমজুর আত্মহত্যার তথ্য দেয়নি । ফলে এই তথ্যগুলি ফাঁকা থেকে যাচ্ছে ।”
রাজ্যসভায় পেশ করা এই সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেড্ডি জানান, “এই সীমাবদ্ধতার কারণে, কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার কারণ সংক্রান্ত সামগ্রিক রিপোর্ট প্রকাশ করার মতো অবস্থা ছিল না এবং যেগুলি ছিল সেগুলি আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়নি ।”
আরও পড়ুন : 2019-এ বাংলায় কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা শূন্য, NCRB-কে তথ্য রাজ্যের
NCRB প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, 2019 সালে 10 হাজার 281 জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন দেশে । পরিসংখ্যানের নিরিখে এই সংখ্যাটি 2018 সালের তুলনায় কিছুটা কমেছে । 2018 সালে সংখ্যাটি ছিল 10 হাজার 357 । সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, গোটা দেশে যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে 7.4 শতাংশই কৃষিক্ষেত্রে । এর মধ্যে রয়েছেন 5957 জন কৃষক ও 4324 জন খেতমজুর ।
প্রসঙ্গত, NCRB-র কাছে পাঠানো রাজ্যগুলির তথ্য অনুযায়ী, বাংলা, বিহার, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, চণ্ডীগড়, দমন ও দিউ, দিল্লি, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরিতেও কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের আত্মহত্যার সংখ্যা শূন্য । দেশের যেসব রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা সবথেকে বেশি তাদের মধ্যে মহারাষ্ট্র (38.2 শতাংশ) সবার আগে রয়েছে । এরপরে রয়েছে কর্নাটক (19.4 শতাংশ), অন্ধ্রপ্রদেশ (10শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (5.3শতাংশ), ছত্তিশগড় (4.9শতাংশ) ও তেলাঙ্গানা (4.9 শতাংশ) ।