ETV Bharat / bharat

রাম জন্মভূমি আন্দোলনের পুরোধা যাঁরা

মূলত লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলি মনোহর জোশির নেতৃত্বেই গতি পেয়েছিল রাম মন্দির তৈরির আন্দোলন । অনুগামীদের উদ্বুদ্ধ করতে দেশজুড়ে রথযাত্রার ধারণা এনেছিলেন তাঁরা ।

Ram JanamBhoomi Movement
ছবি
author img

By

Published : Aug 4, 2020, 7:36 AM IST

অযোধ্যা, 4 অগাস্ট : 5 অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । 70 বছর ধরে চলা অযোধ্যার জমি জটের নিষ্পত্তি হয় গত বছরের 9 নভেম্বর । সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায়ের পর সুগম হয় রাম মন্দির তৈরির রাস্তা । এই রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ।

রাম মন্দির তৈরির এই ইতিহাস অনেক পুরানো । 1950 সাল । 'আস্থান জন্মভূমি'-তে যে মূর্তিগুলি রয়েছে সেগুলি পুজো করার অধিকারের জন্য আদালতে আবেদন করেন গোপাল সিং বিশারদ । গোপাল সিং বিশারদ 1986 সালে মারা যান । এরপর আইনি যুদ্ধ চালিয়ে যান তাঁর ছেলে রাজেন্দ্র সিং ।

রাম জন্মভূমি আন্দোলনের বিভিন্ন সময়

মাঝে 1959 সালে এই আইনি লড়াইয়ে ঢুকে পড়ে নির্মোহী আখড়া । ওই জমির অধিকারের দাবিতে আবেদন করে নির্মোহী আখড়া । ভগবান রামের জন্মভূমি বলে বিশ্বাস ওই জমির রক্ষক বলে নিজেদের দাবি রাখে তারা । নির্মোহী আখড়ার সরপঞ্চ মহন্ত ভাস্কর দাস ছিলেন এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি । তিনি বেশ কয়েক বছর মামলায় নির্মোহী আখড়ার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ।

এরইমধ্যে আসরে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । অযোধ্যার ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরির দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করে তারা । 1984 সালে এই আন্দোলনে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অশোক সিংঘল । রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ মনে করা হয় তাঁকে ।

আন্দোলনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মহন্ত অবৈদ্যনাথ । তিনি শ্রী রাম জন্মভূমি মুক্তি যজ্ঞ সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।

বজরং দলের প্রতিষ্ঠাতা তথা BJP নেতা বিনয় কাটিয়ালও সমর্থন করেছিলেন রাম জন্মভূমি আন্দোলনে । এই কাজ সম্পন্ন করতে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।

এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে নতুন করে আবেদন জমা করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সহ-সভাপতি দেওকি নন্দন আগরওয়াল । ওই জমি ভগবান রামের নামে করে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় ।

1989 সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করে । তৎকালীন BJP সভাপতি লালকৃষ্ণ আদবানি গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু করেন । ওই রথযাত্রা অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য অনুগামীদের আবেগকে অনেকটাই বাড়িয়েছিল ।

মূলত লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলি মনোহর জোশিরর নেতৃত্বেই গতি পেয়েছিল রাম মন্দির তৈরির আন্দোলন । অনুগামীদের উদ্বুদ্ধ করতে দেশজুড়ে রথযাত্রার ধারণা এনেছিলেন তাঁরা । 1991 সালে BJP সভাপতি পদের দায়িত্বে আসেন মুরলি মনোহর জোশি । সেইসময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই আন্দোলনে । BJP নেতাদের আয়োজনে এই রথযাত্রা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সংঘ পরিবারের সমর্থনও পেয়েছিল ।

1991 সালের 24 জুন থেকে 1992 সালের 6 ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিং । তিনি ওই জমির 2.77 একর অধিগ্রহণ করেন । তিনি ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরির জন্য শপথ নিয়েছিলেন ।

শিবসেনার প্রধান বাল ঠাকরেও রাম মন্দির আন্দোলনের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন । অনেক আগে থেকেই তিনি এর সমর্থন করছিলেন । বর্ষীয়ান BJP নেত্রী উমা ভারতীও ছিলেন অন্যতম প্রধান মুখ । তাঁর ভাষণে রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনে বাড়তি গতি এসেছিল । দ্রুত তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সংঘ পরিবারের নেতাদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন ।

অযোধ্যা, 4 অগাস্ট : 5 অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । 70 বছর ধরে চলা অযোধ্যার জমি জটের নিষ্পত্তি হয় গত বছরের 9 নভেম্বর । সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায়ের পর সুগম হয় রাম মন্দির তৈরির রাস্তা । এই রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ।

রাম মন্দির তৈরির এই ইতিহাস অনেক পুরানো । 1950 সাল । 'আস্থান জন্মভূমি'-তে যে মূর্তিগুলি রয়েছে সেগুলি পুজো করার অধিকারের জন্য আদালতে আবেদন করেন গোপাল সিং বিশারদ । গোপাল সিং বিশারদ 1986 সালে মারা যান । এরপর আইনি যুদ্ধ চালিয়ে যান তাঁর ছেলে রাজেন্দ্র সিং ।

রাম জন্মভূমি আন্দোলনের বিভিন্ন সময়

মাঝে 1959 সালে এই আইনি লড়াইয়ে ঢুকে পড়ে নির্মোহী আখড়া । ওই জমির অধিকারের দাবিতে আবেদন করে নির্মোহী আখড়া । ভগবান রামের জন্মভূমি বলে বিশ্বাস ওই জমির রক্ষক বলে নিজেদের দাবি রাখে তারা । নির্মোহী আখড়ার সরপঞ্চ মহন্ত ভাস্কর দাস ছিলেন এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি । তিনি বেশ কয়েক বছর মামলায় নির্মোহী আখড়ার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ।

এরইমধ্যে আসরে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । অযোধ্যার ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরির দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করে তারা । 1984 সালে এই আন্দোলনে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অশোক সিংঘল । রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ মনে করা হয় তাঁকে ।

আন্দোলনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মহন্ত অবৈদ্যনাথ । তিনি শ্রী রাম জন্মভূমি মুক্তি যজ্ঞ সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।

বজরং দলের প্রতিষ্ঠাতা তথা BJP নেতা বিনয় কাটিয়ালও সমর্থন করেছিলেন রাম জন্মভূমি আন্দোলনে । এই কাজ সম্পন্ন করতে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।

এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে নতুন করে আবেদন জমা করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সহ-সভাপতি দেওকি নন্দন আগরওয়াল । ওই জমি ভগবান রামের নামে করে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় ।

1989 সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করে । তৎকালীন BJP সভাপতি লালকৃষ্ণ আদবানি গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু করেন । ওই রথযাত্রা অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য অনুগামীদের আবেগকে অনেকটাই বাড়িয়েছিল ।

মূলত লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলি মনোহর জোশিরর নেতৃত্বেই গতি পেয়েছিল রাম মন্দির তৈরির আন্দোলন । অনুগামীদের উদ্বুদ্ধ করতে দেশজুড়ে রথযাত্রার ধারণা এনেছিলেন তাঁরা । 1991 সালে BJP সভাপতি পদের দায়িত্বে আসেন মুরলি মনোহর জোশি । সেইসময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই আন্দোলনে । BJP নেতাদের আয়োজনে এই রথযাত্রা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সংঘ পরিবারের সমর্থনও পেয়েছিল ।

1991 সালের 24 জুন থেকে 1992 সালের 6 ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিং । তিনি ওই জমির 2.77 একর অধিগ্রহণ করেন । তিনি ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরির জন্য শপথ নিয়েছিলেন ।

শিবসেনার প্রধান বাল ঠাকরেও রাম মন্দির আন্দোলনের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন । অনেক আগে থেকেই তিনি এর সমর্থন করছিলেন । বর্ষীয়ান BJP নেত্রী উমা ভারতীও ছিলেন অন্যতম প্রধান মুখ । তাঁর ভাষণে রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনে বাড়তি গতি এসেছিল । দ্রুত তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সংঘ পরিবারের নেতাদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.